a
ফাইল ছবি
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে সে দেশে অতিরিক্ত বোমারু বিমান ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদমাধ্যম বিবিসির সুত্রে এখবর নিশ্চিত করা হয়েছে। পেন্টাগনের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে ইতোমধ্যে তাদের সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া আরম্ভ করেছে। চলতি বছরের ‘ওয়ান ইলেভেন’ বা ১১ সেপ্টেম্বরের পূর্বেই সকল সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই তালেবান ঘাঁটিতে নতুন করে হামলা বা অভিযানের কোনো পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে এসব পাঠানো হচ্ছে না। মার্কিন অংশীদার ও আফগান সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীসহ সকল সাধারণ মানুষকে তাঁরা নিরাপদ রাখতে চাইছেন বলে তিনি জানান। এখনো সে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই হাজার মার্কিন কর্মকর্তা এবং ১৬ হাজার বেসামরিক সৈন্য রয়েছে। তাদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনে ছয়টি ‘বি-ফিফটি টু’ দূরপাল্লার বোমারু বিমান ও ১২টি ‘এফ-এইটিন’ যুদ্ধবিমান পাঠানো হচ্ছে।
গত বছর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তালেবানের এক চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল ২০২১ সালের পহেলা মে’র মধ্যে সম্পুর্ন সেনা সরিয়ে নেবে। চুক্তিতে আরো উল্লেখ ছিল আন্তর্জাতিক সেনাদের ওপর হামলা করতে পারবে না তালেবান বাহিনী।
তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত এপ্রিল মাসে নির্ধারিত সময় পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর মতে, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আফগানিস্তানে সেনা উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন। এ বছর ‘নাইন ইলেভেন’ হামলার ২০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। সেটিকে ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত হুমকির কথা মাথায় রেখে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করার তারিখ বাড়ানো হয়।
এদিকে, সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সময়ে কোনো ধরনের আক্রমণের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন জেনারেল স্কট মিলার।
ফাইল ছবি
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাবেদ বাজওয়া শুক্রবার বলেছেন, সেনবাহিনী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা রাজনৈতিক কোনো ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। তাছাড়া নিজের মেয়াদও আর বাড়াবেন না বলে জানিয়েছেন।
ইসলামাবাদে ২৪তম জাতীয় নিরাপত্তা ওয়ার্কশপে এমন মন্তব্য করেন কামার জাবেদ বাজওয়া। সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন সেনাপ্রধান বলেছেন সেনাবাহিনী ‘অরাজনৈতিক’ থাকবে।
আগামী ২৯ নভেম্বর বাজওয়ার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং চ্যালেঞ্জের’ কথা উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বাজওয়ার মেয়াদ আরও তিন বছর বৃদ্ধি করেছিলেন।
এদিকে পাকিস্তান সেনাপ্রধান এমন সময় ‘অরাজনৈতিক’ থাকার কথা জানালেন যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করার পর পরই পাকিস্তানের গোটা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
নতুন কারিকুলামে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পাঠদান চলছে। এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কোনো প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট হবে না। তবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) গাইডলাইন অনুযায়ী।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, দেশের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টির মূল্যায়ন শুরু আগামী ৫ নভেম্বর, শেষ হবে ২৮ নভেম্বর।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সামষ্টিক মূল্যায়ন নিয়ে ৬ দফা নির্দেশেনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো—
১. ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিচালনার জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা ২৯ অক্টোবর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।
২. নির্দেশনা মোতাবেক সব বিষয়ে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিচালনা করতে হবে।
৩. বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশনাতে ট্রান্সক্রিপ্ট ও রিপোর্ট কার্ডের ফরমেট এবং পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের নীতিমালা সংযুক্ত থাকবে।
৪. পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার এবং নির্ধারিতসংখ্যক বিষয়ে পারদর্শিতার সমন্বিত ফল বিবেচনা করা হবে।
৫. রিপোর্ট কার্ডে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ থাকবে।
৬. বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানোর পর ২ নভেম্বরের মধ্যে অভিভাবক সমাবেশ করে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সম্পর্কে অবহিত করে সমাবেশের তথ্য ও ছবি থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে পাঠাতে হবে।
গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু।
এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে তা চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। সূত্র: ইত্তেফাক