a
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য কতিপয় মূর্খ মানুষ দায়ী। এই সংঘাত বৃদ্ধির কারণে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়াতে আলোচনার মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধান জরুরি। নেভাদা অঙ্গরাজ্যে শনিবার ‘সেভ আমেরিকা’ শীর্ষক সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। খবর উইওনের।
ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, আমাদের পৃথিবীর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না কারণ ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিপদ সম্পর্কে মূর্খ লোকদের কোনো ধারণা নেই। আমাদের অবশ্যই অবিলম্বে ইউক্রেনের যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ অবসানের জন্য আলোচনার দাবি জানাতে হবে। নয়তো আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে শেষ হয়ে যাব এবং আমাদের গ্রহের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। এর আগেও ট্রাম্প এই আশঙ্কার কথা বলেছিলেন। একটি রেডিও শোতে তিনি বলেন, ইউক্রেনের সংঘাত অসাবধানতাবশত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, মানবসভ্যতার জন্য বিপর্যয়কর পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকিতে পড়েছে বিশ্ব। বাইডেন সতর্ক করে বলেন, রাশিয়া ছোট আকারের কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। সেটা মানবসভ্যতাকে বিপর্যয়কর হুমকির (আরমাগেডন) মুখে ফেলবে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের পূর্বাবঞ্চলের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এই নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ডনবাস এবং খারকিভ অঞ্চলের সম্মুখসারিতে রাশিয়ার যুদ্ধ অত্যন্ত কঠিন। রবিবার (২৯ মে) আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানান তিনি।
'আমি ইউক্রেনীয়' লেখা টি-শার্ট পরে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার মনোনিবেশ এখনো রয়েছে সেভেরোদোনেতস্ক, লিসিচাঙ্ক, বাখমুত এবং পোপাসনা শহরে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, 'আমি বিশ্বকে মনে করিয়ে দেবো রাশিয়াকে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।' সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় প্রতিবাদে নেমেছে পরিবহন সেক্টরগুলো। ফলে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি পর্যন্ত চলেনি রাজধানীসহ সারাদেশে। এতে জনজীবনে অসহনীয় ভোগান্তি ও দুর্দশা নেমে আসে।
বাস মিনিবাস না চলার কারণে সারাদেশ অচল হয়ে পড়ে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ট্রাক ভ্যানের দেখাদেখি সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এদিন কার্যত হরতালের রূপ নেয়। শুধু বাস বন্ধ থাকার খেসারত দিতে হয়েছে লাখ লাখ বেকার শিক্ষার্থীকে।
শুক্রবার বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারী নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় তাদের দুর্বিষহ ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। অনেকেই ঢাকায় আসতে না পারায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এ ধরনের ধর্মঘটে জনজীবনে ভোগান্তির পাশাপাশি কাঁচাবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার যেই চিত্র দেখা গেছে- আজ শনিবার তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অনেকে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে শুক্রবারেই সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আগামীকাল রবিবার পরিবহন নেতাদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। তিনি পরীক্ষার্থী ও জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাস্তবভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাসও দেন।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিও জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের ডাকা যে কোন বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। সংগঠনের সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খন্দকার বলেছেন, সরকারের ডাকের অপেক্ষায় রয়েছি। তেলের দাম না কমানো পর্যন্ত মালিকরা গাড়ি চালাবেন না। তবে এই ধর্মঘট কাল রবিবার পর্যন্ত চলবে।
যদিও আমরা কোন ধর্মঘটের ঘোষণা দেইনি-কিন্তু মালিকদের সেন্টিমেন্টের সঙ্গে আমরা একমত ও সংহতি প্রকাশ করছি।
এদিকে সাধারণ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নাগরিকদের ভোগান্তি তৈরি ছাড়া আর কিছুই না। তেলের মূল্য প্রত্যাহার বা স্থগিত করার কথা বললেও অন্তরালে আছে ভাড়া সমন্বয় করার কৌশল। পরিবহন মালিকদের উদ্দেশ্য ও স্বার্থ হয়তো রক্ষা হবে কিন্তু সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রা ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। আমরা তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল এবং পণ্য পরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিন সকাল থেকেই দেখা যায়, রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখেন মালিক-শ্রমিকরা। দিনের শুরুতেই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। অথচ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়নি। অর্থাৎ ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার সকাল থেকে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট।
তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে শুধু ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। গন্তব্যের উদ্দেশে সড়কের বিভিন্ন মোড়গুলোতে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। কিন্তু কোন বাস না পেয়ে রিক্সা-সিএনজি কিংবা প্রাইভেটকার ভাড়া করে বাড়তি টাকা খরচ করে ছুটছেন অনেকে।