a
ফাইল ফটো: ইমরান খান
সিনেট নির্বাচনে একটি বড় ধাক্কার পর পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিরোধীদের বর্জন ও প্রতিবাদের মধ্যে শনিবার এই ভোটের আয়োজন করা হয়।
স্পিকার তার ঘোষণায় বলেন, আস্থা ভোটে জয়ী হতে ১৭২ ভোট দরকার হলেও ইমরান খান ১৭৮টি ভোট পেয়েছেন। চলতি সপ্তাহে সিনেট নির্বাচনে আলোচিত একটি আসনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির কাছে অর্থমন্ত্রী হাফিজ শেখ হেরে যাওয়ায় ইমরান খান নিজেই জাতীয় পরিষদে এই আস্থা ভোটের ডাক দেন।
স্পিকার বলেন, ৮ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আস্থা ভোটে ১৭৬টি ভোট পেলেও এবার তিনি আরও দুটি ভোট বেশি পেয়েছেন। ফল ঘোষণার পরেই স্পিকার ফ্লোর দেন আমির লিয়াকত নামের এক আইনপ্রণেতাকে। তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তারিফ করে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন।
আরেক আইনপ্রণেতা মাকবুল সিদ্দিকী বলেন, আস্থা ভোটে আপনি জয়ী হয়েছেন। এবার দেশবাসীর মধ্যে আস্থা ফেরানোর সময় এসেছে। ভোট চলাকালে পার্লামেন্টের বাইরে পিটিআই সমর্থকদের ইমরান খানের সমর্থনে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসি, আহসান ইকবাল, মুসাদ্দিক মালিক ও খুররাম দস্তগিরসহ পিএমএল-নওয়াজের নেতৃবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন।
ফাইল ছবি
সুদানে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর লড়াই পঞ্চম দিনে পড়েছে। খার্তুমে বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। মানুষ পালাচ্ছে শহর থেকে। সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে আরেকটি অস্ত্রবিরতির চেষ্টা হয়েছিল। বিদেশি রাষ্ট্রগুলো জানিয়েছিল, তাদের নাগরিকদের সুদানের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা অস্ত্রবিরতি দরকার।
সেই অস্ত্রবিরতি বুধবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খার্তুমের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারপরেও তারা সমানে গোলা-গুলির শব্দ পেয়েছেন। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সেনার সদর দফতরের কাছ থেকে অনেক গোলার আওয়াজ এসেছে।
সুদানে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর লড়াই পঞ্চম দিনে পড়লো। সুদানে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর লড়াই পঞ্চম দিনে পড়লো।
জাতিসংঘের মতে, এখনো পর্যন্ত ২৭০ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন দুই হাজার ৬০০ জন। তবে প্রকৃত সংখ্যাটা এর থেকেও অনেক বেশি হতে পারে। সমানে বোমা পড়ছে বলে আহতদের রাস্তা থেকে নিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না।
সুদানের বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও বিমানের শব্দ সারাদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। আধাসামরিক বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানদের গাড়িতে করে খার্তুমের রাস্তায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। বন্দুকধারীরা লুটতরাজও চালাচ্ছে বলে খবর এসেছে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে কোনো সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জানাতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাসপাতাল, ক্লিনিক বা চিকিৎসকের কাছে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে নেওয়া হলে তাৎক্ষণিক তাকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জানাতে পারবে না।
তবে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা না থাকলে তাকে কাছের কোনো হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জরুরি চিকিৎসাসেবা বিভাগ রয়েছে এমন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পৃথক তালিকা এবং সেগুলোর বর্তমান অবস্থার বিস্তারিত বিবরণ দাখিল করতে হবে।
রোববার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে দেশে বিদ্যমান সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক প্রয়োজন বিশেষে যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিতে অসম্মতি জানানোকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকলে জরুরি সেবা রয়েছে এমন কাছের কোনো হাসপাতালে উক্ত ব্যক্তিকে কেন পাঠানো হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের নতুন লাইসেন্স ইস্যু করার সময় এবং বিদ্যমান রেজিস্টার্ড হাসপাতাল বা ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন করার সময় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আবশ্যিকভাবে বিদ্যমান থাকতে হবে- এমন শর্ত যুক্ত করে দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের আদেশ সম্পর্কে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, এ আদেশের ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুমূর্ষু রোগীকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে বাধ্য থাকবে। সূত্র: যুগান্তর