a
ফাইল ছবি
সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধে নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করতে কমিটি গঠন করতে সম্মত হয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।বৃহস্পতিবার রাতে ওই পরিষদ ভোটাভুটির মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করে।
ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ২৪ ভোট এবং বিপক্ষে ৯ ভোট পড়ে। আর ভোটদানে বিরত থাকে ১৯টি দেশ। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ এখন একটি কমিটির মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করে দেখবে।
প্রস্তাবের খসড়ায় বলা হয়েছিল, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও বায়তুল মুকাদ্দাসে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করে দেখার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ যেন অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠন করে।
ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ওআইসির পক্ষ থেকে পাকিস্তান জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এই অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব করেছিল।
গত ১০ মে থেকে ইসরায়েল টানা ১২ দিন ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানগুলোতে ভয়াবহ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল এতে ৬৯ শিশুসহ অন্তত ২৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয় এবং আহত হয় আরও প্রায় দুই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
সংগৃহীত ছবি
চীনের প্রযুক্তির হুমকি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা বাড়াতে একটি বিল অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। গতকাল মঙ্গলবার ৬৮-৩২ ভোটে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে বিলটি পাস হয়। খবর রয়টার্স।
মার্কিন সিনেটে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে নানা বিষয়ে বিরোধ থাকলেও চীনের বিরুদ্ধে ‘হার্ড লাইন’ নেওয়ার বিষয়ে উভয় পক্ষই একমত।
বিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও গবেষণা জোরদার করার জন্য প্রায় ১৯০ বিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। সেমিকন্ডাক্টর ও টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম উৎপাদন ও গবেষণায় খরচ করতে অতিরিক্ত আরও ৫৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিতেও এতে বলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসে পাঠানোর আগে বিলটিকে এখন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে পাস হতে হবে। অনুমোদনের পর, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষর করলে এটি আইনে পরিণত হবে।
বিলে চীনের ‘প্রযুক্তি হুমকি’ মোকাবেলায় যেসব ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে আছে, সরকারি ডিভাইসগুলোতে টিকটক অ্যাপ ডাউনলোড নিষিদ্ধ করা, চীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া কোম্পানির তৈরি বানানো ড্রোন ক্রয় না করা।
জন কেরি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ঢাকায় পৌঁছেছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় দিল্লি থেকে বিশেষ ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় আসেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে জন কেরিকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন জন কেরি। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন জন কেরি।
জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি আগামী ২২-২৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাইমেট ইস্যুতে একটি সম্মেলনের দাওয়াত দিতে ঢাকায় এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি জো বাইডেনের পক্ষ থেকে এই সম্মেলনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাবেন।
আজ শুক্রবার বিকাল ৫টায় তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।