a
ফাইল ছবি
ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে আরও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ বসিয়েছেন দখলদার সেনারা।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন- হামাসের যোদ্ধারা ব্যাপক সংখ্যায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের আশঙ্কায় আয়রন ডোমের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যায়। খবর হারেৎজের।
ইসরাইলি মিডিয়া আরও বলে যে, ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ইহুদিবাদী সেনার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বায়তুল মুকাদ্দাসে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন-হামাস গাজা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে ইসরাইল এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ ছাড়া পশ্চিমতীরেও ফিলিস্তিনিরা অভিযান চালানোর আশঙ্কা করছে দখলদার ইসরায়েল সেনারা। এ কারণে সেখানে তাদের পূর্বনির্ধারিত প্রশিক্ষণ কোর্স স্থগিত করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলের একটি অনাবাসিক এলাকায় আঘাত হানে। এর পর দখলদার বাহিনী গাজার দক্ষিণে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়।
এতে ৯ শিশুসহ অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। গত কয়েক দিন ধরেই বায়তুল মুকাদ্দাসে মসজিদুল আকসা ও এর আশপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল বাহিনী। এসব হামলায় তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ফাইল ছবি
পাকিস্তান সরকারকে ৪২০ কোটি ডলার সহয়তা দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এ কথা জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। খবর ব্লুমবার্গের।
তিন দিনের পশ্চিম এশিয়া সফরে গিয়ে বুধবার সৌদির রাজধানী রিয়াদে সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন ইমরান খান। সেখানেই পাকিস্তান সেন্ট্রাল ব্যাংকে ৩০০ কোটি ডলার আমানতের প্রস্তাব দেন সৌদি যুবরাজ।
পাশাপাশি ১২০ কোটি ডলারের পেট্রলজাত পণ্য দেওয়ার কথাও জানান তিনি। সৌদি সরকারের এই সহায়তা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ইমরান খান।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন সালমান। সেই সময় করোনার কারণে বিধ্বস্ত পাক অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের জন্য অর্থ সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইমরান খান।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: মাগুরায় ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে নির্মম নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা যেন নাড়িয়ে দিয়েছে সারাদেশ। সমস্ত সংগঠন, এনজিও, প্রশাসন এবং সামাজিক কাঠামোগুলো নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদ এবং বিচার দাবি করছে।
আজ ১৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত ও কার্যকর বিচারের দাবিতে এনজিওসমূহের সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। দেশে শিশুদের প্রতি যৌন সহিংসতার ক্রমবর্ধমান ঘটনা ও এর জেরে ছড়িয়ে পড়া জনমত ও বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং সেভ দ্য চিলড্রেন যৌথভাবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি ও বক্তারা শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিচার ব্যবস্থার সংস্কার এবং অপরাধীদের দ্রুত ও কার্যকর আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা সরকারের প্রতি যৌন সহিংসতা প্রতিরোধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। সম্প্রতি মাগুরায় ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে নির্মম নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা সমাজে শিশুদের নিরাপত্তাহীনতার করুণ বাস্তবতা তুলে ধরেছে। শিশুদের প্রতি এমন সহিংসতা শুধু তাদের জীবনের নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ফেলছে না, বরং জাতির নৈতিকতা ও সাংবিধানিক মূল্যবোধকেও গভীরভাবে আঘাত করছে। বক্তারা এসব অপরাধের বিরুদ্ধে নীরবতার সংস্কৃতি ভাঙার, অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার এবং শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ও সহানুভূতিশীল পরিবেশ গড়ে তোলার জাকারি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে চলমান জনমত ও বিক্ষোভের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতি শিশু সুরক্ষায় আরও কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বক্তারা শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত ও কার্যকর সমাধানের লক্ষ্যে একটি “শিশু সংস্কার কমিশন গঠনের আহ্বান জানান, নীতিনির্ধারকদের কাছে শিশু সুরক্ষা ইস্যুগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি, আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর উন্নয়নে সহায়ক হবে।
সম্মেলনের শেষে, বক্তারা জোর দিয়ে বলেন যে শিশুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, শিশু সুরক্ষাকে নীতিগত ও কার্যক্রমগত সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করতে এবং এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে।বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তামান্না হক রীতি, সমন্বয়ক, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পরিচালক- প্রোগ্রাম অ্যান্ড প্ল্যানিং, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সশাহীন আনাম, নির্বাহী পরিচালক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, কবিতা বোস, কান্ট্রি ডিরেক্টর, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, আবদুল্লা আল মামুন, পরিচালক, শিশু সুরক্ষা ও শিশু অধিকার বিষয়ক সুশাসন, সেভ দ্য চিলড্রেন সহ আরো অনেকে।