a
ফাইল ছবি
করোনার যেনো ভারতকে আটকে ধরেছে । দেশটিতে করোনায় গত একদিনের মৃতের সংখ্যা আবারো চার হাজার ছাড়ালো । করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়া ভারতে আবার নতুন করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রোকোপের পর হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাক দেখা দিয়েছে ।
দুই মাস পূর্বে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রথম এই বিরল প্রাণঘাতী ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ভারত ‘এপিডেমিক ডিজিজ এ্যাক্ট’ এর আওতায় এই সংক্রমণকে ‘মহামারি’হিসেবে ঘোষণা করেছে । গতকাল ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‘এপিডেমিক ডিজিজ এ্যাক্ট’ এর আওতায় ‘মিউকোরমাইসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ সংক্রমণের তালিকা চেয়ে সকল রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে এবং বিষয়টি ইউনিয়ন হেলথ মিনিস্ট্রি’কে জানানো হয়েছে ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা যায়, দেশটির বিহার রাজ্যে নতুন করে অন্তত চারজন হোয়াইট ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে তারা করোনা আক্রান্ত হননি। কিন্তু করোনার লক্ষণ থাকলেও পরীক্ষায় তা ধরা পড়েনি।
ভারতের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন করোনা থেকে আরোগ্যের পথে বা সুস্থ হয়ে ওঠাদের শরীরে বিরল যে সংক্রমণ- যার নাম ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বা বৈজ্ঞানিক নাম মিউকোরমাইকোসিস। মিউকোরমাইকোসিস খুবই বিরল একটা সংক্রমণ। মিউকোর নামে একটি ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে এই সংক্রমণ হয়। সাধারণত এই ছত্রাক পাওয়া যায় মাটি, গাছপালা, সার এবং পচন ধরা ফল ও শাকসবজিতে।
এদিকে ভারতীয় চিকিৎসকরা বলছেন ব্লাক ফাঙ্গাসের বিপজ্জনক রূপ হলো হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাক। এই রোগের প্রভাবে ফুসফুসজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে। পেট, যকৃত, মস্তিষ্ক, নখ, ত্বক এবং গোপনাঙ্গেও ক্ষতি করতে পারে হোয়াইট ফাঙ্গাস।
ফাইল ছবি
ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে আরও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ বসিয়েছেন দখলদার সেনারা।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন- হামাসের যোদ্ধারা ব্যাপক সংখ্যায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের আশঙ্কায় আয়রন ডোমের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যায়। খবর হারেৎজের।
ইসরাইলি মিডিয়া আরও বলে যে, ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ইহুদিবাদী সেনার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বায়তুল মুকাদ্দাসে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন-হামাস গাজা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে ইসরাইল এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ ছাড়া পশ্চিমতীরেও ফিলিস্তিনিরা অভিযান চালানোর আশঙ্কা করছে দখলদার ইসরায়েল সেনারা। এ কারণে সেখানে তাদের পূর্বনির্ধারিত প্রশিক্ষণ কোর্স স্থগিত করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলের একটি অনাবাসিক এলাকায় আঘাত হানে। এর পর দখলদার বাহিনী গাজার দক্ষিণে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়।
এতে ৯ শিশুসহ অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। গত কয়েক দিন ধরেই বায়তুল মুকাদ্দাসে মসজিদুল আকসা ও এর আশপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল বাহিনী। এসব হামলায় তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ফাইল ছবি
দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের ভুগছিলেন আম্পায়ার নাদির শাহ। রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় দিকে মারা গেছেন বাংলাদেশের আইসিসি প্যানেল আম্পায়ার নাদির শাহ। রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
বছরদুয়েক আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে জাতীয় লিগের ম্যাচ পরিচালনা করার সময় মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর থেকেই অনেকটা গৃহবন্দি মাঠের এই মানুষ। খেলোয়াড়ী জীবনে নাদির শাহ ছিলেন লেগ স্পিনার। সঙ্গে ব্যাটিংও খারাপ করতেন না। ঢাকা লিগে দুই দশকের বেশি সময় খেলেছে আবাহনী, মোহামেডান, বিমান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, সূর্যতরুণ, আজাদ বয়েজ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান ক্লাবের হয়ে। পরে আম্পায়ারিং শুরু করে একসময় হয়ে ওঠেন দেশের এক নম্বর আম্পায়ার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করে ২০০৬ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয় তার। সব মিলিয়ে ৪০টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তিনি পরিচালনা করেন মাঠে দাঁড়িয়ে। টিভি আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেন ৬ টেস্ট ও ২৩ ওয়ানডেতে। এছাড়াও ৭৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ১২৭টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন তিনি।
তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে বিসিবি পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নাদির শাহ (১৯৬৪-২০২১)। আমাদের ভালোবাসার মানুষ, অতুলনীয় নাদির শাহ আর নেই। তার বিদেহী আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করছি।’