a
ফাইল ছবি
চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে গুগল ম্যাপের কিছু অংশ সাময়িকভাবে অচল করা হয়েছে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে গুগল জানায়, এর ফলে ট্রাফিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন স্থান কতটা ব্যস্ত সে সম্পর্কে লাইভ তথ্য সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
দেশটির আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে মানুষের সুরক্ষার জন্য দোকান ও রেস্তোরাঁগুলোর মতো ব্যস্ত স্থানগুলোতে ট্রাফিক স্তর এবং লাইভ তথ্য প্রদান কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী বন্ধ করা দিয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ পরিচালনার নামে হামলা করে রাশিয়ান সেনা বাহিনী। ইউক্রেনের শহরগুলোতে মিসাইল হামলার ফলে সেনাসহ হতাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এদিকে, মহিলা এবং শিশু প্রায় ৪ লক্ষাধিক ইউক্রেনীয় নাগরিক প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে। গুগলসহ বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তারা এ অঞ্চলে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য নতুন আরও ব্যবস্থা গ্রহন করবে। সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
ঠিক যেন সিনেমার মতো সন্তানকে অপহরণকারীদের কবল থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন এক মা। নিউ ইয়র্কের কুইন্সে হিলসাইড স্ট্রিটে এই ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। রাস্তার পাশের ক্যামেরায় ওই ঘটনার ধারণ করা ভিডিও প্রকাশ করেছে পুলিশ। নেটমাধ্যমে ওই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্যস্ত রাস্তার পাশের ফুটপাতে পাঁচ বছর বয়সী শিশুটি তার মাসহ কয়েকজনের সাথে ফুটপাতে হাঁটছিল। হঠাৎ এক ব্যক্তি লাফ দিয়ে শিশুটির সামনে এসে তাকে কোলে তুলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রাখা গাড়ির পেছনের সিটে বসিয়ে দেন। কিন্তু শিশুটির মা অপহরণকারীদের পিছু ধাওয়া করে পথচারীদের সহায়তায় গাড়ির পেছনের আসন থেকে শিশুটিকে বের করার চেষ্টা করেন। অপহরণকারীরা গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার আগেই শিশুটিকে বের করতে আনতে সক্ষম হন তারা।
শিশুটির মা ডলোরেস ডিয়াজ (৪৫) জানান, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তিন সন্তানকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে।
সেখানকার এক দোকানের মালিক জানিয়েছেন, অপহরণকারীদের একজন ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই তার দোকান থেকে বিয়ার কিনেছিলেন।
তবে ওই ঘটনায় শিশুটি অক্ষত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
ভিডিও লিংক: wo9OkcAYXJI
ছবি সংগৃহীত
কয়েক বছর ধরে পরেন একটা শার্ট, ওপরের বোতাম তার ছেঁড়া। কেউ একজন জিজ্ঞাসা করতে বলেছিলেন, "নষ্ট না হলে আমি কি করব, ফেলে তো দিতে পারি না !"
অথচ বাবা তার রাউজানের জমিদার। লন্ডনে পড়তে গিয়ে তার যে গাড়ি ছিল, দেশ থেকে বড়ো কেউ গেলে সে গাড়িই ধার দেয়া হতো তাদের। তিনি যে দর্জির কাছে কাপড় সেলাই করতেন, সে দর্জি ছিলেন ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স চার্লসের ব্যক্তিগত দর্জি৷ দেশে ফিরে দেশের মানুষের জীবদ্দশা দেখে সেই বিলাসী জীবন ত্যাগের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন জাফরুল্লাহ, আমৃত্যু তাই পালন করেছেন।
লন্ডনের প্রকাশ্য রাস্তায় নিজেদের পাসপোর্টে আ'গুন ধরিয়ে দিলো কয়েকজন বন্ধু। এরা সবাই এবারের এফআরসিএস পরীক্ষার্থী৷ পরীক্ষা আর দেয়া হলো না, রাষ্ট্রহীন নাগরিক হিসেবে লন্ডন থেকে ফেরত পাঠানো হলো ভারতে৷ দেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়ে পাকিস্তানের পাসপোর্ট পোড়ানো সে বন্ধুদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ভারতে এসে আগরতলা ক্যাম্পের একপাশে চট-বেড়া দিয়ে গড়ে তুললেন ৪৮০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল। দিনরাত এক করে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজ চলল তাতে। যুদ্ধ শেষ হলে এ হাসপাতালই হয়ে উঠল গরিবের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র৷
আজ ৫০ বছর পরেও, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নর্মাল ডেলিভারি বা ডায়ালাইসিস খরচ ২৫০০ টাকা৷ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ভদ্রলোকের জন্য ভিআইপি কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, আনা হচ্ছিল দামী ওষুধ৷ দুটোকেই 'না' করে জাফরুল্লাহ বললেন, ' নিজের হাসপাতালের ওপর নিজে ভরসা না রাখলে মানুষ কি করে রাখবে? যে ওষুধ গরীবে কিনে খেতে পারবে না, সে ওষুধ আমি নেব না।'
১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন জাফরুল্লাহ। স্বপ্নবাজ এ লোকটির হাত ধরেই ৯০ শতাংশ ওষুধ আজ দেশেই তৈরি হয়। বিনামূল্যে বিলি হয় গণস্বাস্থ্যের ওষুধ। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রই আবিষ্কার করেছিল বাংলাদেশের করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছিল যে টিকা, পায়নি কেবল বাংলাদেশে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকরির কয়েকটা বাঁধাধরা নিয়ম তিনি করেছিলেন। কর্মরতদের ধূ'মপান নিষিদ্ধ । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিঞার চাকরির ব্যাপারে ১৯৯৬ সালে নেত্রী নিজেই ফোন করেন জাফরুল্লাহকে। তিনি শেখ হাসিনাকে তখনই সাফ জানিয়েছিলেন, ' ধূ'মপান ছাড়তে না পারলে চাকরি হবে না। ' বাধ্য হয়ে একমাসেই ধূ'মপান ছাড়েন ডা. ওয়াজেদ।
দোর্দণ্ড প্রতাপে যখন ক্ষমতায় এসেছেন জিয়াউর রহমান, জাফরুল্লাহকে মেজর জিয়া হাতে একটা ফাঁকা চেক ধরিয়ে আদেশ দিলেন, মন্ত্রী হও৷ সেদিন গরিবের ডাক্তার ৪ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে জবাব দিয়েছিলেন, একজনও স্বাধীনতাবিরোধী থাকলে সে মন্ত্রীসভায় তিনি যাবেন না৷ ৮-১৮'র তরুণরা যখন নির্লিপ্ত, তখন ৮০ বছর বয়সেও হুইল চেয়ারে রাজপথ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এই মানুষটি৷ দাঁড়িয়েছেন বিচারের কাঠগড়ায়,পেয়েছেন অর্থদন্ডও।
নিজ প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্যের সম্পদ আছে কয়েক হাজার কোটি টাকার।পেয়েছেন ম্যাগসেসে পদকের মতো অসংখ্য আন্তর্জাতিক সম্মাননা। অথচ সমস্ত জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করে কপর্দকহীন হয়ে চলে গেলেন একগুঁয়ে মানুষটি। একেকটা হাসপাতাল যখন হয়ে উঠছে মানুষ মারার কল, তখন গরিব যাতে কম খরচে ক্যানসার চিকিৎসা পায়, ওষুধ পায়, তার বন্দোবস্ত করে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল গড়েছেন মানুষটি।
জীবন-মরণের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শেষবার জাফরুল্লাহ বলেছিলেন, কিছু হলে দেশেই হোক, বিদেশে চিকিৎসা তিনি কিছুতেই নেবেন না।
সারাজীবনের মতো একবারই এই মৃত্যু সাজ,
এতদিন প্রাণ ছিলো, অমরত্ব শুরু হলো আজ..
এই জেদ, এই উদ্যম,এই দেশপ্রেমকে কুর্নিশ। আপনি জিতে গেছেন ১৬ কোটি হৃদয়৷ অভিবাদন, মহামানব জাফরুল্লাহ চৌধুরী!
-ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত