a
ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের জন্য অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠাতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা জানার পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে কৌশলগত পারমাণবিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্রস্তুত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে রাশিয়া। রুশ বাহিনী তাদের কালুগা অঞ্চলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে ‘ইয়ার্স’ নামের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করে রেখেছে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করার একটি ভিডিও উন্মুক্ত করেছে প্রতিরক্ষা দপ্তর। তাতে বলা হয়, দেশটির ‘কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে।
কালুগা অঞ্চলের কোজেলস্কি ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকেন্দ্রের কমান্ডার আলেক্সি সোকোলভ বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধের দায়িত্বে থাকবে। এ ছাড়া আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত থাকবে। এতে কৌশলগত ক্ষেত্রে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা যাবে।
বুধবার ওয়াশিংটনে রুশ দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনে মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের যেকোনো চালান ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে’ এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
এর আগে কিয়েভকে যাতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করা না হয়, সে জন্য পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে সতর্ক করেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠালে সেগুলো রুশ হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন।
ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহের পদক্ষেপকে ক্রেমলিন একটি উসকানি হিসেবে গণ্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় ১০ মাস পার হয়েছে। সামনেই বড়দিন বা ‘ক্রিসমাস’। এ উপলক্ষে যুদ্ধবিরতির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে মস্কো।
যুদ্ধ বন্ধে বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কোনো সংলাপ হচ্ছে না। এখন ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক লড়াই চলছে। পাশাপাশি রাজধানী কিয়েভসহ গোটা ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ অবকাঠামোয় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার এ ধরনের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে কিয়েভ। রুশ হামলার কারণে লাখো ইউক্রেনীয় বর্তমানে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় তাঁরা নিজেদের ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পারছেন না।
ইউক্রেনের এক কর্মকর্তার মতে, সারা দেশে ব্যাপক বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের পর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
কূটনৈতিকভাবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে রাশিয়াকে কোনোভাবেই অপমান করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। শনিবার একটি আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।
ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া। এরপর থেকে যুদ্ধ অবসান বা শান্তিচুক্তির জন্য ম্যাকরন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নানাভাবে আলাপ আলোচনা করে যুদ্ধ থামাতে চেষ্টা করে আসছেন। অবশ্য তার অবস্থান ইউরোপের কিছু পূর্বাঞ্চলীয় ও বাল্টিক দেশগুলোতে সমালোচিত হয়েছে। কারণ তাদের মতে, ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই প্রচেষ্টা পুতিনকে আলোচনার টেবিলে বসতে চাপ দেওয়ার প্রচেষ্টাকে ক্ষুন্ন করছে।
তবে ম্যাকরন বলেছেন, ‘আমি তাকে (পুতিনকে) বলেছিলাম যে, তিনি জনগণের জন্য, নিজের জন্য এবং ইতিহাসের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও মৌলিক ভুল করছেন।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
কোপার প্রথম সেমিফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল খেলল দাপটের সাথে। আগের ম্যাচে জয়ের দুই কুশীলবই গড়ে দিলেন ব্রাজিলের ভাগ্য। নেইমারের বাড়ানো বলে লুকাস পাকেতার গোলে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সেলেসাওরা। তাতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো উঠে গেছে প্রতিযোগিতার ফাইনালেও।
আজকের ম্যাচে দুরন্ত ছিলেন নেইমার, সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। হতে পারে ম্যাচের প্রধমার্ধে ব্রাজিল ১-০ গোলে যায় ব্রাজিল, তবে গোলটার রূপকার যে নেইমার ছিলেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
৩৫ মিনিটে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন লুকাস পাকুয়েতা। পেরুর রক্ষণের দরজা অনায়াসেই খুলে দেন নেইমার। রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে সেমি-ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল।
এই এক গোলই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয় আর ব্রাজিলকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে নিয়ে যায়। যদিও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পেরু ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেলেসাওদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি পেরু।
শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল ১-০ গোলেই সন্তোষ্ট থাকতে হয় পেরুর বিরুদ্ধে।