a
ফাইল ছবি
মুখের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে। সকালে ও রাতে এই দুইবেলা ভালো টুথপেস্ট ব্যবহার করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। পাশাপাশি টুথব্রাশ সময়মতো বদলে নিতে হবে। আমাদের একটা বাজে স্বভাব, ব্রাশের ব্রিসেলসগুলো একদম অকেজো হলেই ব্রাশ ফেলে দেই। এমনটা ঠিক নয়।এটি ওরাল হেলথের জন্যও স্বাস্থ্যকর নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মুখেরর ব্রাশ ৩-৪ মাস পরপর বদলানো ভালো। আর যদি আগেই কোনো কারণে ব্রিসেলস নষ্ট হয় তাহলে দ্রুত বদলাতে হবে। আরেকটি বিষয়, বাড়িতে কেউ সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হলে ১-২ দিনের মধ্যে ব্রাশ বদলে ফেলতে হবে সবাইকে। মুখ দিয়ে অনেক রোগ শরীরে ছড়ায়। তবে ব্রাশের কিছু যত্নও নিতে হবে। তবেই তিন চার মাস পর সুস্থ ওরাল হেলথ নিশ্চিত করতে ব্রাশ বদলানো যেতে পারে। টুথব্রাশ ব্যবহারের পদ্ধতিগুলো হলো:
১। নিজের টুথব্রাশ ইচ্ছা/অনিচ্ছায় অন্য কেউ যেন ব্যবহার না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
২। টুথব্রাশ মাউথওয়াশ বা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে রাখার প্রয়োজন নেই। গরম পানি অনেক সময় ব্রিসেলসের ক্ষতি করে। বেসিনের কলের পানি দিয়ে ধুলেই চলবে।
৩। ভুল করে কেউ কারোর ব্রাশ ব্যবহার করতেই পারে। সেরকম কিছু হলে ফেলে দিতে হবে।
৪। পরিবারের সবার টুথব্রাশ যেন একে অপরের গায়ে গা লাগিয়ে না থাকে সে ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৫। টুথব্রাশের জন্য আলাদা বদ্ধ ক্যাপ দরকার নেই। প্লাস্টিক এই ক্যাপ ব্যবহার করে নিরাপদ ভাবার কারণ নেই। উলটো সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজধানী ঢাকায় নতুন ভর্তি হয়েছে ২১১ এবং অন্যান্য বিভাগে ৩৫ জন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরো জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৫ হাজার ১৩২ জন। দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১ হাজার ৩১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
এরমধ্যে ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি ৪১টি হাসপাতালে ৮৩৬ এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ১৯৫ জন ভর্তি রয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৯ জন।
ফাইল ছবি
পাকিস্তানের কোয়েটায় সেরেনা নামের একটি বিলাসবহুল হোটেলে শক্তিশালী বোমা হামলা হয়েছে এবং এতে অন্তত ৪জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
বুধবার রাতে হোটেলে ওই হামলা চালানো হয়। বিবিসি ও ডন এমন খবর দিয়েছে।
কোয়েটা সফররত পাকিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূত ওই হোটেলে উঠলেও বিস্ফোরণের সময় তিনি সেখানে ছিলেন না।
রাষ্ট্রদূত নিরাপদে আছেন জানিয়ে প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল্লাহ লাঙ্গো বলেন, কিছু আগেই তার (রাষ্ট্রদূত) সাথে আমি সাক্ষাৎ করেছি। তিনি ভাল আছেন।
রাষ্ট্রদূতের সফর বৃহস্পতিবার শেষ হবে বলে জানান তিনি।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র লিয়াকত শাহওয়ানি এক টুইটে জানিয়েছেন, হামলার আগে দিনের বেলায় চীনা রাষ্ট্রদূত নঙ রঙ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জাম কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেরেনা হোটেলের কার পার্কিংয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
স্থানীয় একটি হাসপাতালের কর্মকর্তা ওয়াসিম বেগ চারজনের মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানান এবং বলেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তান তালেবান। তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এটি ছিল একটি আত্মঘাতি হামলা।
হামলাটি চীনা রাষ্ট্রদূত কিংবা প্রতিনিধি দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এ অঞ্চলে এর আগেও চীনের নাগরিক এবং বিভিন্ন প্রকল্পে তালেবানরা হামলা চালিয়েছে।
বিলাসবহুল সেরেনা হোটেলের নিকটেই রয়েছে ইরানের কনস্যুলেট এবং প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভবন।