a
ফাইল ছবি
ইসরায়েলের সামরিক কারাগারে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যু সম্পর্কে ওই কর্মকর্তার পরিবারকে কোনো তথ্য দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় নিহত ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার পরিবারের লোকজন ইসরায়েলি সরকারের উপর ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা বলছে, সরকার কতদূর পৌঁছেছে যে তারা তাদের কাছে এবং জনগণের কাছে এইসব তথ্য গোপন করছে।
নিহত কর্মকর্তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, ২০১৮ সাল থেকে এই পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দেয়া তার সমস্ত পোস্ট ডিলিট করে দেয়া হয়েছে। ইসরায়েলের ইংরেজি পত্রিকা দৈনিক হারেৎজ জানিয়েছে, কারাগারে নিহত এক কর্মকর্তার লাশ উধাও করে দেয়ার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। নিহত গোয়েন্দার এক আত্মীয় দৈনিক হারেৎজকে বলেছেন, আমরা কিছুই জানতে পারি নাই। প্রকৃতপক্ষে তার কি ঘটেছে আজ পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ তা ব্যাখ্যা করে বলেনি।
সামগ্রিকভাবে সেনাবাহিনীর আচরণে এটাই মনে হচ্ছে- যেন তারা অনেক কিছু গোপন করতে চাইছে। আর তাদের প্রশ্ন কিভাবে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার লাশ উধাও করে দেয়? সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
সাইবার হামলা করে এয়ার ইন্ডিয়ার প্রায় ৪৫ লাখ যাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে হ্যাকাররা। হিন্দুস্তান টাইমসের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সাইবার হামলা করা হয়েছে।
হামলায় হাতিয়ে নেওয়া তথ্যগুলোর মধ্যে আছে, যাত্রীদের ক্রেডিট কার্ড, পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ফোন নম্বরসহ ব্যক্তিগত নানান তথ্য। তবে যাত্রীদের ভিতর যাদের তথ্য চুরি করা হয়েছে, তাদেরকে সতর্ক করতে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত এই বিমান সংস্থা।
উক্ত ঘটনায় সারা বিশ্বের লাখ লাখ বিমানযাত্রীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ২০১১ সালের ২৬ অগাস্ট হতে আরম্ভ করে ৩ ফেব্রয়ারি ২০২১ পর্যন্ত মোট ১১ বছরের তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছে। তবে কোনো পাসওয়ার্ডের ডেটা প্রভাবিত হয়নি বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের ক্রেডিট কার্ডের তথ্যের ক্ষেত্রে, সিভিভি বা সিভিসি নম্বরগুলো সংস্থার ডেটা প্রসেসরে রাখা হয় না। তাছাড়া সার্ভারের সব পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়েছে। এবং কি সার্ভারগুলো সুরক্ষিত করার পর আর কোনো অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করা যায়নি।
উক্ত ঘটনার তদন্তে নেমেছে এয়ার ইন্ডিয়া। হ্যাকড হওয়া সার্ভারগুলো এখন থেকে আরো সুরক্ষিত করা হয়েছে। তথ্য সুরক্ষার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সহায়তা ও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
ফাইল ছবি
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমানে শরীরে লেগেই আছে জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে এখন অনেকেই জ্বর, সর্দির নাম শুনলেই ভয় পায়। কিন্তু এই বর্ষা মৌসুমে বা ঘন ঘন আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরে সাধারনত জ্বর, সর্দির সমস্যা দেখা দিতেই পারে। এই সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিছু আয়ুর্বেদিক প্রতিকার নিম্নে আলোচনা করা হলো:
১) তুলসী:
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে তুলসীকে বলা হয় ‘মাদার মেডিসিন অফ নেচার’ এবং ‘কুইন অফ হার্বস’। এই তুলসী সর্দি ও কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সহায়ক। এজন্য কাঁচা তুলসীর পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা চায়ের সঙ্গে তুলসীর পাতা ফুটিয়ে তুলসীর চা বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
২) আদা:
আদার মধ্যে দ্বারা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য গলার সংক্রমণ থেকে শুরু করে সর্দি, কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সহায়ক। এজন্য আপনি শুকনো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। আবার চা পাতার সঙ্গে আদা ফুটিয়ে আদা চা খেতে পারেন। অথবা কাঁচা আদার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে এই সব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
৩) মধু:
মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা কাশির সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে অত্যন্ত সহায়ক। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে এই উপাদানের ব্যবহার অপরিহার্য। গলার সংক্রমণকে দূর করতে এবং কাশি হতে রক্ষা পেতে মধু খেতে পারেন।
৪) রসুন:
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে রসুনের ব্যবহার অতি পরিচিত নাম। রসুনের মধ্যে থাকে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করে।
এছাড়াও শরীরে গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর জন্য আপনি প্রতিদিন এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খেতে পারেন অথবা কোনও খাবারের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।