a
সংগৃহীত ছবি
সিরিয়ায় জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে সহযোগিতার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছে ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানের রাজধানী নুর সুলতানে ১৬তম দফার বৈঠকে সিরিয়ায় জঙ্গিবাদ নির্মূলে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিন দেশ। খবর-পার্সটুডের
বৈঠকে তারা বলেছেন, সিরিয়া থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে তারা বদ্ধপরিকর এবং এ লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সিরিয়া বিষয়ক প্রথম আলোচনা শুরুর সময় কাজাখস্তানের রাজধানীর নাম ছিল আস্তানা। পরবর্তীতে শহরটির নাম পরিবর্তন করে নুর সুলতান রাখা হয়। এ কারণে তিন দেশের এই আলোচনা প্রক্রিয়াটি এখনও 'আস্তানা আলোচনা' নামেই বেশি পরিচিত।
এই তিন দেশ প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে আরও বলেছে, সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস বা দায়েশসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মূল উৎপাটন করতে হবে। এ কারণে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা জরুরি।
বিবৃতিতে তিন দেশই সিরিয়ার ইদলিবে স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং সব চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছে। এসব দেশ সিরিয়ার ইউফ্রেটিস নদীর পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনারও বিরোধিতা করেছে।
ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ক ওই বিবৃতিতে আরও বলেছে, তারা সিরিয়ার তেলসহ কোনো সম্পদ লুট, বিক্রি ও স্থানান্তরের বিরোধী। সিরিয়ার সম্পদ কেউ নিতে পারবেনা।
সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে। এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সিরিয়ায় মাঝে মধ্যেই হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এ ধরনের তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। চলতি ২০২১ সালের শেষের দিকে পরবর্তী দফা আস্তানা আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
ফাইল ছবি
বিয়ে করলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পাকিস্তানি অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে তার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
মালালার স্বামীর নাম আসার মালিক। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার আসারের সঙ্গে তার বিয়ের খবর টুইটারে জানায় মালালা। বিয়ের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আমার জীবনের একটি মূল্যবান মুহূর্ত। আসার এবং আমি আজীবনের সঙ্গী হওয়ার জন্য আজ গাঁটছড়া বাঁধলাম।’
মালালা লিখেছেন, ‘বার্মিংহামের বাড়িতেই পরিবার-পরিজনের সামনে একটা ছোট ঘরোয়া নিকাহ অনুষ্ঠানে আমরা বিশেষ মুহূর্তটি উদ্যাপন করেছি।’
সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষান-কৃষানীরা বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটিয়ে উঠোন ও বাড়ির আনাচে কানাচে তিল পরিমান জমি অনাবাদি না রেখে প্লাস্টিকের বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এতে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি আয়ের পথও দেখছেন তারা।
আজ রবিবার (১৩ জুন) সরেজমিনে, নিতাই ইউপি’র পানিয়ালপুকুর চানষা পাড়া গ্রামের কৃষক বুলবুল জানান, দীপ্ত টিভিতে বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে এ বছর ৩শত বস্তায় আদা চাষ করেছি।
তিনি আরো জানান, বস্তায় আদা চাষের সুবিধা হচ্ছে, অনাবাদি জমির সদ্ব্যবহার, অন্যদিকে হালচাষ ও শ্রমিক বিহীন এ ফসল উৎপাদন হচ্ছে।
আর যাদের আবাদি জমি নেই তারাও ইচ্ছে করলে বসতবাড়ির আশপাশে, আঙিনায়, সুপারি বাগান কিংবা অন্যান্য পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করতে পারেন।
এক একটি বস্তায় ২ থেকে ৩টি করে বীজ আদা রোপন করে ২থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। বীজ লাগানোর সময় মাটি শোধন করায় রোগ বালাই কম হয়।
সদর ইউপি’র রুপালি কেশবা গ্রামের সুমন জানান, বছরের অনেক সময় আদার দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।
তাই কয়েক বছর ধরে স্বল্পপরিসরে মিল চাতালের ওয়ালে বস্তায় আদা চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয় হচ্ছে। ওই কৃষকদের পাশাপাশি সদর ইউপি’র ইসমাইল যদুমনি গ্রামের কৃষক রশিদুল জমির আইলে ২৫০টি বস্তা, উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের আতাব্বর টোনেয়া বসত বাড়ির আঙিনায় ১৫০ বস্তা আদা লাগিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, বর্তমানে উপজেলায় যাদের জমি কম এ ধরনের প্রায় হাজার খানেক কৃষক সবজি চাষের পাশাপাশি বস্তায় আদা চাষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখছে। আর কৃষি অফিস থেকেও বস্তায় আদা চাষে মাঠ পর্যায়ে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।