a
ছবি সংগৃহীত: রামমন্দির
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ‘বাবরি মসজিদের’ স্থলে নির্মিত আলোচিত সেই রামমন্দিরটি আজ উদ্বোধন করা হচ্ছে। ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ নামের এই অনুষ্ঠান আজ সোমবার উদ্বোধন করবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে উদ্বোধন করা হবে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট)।
রামমন্দিরের এই উদ্বোধন ঘিরে অযোধ্যাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে। লতা মঙ্গেশকর চকে মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের (এটিএস) সদস্যদের।
অযোধ্যা পুলিশ জানিয়েছে, অনুষ্ঠান ঘিরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিস্তৃত পরিসরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
রামমন্দির প্রতিষ্ঠা ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের অন্যতম রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এ প্রতিশ্রুতি পূরণ এ বছর অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ বহন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও লোকসভার বিরোধী নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে এ অনুষ্ঠানে কংগ্রেস না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও জানিয়ে দিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠানে তারা যাবেন না।
উল্লেখ্য, মোগল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাঁকি ১৫২৮ সালে অযোধ্যায় মসজিদটি তৈরি করেন, যা পরবর্তী সময়ে বাবরি মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। তবে দেশটির হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি, সেখানে ‘রামের মন্দির ভেঙে’ মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল। সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ফাইল ছবি
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সেনাদের প্রত্যাহার শুরুর পর হামলা বাড়িয়েছে স্বশস্ত্র সংগঠন তালেবান। এমন পরিস্থিতিতে আজ শনিবার (১৭ জুলাই) তালেবান ও আফগানিস্তান সরকারের প্রতিনিধিরা কাতারের রাজধানীর দোহায় বৈঠকে বসছেন।
জানা যায়, বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যে কাতার গেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, সরকারের সাবেক প্রধান নির্বাহী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ। এছাড়া আফগানিস্তান সরকারের ওই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন নাজিয়া আনওয়ারি। প্রতিনিধিদলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
নাজিয়া আনওয়ারি জানান, কাতারে দুই পক্ষের আলোচনা হবে। আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করাই মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, আশা করছি, খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে এর মধ্য দিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি আসবে। দুই পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান, এ বিষয়ে তাঁর অবস্থান আগের মতোই। দেশের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণের অধিকার একটি নির্বাচিত সরকারেরই হাতেই রয়েছে।
গতকাল বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে অফিসার্স অ্যাড্রেসে সেনাপ্রধান বলেন, ঢাকায় অবস্থানরত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। অনেক কর্মকর্তা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন ছাড়াও করিডর, বন্দর, সংস্কারসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে উপস্থিত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্যগুলো নিশ্চিত হওয়া যায়।
সেনাপ্রধান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর–সংক্রান্ত আলোচনার বিষয়েও কথা বলেন। এ–বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে এবং তা বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হতে হবে। এখানে জাতীয় স্বার্থকে আগে দেখতে হবে। যা করার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই করতে হবে। যা-ই করা হোক না কেন, রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে হতে হবে।
‘মব ভায়োলেন্স’: ‘মব ভায়োলেন্স’ বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ বিশৃঙ্খলা বা আক্রমণের বিরুদ্ধেও কঠোর বার্তা দিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সেনাবাহিনী এখন আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। সংঘবদ্ধ জনতার নামে বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা আর সহ্য করা হবে না।
বন্দর প্রসঙ্গ: চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে দেওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা ও বিতর্কের বিষয়েও কথা বলেছেন সেনাপ্রধান। এ–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখানে স্থানীয় মানুষ ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামত প্রয়োজন হবে। রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমে এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসা উচিত।
সংস্কার প্রসঙ্গে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, কী সংস্কার হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কোনো পরামর্শ বা আলোচনা করা হয়নি।
সামনে ঈদুল আজহা। মানুষ যেন নিরাপদে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদ্যাপন করতে পারে, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করতে বলেছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনোই এমন কোনো কার্যকলাপে যুক্ত হবে না, যা জাতীয় সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর। তিনি সব পর্যায়ের সেনাসদস্যদের নিরপেক্ষ থাকার এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনী দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেন।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সহযোগিতা করছি। সহযোগিতা করে যাব।’ সূত্র: প্রথম আলো