a
ফাইল ছবি
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষামনন্ত্রী কর্নেল জেনারেল জাকির হাসানভ সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সেন্ট্রাল কমান্ড পোস্টে এক সভায় এই নির্দেশনা জারি করেন। খবর ইয়েনি সেফাক এর।
সীমান্তে আর্মেনিয়ান সেনাবাহিনী উসকানিমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে আজারবাইজান। জেনারেল জাকির বলেন, সীমান্তে আর্মেনিয়ানদের কাছ থেকে যেকোনো ধরনের উস্কানি সাথে সাথে দমন করা হবে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ান সৈন্যরা কালবাজার অঞ্চলে আবারো আজারবাইজান অবস্থানগুলোতে গুলিবর্ষণ করে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। উল্লেখ্য, সাবেক সোভিয়েত এই দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা এখনো বহাল রয়েছে।
উত্তেজনা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। সেসময় আর্মেনিয়ান সামরিক বাহিনী আপার কালবাজার নামে পরিচিত নাগারনো-কারাবাখ দখল করে নিলে উত্তেজনা শুরু হয়। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৪ দিনের যুদ্ধে আজারবাইজান বাহিনী বেশ কয়েকটি নগরী ও প্রায় ৩০০টি বসতি মুক্ত করে। এরপর রাশিয়ার মধ্যস্ততায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। কিন্তু এখনো দুই দেশের সীমান্তে মাঝে মাঝেই উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ফাইল ছবি
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সংকট মেটাতে মার্কিন কৌশলগত জরুরি তেলের রিজার্ভ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। রিয়াদ বলেছে, তেলের বাজারে ‘কারসাজি করতে’ এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে জরুরি রিজার্ভ হারালে অদূর ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে হতে পারে বলেও আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি তেলমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সালমান মঙ্গলবার রিয়াদে বলেন, “লোকজন বাজারে কারসাজি করার উদ্দেশ্যে তাদের জরুরি রিজার্ভ কমিয়ে ফেলছে। অথচ এই রিজার্ভ গড়ে তোলা হয়েছিল কখনও বাজারে ঘাটতি তৈরি হলে তা পূরণ করার জন্য।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জরুরি স্টক কমিয়ে ফেললে আগামী মাসগুলোতে দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে। সৌদি মন্ত্রী সরাসরি আমেরিকার নাম উচ্চারণ না করলেও তার বক্তব্যে যে মার্কিন তেলের রিজার্ভ ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে তা স্পষ্ট।
গত সপ্তাহে আমেরিকার কৌশলগত রিজার্ভ থেকে এক কোটি ৫০ লাখ ব্যারেল তেল ছাড়ার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তার কয়েক দিন আগে ওপেকপ্লাস তেলের উৎপাদন দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল কমানোর কথা ঘোষণা করার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বাইডেন।
ওপেকপ্লাসের সিদ্ধান্তে সৌদি আরব ও রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারনে বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন ও রিয়াদের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
মার্কিন তেলের খনি থেকে দেশটির সরকারি-বেসরকারি কোনও সংস্থারই তেল উত্তোলনের অনুমতি নেই। এ সম্পর্কে দেশটিতে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। সেই আইনে আমেরিকার বিভিন্ন খনিতে মজুত তেলকে ‘কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশের কোনও খনি থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন করা যাবে না।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর বিশ্বে জ্বালানি তেলের অন্যতম যোগানদাতা দেশ রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। এরপরই বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকে। এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে গত মে মাসে ‘কৌশলগত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ’ থেকে ১৮ কোটি ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সূত্র: রয়টার্স, বিজনেস ইনসাইডার
ফাইল ছবি
মহামারী করোনার কারনে বাংলাদেশ থেকে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে আল্লাহর পবিত্র ঘর কাবাকে স্বচক্ষে দেখা এবং পবিত্র ওমরা ও হজ্ব পালন হতে বঞ্চিত ছিলো অনেকে তাদের জন্য সু খবর এলো অবশেষে। বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি দূতাবাসের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে এখন থেকে করোনার টিকা গ্রহণকারীরা সকল পুরুষ মহিলার জন্য ওমরা পালনে আর বাধা নেই। তারা যথাযথ নিয়ম মেনে ওমরা পালন করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে সৌদি আরবের হজ এবং ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আব্দুলফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত জানান, বিদেশীদের ক্ষেত্রে ওমরাহ’র আবেদনের সঙ্গে কোভিড-১৯ টিকা প্রাপ্তির সনদ যুক্ত করতে হবে। তা ছাড়া যেসব দেশে থেকে সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে সেসব দেশের টিকাপ্রাপ্তদের বেলায় সৌদি আরবে পৌঁছে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে।
আগামীকাল সোমবার থেকেই আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশী ওমরাপালনে যেতে ইচ্ছুক সকলে। সৌদির পক্ষ থেকে বলা হয় বিদেশিদের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬০ হাজার অরে আবেদন নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে সুযোগ দিবে সৌদি আরব।
মহামারী করোনার কারনে এ বছর ও গত বছরে সীমিত পরিসরে অল্প জনবল নিয়ে হজ্ব পালনের অনুমতি ছিল।