a
ফাইল ছবি
বিশ্বের ধনী দেশগুলোর স্বার্থপরভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ন্ত্রণকে অনৈতিক এবং অন্যায্য বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, দরিদ্র দেশগুলোকে ভ্যাকসিন লাভের সুযোগ না দেয়ায় মহামারির বিরুদ্ধে দেশগুলো সুরক্ষা হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকিতেই থাকছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রত্যেক দেশে জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশী লোককে টিকাদান করতে হবে। কিন্তু কোভিড-১৯ সংকট কাটাতে কাজ খুব কম হয়েছে। ধনী দেশগুলোকে এসব দরিদ্র দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছানোর সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
হু চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রতিটি দেশের ১০ শতাংশ লোককে ভ্যাকসিন প্রদান সম্পন্ন করার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিল, তবে ৫৬ টি দেশে এই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। হু প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসিস বলেন, এ ক্ষেত্রে এসব দেশের নিজেদের কোন দোষ ছিল না।
সংস্থা বলেছে, প্রতিমাসে ১.৫ বিলিয়ন ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে, অথচ এক সপ্তাহের কম সময়ের উৎপাদন দিয়ে এই ১০ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যেতো।
হু প্রধান টেড্রোসের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “ভ্যাকসিন সরবরাহে বৈষম্য কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় প্রতিবন্ধক হয়ে রয়েছে।”
ছবি: সংগৃহীত
মোবাইল ফোন চার্জে থাকা অবস্থায় বিস্ফোরণের ঘটনায় চার ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। এতে গুরুতর দগ্ধ হয়েছে তাদের মা-বাবাও। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরুত জেলায়।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, কাজের সূত্রে মিরুতের পল্লবপুরম থানা এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করেন জনি। স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে সুখেই চলছিল তার সংসার। হোলির ছুটি থাকায় শনিবার জনি বাড়িতেই ছিলেন ও ঘটনার সময় জনির স্ত্রী খাবার বানাচ্ছিলেন। তাদের চার সন্তান সারিকা (১০) নীহারিকা (৪), সংস্কর (৬) ও কালু (৪) ঘরের ভিতরে খেলা করছিল।
জানা গেছে, মোবাইল চার্জে বসিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন জনি। ফলে তারা খেয়ালই করেননি সুইচ বোর্ডে স্ফুলিঙ্গ হচ্ছে। আচমকাই মোবাইল বিস্ফোরিত হয় ও সেটি বিছানায় পড়তেই আগুন ধরে যায়। আর সেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় চার শিশুর। গুরুতর দগ্ধ হন জনি ও তার স্ত্রীও।
স্থানীয় বাসিন্দারা জনি ও তার স্ত্রীকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও, শিশুগুলোকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ও চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শর্ট সার্কিটের জেরেই মোবাইল ফোনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। আর সেই বিস্ফোরণে ঘরে আগুন ধরে যায়। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ফাইল ছবি
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তৃতীয়বারের করোনা পরীক্ষাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে। বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বুধবার গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রিজভী আহমেদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও বুধবার তৃতীয়বার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তার ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত। বুধবার সকালে তার ডায়াবেটিস একেবারে কমে গিয়ে হাইপো হয়েছিল। সাথে সাথে চিকিৎসকরা ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে তার ডায়াবেটিস এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এর আগে, করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৭ মার্চ থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সেখানে কোভিড ইউনিটে ১৩০৫ নম্বর কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে।