a
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে নিউইয়র্কে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ট্রাম্পের বেশ কয়েকজন সমর্থক বিক্ষোভ করেছেন। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলকে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ প্রদান করা হয়েছিল, এমন অভিযোগে নিউইয়র্কের প্রসিকিউটররা পাঁচ বছর ধরে তদন্ত করে আসছেন।
সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলের দাবি, সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। কিন্তু এ সম্পর্কের বিষয়টি বারবার অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
এ আশঙ্কা যদি সত্যি হয়, তাহলে ট্রাম্পই হবেন ফৌজদারি অপরাধে গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের হয়ে আবারও প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ৭৬ বছরের ট্রাম্প।
ট্রাম্প গত সপ্তাহজুড়েই বলেছেন, তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হতে পারেন। সমর্থকদের তিনি বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও ট্রাম্পের আইনজীবী বলেছেন, গণমাধ্যমের খবরের ওপর ভিত্তি করে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গণমাধ্যম বলেছে, গতকাল চূড়ান্ত সাক্ষী আইনজীবী রবার্ট কস্টেলোর সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর আইনজীবীদের প্যানেল ভোটাভুটি করতে পারে।
বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা মেয়র ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে নিরাপত্তা ও আনুষঙ্গিক পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছেন। এনবিসি নিউজ বলেছে, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ম্যানহাটনের ফৌজদারি আদালতের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
ডেমোক্রেটিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা সতর্কতা জারি করে বলেছেন, বিক্ষোভের জন্য ট্রাম্প যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে তাঁর সমর্থকেরা ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলের সহিংসতার মতো ঘটনা ঘটাতে পারেন।
‘দ্য ডোনাল্ড’ নামের একটি অনলাইন গ্রুপে ট্রাম্পের সমর্থকেরা ‘জাতীয় ধর্মঘট’ ও গৃহযুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্পের আটক ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন তাঁরা। সূত্র: প্রথম আলো
সংগৃহীত ছবি
রাজধানী কাবুল দখল করলে তালেবান যাতে মার্কিন দূতাবাসে হামলা না করে সেজন্য এই গোষ্ঠীকে বোঝানোর চেষ্টা করছে মার্কিন আলোচক দল। একাধিক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ‘দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস’ শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করে।
পত্রিকাটি বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জালমাই খলিলজাদের নেতৃত্বে একটি আলোচক দল তালেবানকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছে যে তালেবান কাবুলের দখল নিলে সেখানকার মার্কিন দূতাবাস যাতে পুরোপুরি খালি করে দিতে না হয় সেজন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন।
গত ৩ন দিন ধরে কাতারের রাজধানী দোহায় আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করেছে আফগান সরকার। ওই আলোচনায় খলিলজাদের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে বর্তমানে প্রায় ১,৪০০ কূটনীতিক ও কর্মী রয়েছে এবং তাদেরকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আমেরিকা বিশেষ বাহিনী পাঠিয়েছে। তবে কাবুলের মার্কিন দূতাবাস যাতে পুরোপুরি খালি করে দিতে না হয় বরং কূটনীতিকদের একটি দল যাতে মার্কিন স্বার্থ দেখাশোনা করতে পারে সেজন্য তালেবানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন আলোচক দল।
এছাড়া, সেসব মার্কিন নাগরিক দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানে কাজ করছে না তাদেরকে অবিলম্বে বাণিজ্যিক ফ্লাইট ব্যবহার করে আফগানিস্তান ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে তালেবানের আকস্মিক অগ্রাভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ তাদের দূতাবাস ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর কর্মীদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে বলে খবর এসেছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তালেবান রাজধানী কাবুল দখল করলে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে।
গত ২০ বছর ধরে আমেরিকা ও তার মিত্ররা আফগানিস্তানে বন্দি নির্যাতন, রাত্রিকালীন অভিযান, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা, মাদকদ্রব্যের আবাদ ও চোরাচালান বৃদ্ধিসহ এরকম আরও বহু জঘন্য অপরাধ করে আসছিল।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিকে বিশ্লেষকরা আমেরিকার ওই অপরাধযজ্ঞের পরিণতি বলেই মনে করছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ডিপোর ভেতরে চললো স্বপ্নের মেট্রোরেল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে উত্তরায় ওয়ার্কশপ থেকে চালিয়ে আনলোডিং জোনে নিয়ে আসা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ মে) মেট্রোরেলের প্রথম চলাচল প্রদর্শন উপলক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভার্চুয়ালি উপস্থিতিতে একটি ছোটখাটো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
ভার্চুয়ালিভাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রিসিভিং ইনস্পেকশানের পরে ডিপোতে ফাংশনাল টেস্ট করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আগস্ট মাসে পারফর্মেন্ট টেস্ট হবে। এরপরে ইন্ট্রিগেটেড টেস্ট শেষে ট্রায়াল রান অনুষ্ঠিত হবে। মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়, এটি বাস্তবতা। প্রদর্শনীর পর পুনরায় ট্রেনটি ওয়ার্কশপে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল মেট্রো ট্রেনের প্রথম সেটটি জাপান থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছায়, যা ফার্স্ট ট্র্যাক করা সরকারি প্রকল্পটির জন্য একটি বড় ধরনের মাইলফলক। দ্বিতীয় সেটটি রোববার মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।