a
ফাইল ছবি
ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা এবং ইউক্রেনে রুশ হামলার ফলে বিশ্বব্যাপী গমের সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঘাটতি সামাল দিতে করণীয় নির্ধারণ করতে ইসরাইল সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
ঐতিহাসিক এ সফরে তিনি ইরান ইস্যুতে আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাই শনিবার তিনি ইসরাইলের রাজধানীতে পৌঁছান।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা আরব দেশগুলোর নেতারা এখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত ৬ বিশ্বশক্তির সম্পাদিত বহুল আলোচিত পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন আলোচনা করছেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
ইরান গত বছরের ২৯ নভেম্বর ভিয়েনায় এ বিষয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। চলতি বছর জুনে ইরানের কট্টরপন্থি প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ আলোচনার বিষয়টি স্থগিত হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গিয়েছিলেন। সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
রাশিয়ার একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ২৮ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এএন-২৬ নামের উড়োজাহাজটি দেশটির পেট্রোপাভলভস্ক-কামচাটস্কি থেকে পালানা শহরে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়।
বার্তা সংস্থা তাস ও ইন্টারফ্যাক্স দেশটির আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেট্রোপাভলভস্ক-কামচাটস্কি থেকে পালানা শহরে যাওয়া সময় উড়োজাহাজটির কামচাটকায় কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে কর্মকর্তারা ধারণা করছেন উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
উড়োজাহাজটিতে ৬ জন ক্রু এবং ২২ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে দুইজন শিশুও রয়েছে। এদিকে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ব্যাপারে দেশটির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই ধরণের মত পোষণ করেছে। একটি সূত্র জানায়, উড়োজাহাজটি সমুদ্রে বিধ্বস্ত হতে পারে। আবার অন্য একটি সূত্র দাবি করেছে, এটি পালানা শহরে অবস্থিত একটি কয়লা খনিতে অবতরণ করেছে।
এদিকে দেশটির উদ্ধারকর্মীরা কমপক্ষে দু’টি হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। পাশাপাশি আরও উদ্ধারকর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আগামীকাল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।
স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, পণ্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি খোলা থাকবে সংবাদপত্র বহনকারী পরিবহনও। এর বাইরে একমাত্র শিল্পকারখানা খোলা থাকবে। তবে শ্রমিকরা
অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিফট অনুযায়ী কাজ করবেন। সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে লকডাউন আরও বাড়তে পারে বলে জানানিা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীতে এই লকডাউন কার্যকরে কঠোর থাকবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মাঠে থেকে লকডাউন কার্যকর করব এবং কঠোরভাবে কার্যকর করব।
অনেক আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও সরকার লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত নিল। কার্যকর না করে উপায় আছে? সুতরাং পুলিশ করোনারোধে কঠোর হবে। এজন্য জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা চাই।
একই দিনে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত বছর কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই পুলিশ মাঠে থেকে কাজ করেছে। গতবারের অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে এবার পুলিশ কাউকেই লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি বিধি লঙ্ঘনে ছাড় দেবে না বলে জানান।
গত বছর লকডাউনের সময় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ঢাকা ছেড়েছিল এবং প্রবেশ করেছিল। এবার তা করতে দেওয়া হবে না। কোভিড-১৯-এর নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ মাঠে থেকে যা যা করা দরকার তা করবে।