ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজ) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু আইসিজের নির্দেশনা অমান্য করে ইসরায়েল রাফায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। এরকম নির্দেশনা অমান্য করলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।
আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাও করেছেন ইউরোপের ২৭ দেশের জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এক সাময়িক আদেশে রাফায় ইসরায়েলকে সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত বলেছে, ইসরায়েল সেখানে হামলা করলে আশ্রয়রত বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের ঝুঁকি তৈরি হবে। আইসিজের এই রায়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েই তাদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্রাসেলসে ইইউ-এর পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মার্টিন বলেন, প্রথমবারের মতো ইইউ-এর বৈঠকে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে দেখেছি। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
আজ ইসরাইলের হাইফা শহরের একটি গ্যাস ক্ষেত্রের আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। হাইফার এলাকার আশেপাশে বসবাসকারী ইসরায়েলিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ছবি শেয়ার করেছেন। তারা বলছেন, গ্যাস ফিল্ডের প্ল্যাটফর্মে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
রুশ বার্তাসংস্থা স্পুটনিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইসরাইলের গ্যাস ফিল্ডের আগুনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ইসরায়েলি আক্রমনের জবাবে ফিলিস্তিনিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিতরই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। তবে সেখানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, কারিগরি ঝামেলার জন্যই উক্ত ঘটনা ঘটেতে পারে এবং এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
দুই সপ্তাহ পূর্বে ইসরায়েলের হাইফার এলাকায় একটি তেল শোধনাগারে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল এবং এর ফলে সেখানে ব্যাপক পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়। অগ্নিকাণ্ডের কারণে পুরো এলাকায় তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। সূত্র: পার্সটুডে ও স্পুটনিক
ফাইল ছবি । গোবিন্দ
প্রেমে পাগল কি আর সাধে বলে! প্রেমে পাগল হয়ে কোটিপতির একমাত্র ছেলে গোবিন্দ সব ছেড়ে প্রেমিকার বাড়ির চাকর হয়ে কাজে ঢুকেছিলেন। জুতা সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ— সব সামলেছেন একা হাতে। উদ্দেশ্য ছিল প্রেমিকা এবং তাঁর পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করা। করেও ছিলেন এবং পরে ধরাও পড়ে গিয়েছিলেন। এতক্ষণ যে গল্পটি পড়লেন, তা টেলিভিশনে অনেকেই দেখেছেন নিশ্চয়ই। গোবিন্দ, করিশ্মা কপূর অভিনীত জনপ্রিয় ছবি ‘হিরো নম্বর ওয়ান’। গোবিন্দ হয়েছিলেন রাজেশ মলহোত্রা। ধনকুবের ধনরাজ মলহোত্র (এই ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কাদের খান)-এর একমাত্র ছেলে।
কিন্তু জানেন কি গোবিন্দর নিজের জীবনেও ঘটে গিয়েছিল হুবহু এ রকমই ঘটনা! শুধু ভূমিকাগুলি বদলে গিয়েছিল। ছবিতে করিশ্মার প্রেমে পাগল হয়েছিলেন গোবিন্দ। বাস্তবে তাঁর প্রেমে পাগল হয়েছিলেন এক মহিলা। যিনি নিজেও ছিলেন কোটিপতির মেয়ে। ছবিতে গোবিন্দ যেমন করিশ্মা এবং তাঁর পরিবারকে খুশি করতে চাকর সেজেছিলেন, তেমনই বাস্তবে তাঁর নিজের বাড়িতেও পরিচারিকার কাজ নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন ওই কোটিপতি মহিলা।
ওই মহিলার নামধাম, পরিচয় কখনও সংবাদ মাধ্যমে জানাননি গোবিন্দ বা তাঁর স্ত্রী সুনীতা। তবে এক সাক্ষাৎকারে ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছিলেন। গোবিন্দ তখন বলিউডের সুপারস্টার হয়ে গিয়েছিলেন। অভিনয়, নাচ সব মিলিয়ে বিনোদনের যাবতীয় মশলা গোবিন্দর কাছে ছিল।
গোবিন্দর অনুরাগীদের সংখ্যাও ছিল অসংখ্য। তারই একজন ছিলেন ওই মহিলা। অনুরাগীদের ভিড়ে মিশে না গিয়ে গোবিন্দর জীবনে বিশেষ একজন হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। গোবিন্দকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। ইন্ডাস্ট্রিতে সুপারস্টার হওয়ার অনেক আগেই যদিও গোবিন্দর বিয়ে হয়ে গিয়েছিল।
১৯৮৭ সালে স্ত্রী সুনীতা তাঁর জীবনে এসেছিলেন। কিন্তু তখনও গোবিন্দর বিবাহিত হওয়ার খবর ইন্ডাস্ট্রির কেউই জানতেন না। ক্যারিয়ারের স্বার্থে গোবিন্দই এই খবর লুকিয়ে রেখেছিলেন। তা নিয়ে স্ত্রীরও কোনও আপত্তি ছিল না।
গোবিন্দর বিবাহিত হওয়ার খবর ওই মহিলাও জানতেন না। তিনি গোবিন্দর বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করে চলে যান। নিজেকে তিনি পরিচারিকা হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন। গোবিন্দ এবং তাঁর মায়ের কাছে নিজের অসহায়তার কথা বলে পরিচারিকার কাজ পান। কোটিপতি ওই মহিলা গোবিন্দর বাড়িতে বাসন মাজার কাজ পেয়েছিলেন। গোবিন্দর প্রেমে এই কাজও মুখ বুঁজে করছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর কাজকর্ম গোবিন্দর মায়ের একেবারেই পছন্দ হচ্ছিল না। আসলে তিনি ঠিকমতো বাসন মাজতেই পারছিলেন না। এ রকমই চলছিল। কিন্তু একদিন কোটিপতি বাবার সঙ্গে মহিলার কথোপকথন গোবিন্দর স্ত্রী সুনীতার কানে পৌঁছয়। তাঁর কথা শুনে সন্দেহ হয় সুনীতার। গোবিন্দকে সব জানান তিনি।
তারপরই মহিলার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন গোবিন্দ। আসল কারণ জানতে পারেন। মহিলার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে বাড়িও পাঠিয়ে দেন। ওই মহিলার বাবা ছিলেন বড় ব্যবসায়ী। ৪-৫ টি গাড়ির মালিক ছিলেন মহিলা। তিনি ভেবেছিলেন, পরিচারিকা হয়ে ঢুকে গোবিন্দর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তারপর তাঁকে নিজের প্রকৃত পরিচয় দিয়ে প্রেম প্রস্তাব দেবেন। তা আর হয়ে ওঠেনি। বরং গোবিন্দ বিবাহিত জানতে পেরে প্রেমে আঘাত পেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও গোবিন্দর বাড়িতে বাসন মেজে এতটুকু আক্ষেপ ছিল না তাঁর। সুত্র: আনন্দবাজার