a
ফাইল ছবি
ইসরায়েলে নতুন সরকার গঠনের জন্য ৮টি বিরোধী দল মিলে যে জোট গঠন করেছে, সে জোটের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সম্ভাব্য সরকার গঠন করতে এই জোটকে ঠেকিয়ে দিতে সংসদ সদস্যদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি দাবি করেছেন, এই জোট যে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তা ইসরায়েলের জন্য ‘বিপজ্জনক’।
তিনি বলেন, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের রাজনৈতিক দলগুলো মিলে যে জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে, সেটা ‘বামপন্থি’ সরকার। এই সরকার ইসরায়েলের ভবিষ্যতকে বিপদাপন্ন করে তুলবে। খবর বিবিসির।
প্রস্তাবিত সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ডানপন্থিদের একজোট হওয়ার আহ্বানও জানিয়ে নেতানিয়াহু এক টুইট বার্তায় আরও বলেন, এটি (নতুন সরকার) হল ইসরায়েলবাসীর জন্য শতাব্দীর সবচেয়ে বড় প্রতারণা। এটি একটি বামপন্থি সরকার।
নেতানিয়াহু বলেন, নিশ্চিতভাবেই অদূর ভবিষ্যতে এর কারণে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের জীবন-নিরাপত্তা বিপন্ন হবে। আমি নেসেটের (ইসরায়েলের আইনসভা) ডানপন্থি সব সদস্যকে এই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই বামপন্থিদের বিরুদ্ধে অবস্থা নিন।
এদিকে, নেতানিয়াহুকে সরিয়ে নতুন সরকার গঠন করতে জোট তৈরি করেছে ৮টি বিরোধী দল। ইয়ামিনা পার্টি ও ইয়েশ আটিডের নেতৃত্বাধীন এই জোটে যুক্ত হয়েছে একটি আরব দলও। ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটলো।
৮ দলের জোট সরকার গঠন করার লক্ষ্যে বুধবার রাতে ইসলামি আন্দোলনের দক্ষিণ শাখার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড আরব লিস্ট প্রধান মনসুর আব্বাসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইয়েশ আটিড দলের নেতা ইয়ার লাপিদ। তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার লক্ষ্যেই জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
ফাইল ছবি
রাজধানী কাবুল দখলের পর আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে তালেবান। এরই মধ্যে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। খবর আল-জাজিরার।
এদিকে, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি তার মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে সেখানে পাড়ি জমান। এরপরই রবিবার রাতে প্রেসিডেন্ট ভবনের দখল নেয় তালেবান।
মোহাম্মদ নাইম নামে তালেবানের এক মুখপাত্র বলেন, “তালেবান বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে চায় না এবং শাসনের ধরন ও রাষ্ট্রীয় গঠন কাঠামো খুব শিগগিরই পরিষ্কার করা হবে। বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবান শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। যুদ্ধ শেষ হয়েছে। আমরা যা চাচ্ছিলাম তা পেয়েছি। এই স্বাধীনতা আমাদের দেশের, দেশের জনগণের। আমাদের এই ভূমিকে অন্যের ক্ষতি করার জন্য ব্যবহৃত হতে দেব না এবং আমরাও কারও জন্য ক্ষতির কারণ হব না।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ সকাল সাড়ে ১০ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নরেন্দ্র মোদিকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন বলে জানা গেছে।
নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।