a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বাড়ির কাছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। একই সময় তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় বন্দুকধারীরা। এ সময় আফগানিস্তানের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে চার বন্দুকধারী নিহত হয়।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে এ হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তবে হামলার সময় বাড়িতে ছিলেন না প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মদি। হামলার পর বাড়িতে থাকা তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালেবান যোদ্ধাদের চলমান তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে সহিংসতা বন্ধ করে দ্রুত সমাধানের আহ্বান করা হয়েছে।
এ দিকে এই হামলার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান এক টুইট বার্তায় বলেন, চিন্তার কিছু নেই। সব ঠিকঠাক আছে।
এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর কাবুলের বাসিন্দারা সড়কে নেমে আসেন। অনেকে বাড়ির ছাদে জড়ো হন। তাঁরা ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত।
গত সোমবার একই দৃশ্য দেখা যায় আফগানিস্তানের হেরাত শহরে। সেখানেও তালেবান ও আফগান বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াইয়ের পাশাপাশি তালেবানরা জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ফাইল ছবি
সারাবিশ্বের ন্যায় নতুন করে তাণ্ডব শুরু করেছে করোনাভাইরাস ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও। সংগৃহীত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষায় ৮৪ শতাংশ রোগীর দেহে ওমিক্রন পাওয়া গেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন গতকাল সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ৩০-৩১ ডিসেম্বরের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপর দিল্লির স্বাস্থ্য বুলেটিনে গতকাল জানানো হয়, দিল্লিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চার হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার সাড়ে ছয় শতাংশ।
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতে ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন ধরন ছড়িয়ে পড়েছে। তার মধ্যে মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ৫১০ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত।
এরপর দিল্লিতে ৩৫১ জন শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৭০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। রবিবার শনাক্ত রোগী ছিল তিন হাজার ১৯৪ জন, যা আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।
ফাইল ছবি
ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেত্রী বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীকে। ২০১৫ সালে তাদের বিয়ে হয়। চার বছর সংসার করার পর ২০১৯ সালে তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেন। বিয়ের সময় মধুমিতার বয়স ছিল ২১ বছর। ওই বয়সে বিয়ে করাটাই ভুল ছিল বলে মনে করেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘খুব অল্প বয়সে বিয়ে করাটা ভুল ছিল। যদি তাড়াহুড়ো করে বিয়েটা না করতাম, তাহলে ক্যারিয়ারে আরো বেশি ফোকাস করতে পারতাম।’ তবে প্রাক্তন স্বামী সৌরভের সঙ্গে কাটানো সময়টা নিয়ে তার আফসোস নেই বলেও জানালেন মধুমিতা। তার ভাষ্য, ‘আমাদের কিছু ভালো স্মৃতি রয়েছে। ওর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই।’
ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন সৌরভ ও মধুমিতা। এরপরও কেন ভেঙে গেছে তাদের সংসার? এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘হয়তো আমাদের গুরুত্বটা আলাদা ছিল; তবে সঠিক বলতে পারব না। আমি খুব রোমান্টিক মানুষ। একদম খাদের কিনারায় না চলে যাওয়া পর্যন্ত সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। এখন মনে হয় বিয়েটা ভেঙে আরো আগে বেরিয়ে আসা উচিৎ ছিল।’
এদিকে কিছুদিন আগেই সৌরভ জানান, মধুমিতার সঙ্গে সংসার করতে পারেননি। তাই এখন আর কোনো কাজও করতে চান না। কাজ করাটা অস্বস্তিকর হবে বলে মনে করেন তিনি। তবে মধুমিতার ধারণা ভিন্ন। তার ভাষ্য, ‘সৌরভের প্রতি যে অনুভূতিগুলো ছিল, এখন তা হারিয়ে গেছে। তাই পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবে সৌরভের মতো একজন মেধাবী অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে আমার কোনো অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না।’