a
ফাইল ছবি
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশের নেতারা প্রকাশ্যে রুবলে গ্যাস কিনবেন না বললেও তারা গোপনে গোপনে রাশিয়ার মুদ্রাতেই গ্যাস কিনছেন। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর চিফ অব স্টাফ গার্জেলি গুলিয়াস রোববার এক রেডিও অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর ব্লুমবার্গ ও পার্সটুডের।
তিনি বলেন, ইউরোপের যে সব দেশ রুবলের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে গ্যাস কিনছে সেসব দেশের নেতারা প্রকাশ্যে তা স্বীকার করছেন না শুধুমাত্র ভালো ইউরোপীয় হওয়ার জন্য। গুলিয়াস জানান, রাশিয়ার গজপ্রম ব্যাংকে তার দেশ একটি ইউরোর অ্যাকাউন্ট খুলেছে, এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তারা রাশিয়াকে রুবলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধ করবেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলোকে গ্যাসের দাম পরিশোধের জন্য রুবেল ব্যবহার করতে হবে বলে যে ডিক্রি জারি করেছেন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে তা পূরণ করা সহজ।
হাঙ্গেরির ওই কর্মকর্তা বলেন, তারা যে পদ্ধতিতে রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করছেন, একই সিস্টেমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নয়টি দেশ মূল্য পরিশোধ করছে। এ ব্যাপারে কারো মনে কোনো রকমের সন্দেহ থাকার কারণ নেই। কিন্তু তারা কেউ এ কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করবে না শুধুমাত্র ভালো ইউরোপীয় সাজতে।
তিনি কোন কোন দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে রুবলের বিনিময়ে গ্যাস কিনছে তার নাম উল্লেখ করেননি। এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ দেশ রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য রুবলের মাধ্যমে পরিশোধ করার জন্য গজপ্রম ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে এবং এরইমধ্যে চারটি দেশ রুবলের এর মাধ্যমে রাশিয়াকে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করা শুরুও করেছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
পাঁচ মাসে গড়িয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। এসময়ের মধ্যে একাধিক ইউক্রেনীয় শহর দখল করেছে রুশ বাহিনী। সবশেষ সেভেরোদোনেটস্কের পতন ঘটলো। শহরের মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক দাবি করেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের এই শহরটি রুশ সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। খবর আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ সময় ধরে চলা যুদ্ধে রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের মারিউপোলের পর এবার আরেকটি শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় ভূমি সংঘাতের কারণে শনিবারও ইউক্রেনের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ অংশে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সেভেরোদোনেটস্কে এক সময় এক লাখের বেশি মানুষ বসবাস ছিল। সেটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত মাসে মারিউপোল বন্দর দখল করার পর থেকে এই শহর দখলে মস্কোর সবচেয়ে বড় বিজয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে সেভেরোদোনেটস্কের মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক বলেন, শহরটি এখন রাশিয়ার দখলে। তারা এখন সেখানে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেভেরোদোনেস্কে কর্তৃপক্ষও নিয়োগ দিয়েছে রাশিয়া।
লুহানস্ক ও দোনেস্ক এই দুই মিলে ডনবাস। লুহানস্কে অবস্থিত সেভেরোদোনেস্ক শহরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছিল। শহরটি দখলে নিতে সর্বশক্তি নিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া।
ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ মস্কোর জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের ফলে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে করিডর তৈরি করা সম্ভব হবে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজ) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু আইসিজের নির্দেশনা অমান্য করে ইসরায়েল রাফায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। এরকম নির্দেশনা অমান্য করলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।
আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাও করেছেন ইউরোপের ২৭ দেশের জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এক সাময়িক আদেশে রাফায় ইসরায়েলকে সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত বলেছে, ইসরায়েল সেখানে হামলা করলে আশ্রয়রত বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের ঝুঁকি তৈরি হবে। আইসিজের এই রায়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েই তাদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্রাসেলসে ইইউ-এর পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মার্টিন বলেন, প্রথমবারের মতো ইইউ-এর বৈঠকে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে দেখেছি। সূত্র: ইত্তেফাক