a
ফাইল ছবি
অবশেষে সব জল্পনা ও চীনের হুমকি উপেক্ষা করে তাইওয়ানে পৌঁছেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের নিম্ন-কক্ষ হাউস অফ রেপ্রেজেনটেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এই স্ব-শাসিত দ্বীপে মঙ্গলবার রাতে মিসেস পেলোসির বিতর্কিত সফরের ঠিক আগে তাইওয়ান থেকে চীনা মূল ভূখণ্ডকে বিভক্তকারী সীমারেখায় চীন যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে।
এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম নিশ্চিত করেছে, তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করেছে চীনা যুদ্ধবিমান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সু-৩৫ যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করছে।
এর আগে চীনা বাহিনী ঐ এলাকায় তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করে সামরিক মহড়াও চালিয়েছে। চীনা সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেছে, তারা "যে কোনো ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।"
ন্যান্সির এই সফর, হোয়াইট হাউস যাতে সরাসরি কোন সমর্থন দেয়নি, গত কয়েক দশকের মধ্যে কোন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তার প্রথম তাইওয়ান সফর এটি।
কংগ্রেসের স্পিকার মার্কিন সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ পদ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের পরই পেলোসির অবস্থান। তিনি বেইজিং সরকারের দীর্ঘদিনের এক সমালোচকও বটে।
চীন বারবার করে এই সফরের বিরুদ্ধে সতর্ক করে আসছিল এবং মঙ্গলবার বলেছে, এই সফরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে "মূল্য দিতে হবে।"
তাইওয়ান একটি স্বশাসিত দ্বীপ, তবে চীন একে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পোল্যান্ড ইউক্রেনকে আর কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাভিয়েস্কি।
শস্য আমদানি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার পর এই ঘোষণা দিল পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
টানা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ এই আগ্রাসন মোকাবিলায় কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো। এমনকি প্রতিবেশী পোল্যান্ডও ছিল ইউক্রেনকে অস্ত্র সরকরাহকারীর অন্যতম দেশ।
তবে ইউক্রেনের কট্টর মিত্র বলে পরিচিত এই দেশটি এখন থেকে আর কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ না করার ঘোষণা দিয়েছে। মূলত ইউক্রেনীয় শস্য আমদানি করা বা না করা নিয়ে বিতর্কের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- কিয়েভকে অস্ত্র দেওয়ার পরিবর্তে আরও আধুনিক অস্ত্র দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করার দিকে মনোনিবেশ করবে তার দেশ।
এর আগে জাতিসংঘে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির করা মন্তব্যের জন্য গত মঙ্গলবার ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল পোল্যান্ড।
কিয়েভ থেকে খাদ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রতিবেশী তিনটি দেশের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে মামলা দায়ের করে ইউক্রেন। ওই তিনটি দেশ হচ্ছে- স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরি।
রুশ আগ্রসনের শিকার কিয়েভের অভিযোগ, ইউক্রেনের ইইউ প্রতিবেশীদের এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন। অন্যদিকে আমদানি বন্ধ রাখা এসব দেশ বলছে, সস্তায় শস্য আমদানির প্রভাব থেকে নিজেদের কৃষকদের রক্ষা করতে এই নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন ছিল।
মূলত গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে কৃষ্ণসাগরে জাহাজ চলাচলের প্রধান লেন বন্ধ হয়ে যায় এবং এর জেরে স্থলপথে বিকল্প রুট খুঁজতে বাধ্য হয় ইউক্রেন। এর ফলে মধ্য ইউরোপে প্রচুর পরিমাণে শস্য ঢুকতে থাকে।
আর এর জেরে সেসব দেশের কৃষকরা তখন থেকেই প্রতিবাদ-সমাবেশ করে আসছেন। তাদের অভিযোগ, ইউক্রেনীয় শস্যের চালান তাদের ক্ষতি করছে এবং স্থানীয় বাজারকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে।
আর সেই চাপের ফলে ২৭-সদস্যের ইইউ ব্লক চলতি বছরের শুরুতে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও সেই সাথে বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়াতে ইউক্রেনের শস্য আমদানির ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
সময়সীমার শেষ হওয়ার দিনে ইইউয়ের নির্বাহী সংস্থা হিসেবে ইউরোপীয় কমিশন এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বুদাপেস্ট, ওয়ারশো এবং ব্রাতিস্লাভার সরকার ইউরোপীয় কমিশনের এই পদক্ষেপ মানতে অস্বীকার করে এবং শস্য আমদানির বিষয়ে তাদের নিজস্ব বিধিনিষেধ ঘোষণা করে।
কারণ এসব দেশের আশঙ্কা, ইউক্রেনীয় শস্য তাদের দেশের কৃষকদের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শস্যের দাম কমিয়ে দিচ্ছে। যদিও ইউরোপীয় কমিশন বারবার বলেছে, ব্লকের মেনে চলা বাণিজ্য নীতির বাইরে ইইউ সদস্যরা পৃথকভাবে কোনও পদক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন, ডয়েচে ভেলে।
ফাইল ছবি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার এসআই মো. রেজাউল করিমের ড্রয়ার থেকে ঘুষের আড়াই লাখ টাকা বের করেন সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাইমুড়ী সার্কেল) সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনার পর এসআই রেজাউল করিমকে প্রত্যাহার করে নোয়াখালী পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অভিযুক্ত এসআই মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে নোয়াখালী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে, গত মঙ্গলবার রাতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনের নির্দেশে অভিযুক্ত রেজাউল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে এসআই রেজাউল বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরের একজন পল্লী বিদ্যুৎ ডিলারের একটি মালবাহী ট্রাক আটক করেন। গাড়িতে থাকা মালামালগুলো অবৈধ বলে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করলে, একপর্যায়ে সেই ডিলারের নিকট থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক আদায় করেন।
পরে তিনি ওই ডিলারের কাছ থেকে আরও টাকা আদায়ের ফন্দি ফিকির করেন। এদিকে ডিলার ঘুষের টাকা প্রদানের সাথে সাথেই বিষয়টি নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে জানান।
ভুক্তভোগী পুলিশ সুপারকে আরও জানান যে, দ্রুত অভিযুক্ত এসআইয়ের অফিসের ড্রয়ার তল্লাশি করলে তার দেওয়া ঘুষের টাকা পাওয়া যাবে। কথানুযায়ী পুলিশ সুপারের নির্দেশে নোয়াখালী সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাইমুড়ী সার্কেল) সাইফুল ইসলাম সোনাইমুড়ী থানায় এসে এসআই রেজাউলের টেবিলের ড্রয়ার খুলে ঘুষের টাকা পেয়ে ওই টাকা জব্দ করে পুরো ঘটনা ভিডিও ধারণ করে নেন। এ সময় এসআই রেজাউল করিম কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় তাকে তৎক্ষনাত প্রত্যাহার করা হয়।