a
ফাইল ছবি
নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারি আগামী নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচরনের আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে দেশটির সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। এ নিয়ে নেপালে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট শুরু হলো। খবর রয়টার্সের।
গত বছর ২০ ডিসেম্বর দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি হঠাৎ করে দেশটির নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কাঠমান্ডু পোস্টের খবরের বরাত দিয়ে বলা হয়, দেশটির নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পর দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। আদালত ঘোষণা দেয় এ সিদ্ধান্ত সম্পুর্ণ অসাংবিধানিক।
এরপর প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি গতকাল শুক্রবার রাত ২টার দিকে হঠাৎ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি কিংবা বিরোধী নেতা শের বাহাদুর দেউবা—কেউই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেননি। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত তাদেরকে সময় দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ১২ নভেম্বর হবে প্রথম ধাপের নির্বাচন এবং দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৯ নভেম্বর। প্রেসিডেন্টের গৃহিত এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে রাজনৈতিক দল কিংবা কোনো নেতা কেউ কোন মন্তব্য করেনি।
ফাইল ছবি
আমেরিকা ২০ বছর ধরে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়ে আফগানিস্তান থেকে পালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির একজন কর্মকর্তা।
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সারওয়ার দানিশের প্রেস সচিব মোহাম্মদ হেদায়েত শনিবার কাবুলে এক বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন। খবর তাসনিম নিউজের।
আফগানিস্তানে দুই দশক ধরে মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকা যেসব স্লোগান দিয়ে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করেছিল তার একটিও বাস্তবায়িত করেনি।
মোহাম্মদ হেদায়েত বলেন, আমেরিকা ২০ বছর পর যা রেখে গেছে তা নিশ্চিতভাবে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নয়; বরং এখন আফগানিস্তানে যুদ্ধ ও সহিংসতা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
২০০১ সালের শেষের দিকে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়ে তৎকালীন তালেবান সরকারের পতন ঘটায় এবং দেশটিতে একরকম বিশৃংখলা সৃষ্টি করে।
আমেরিকা ঘোষণা করে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করেছে। কিন্তু ২০ বছরে এসব লক্ষ্যের একটিও অর্জন করতে পারেনি আমেরিকা।
মার্কিন সরকার ঘোষণা করেছে, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সকল সৈন্য সরিয়ে নেবে।
ফাইল ছবি
ভারতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল পিস ইউনিভার্সিটি।
দেশটির সংবাদমাধ্যম সিটিটুডে’র এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এই বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে একাধিকবার ভুয়া বা ফেক ডিগ্রি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ অভিযানে এমন একটি ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি কেলেঙ্কারির উদঘাটন করে। সেইসঙ্গে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে।
সেসময় একটি হোটেলে আয়োজন করা হয় শতাধিক ব্যক্তিকে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানের। কিন্তু সেই হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। সেই অনুষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে আটক ও ভুয়া কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিগুলো অর্থের বিনিময়ে লোকদের কাছে বিক্রি করার।
স্থানীয় একটি হোটেলে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার শান্তি কাউন্সিল এবং ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল পিস ইউনিভার্সিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, বিধায়কও এই ডিগ্রির প্রার্থী ছিলেন। রাজ্যজুড়ে এবং তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মোট ১৪২ জন প্রার্থী এই ডিগ্রি অর্জনের জন্য জড়ো হয়েছিলেন। বেশিরভাগ প্রার্থী ডিগ্রির জন্য ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছিলেন।
এদিকে, গত ১০ এপ্রিল সম্মানসূচক ডক্টর অব মিউজিক পদকে ভূষিত হন বাংলাদেশের ফোক সম্রাজ্ঞী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে এই সম্মানসূচক পদক দেয় ভারতের গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি। কিন্তু মমতাজ বেগমের ডক্টরেট ডিগ্রি লাভের বিষয়টি নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট ডিগ্রি ও ডিগ্রিদাতা প্রতিষ্ঠান নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ।
কারণ, ভারতের সরকারি ওয়েবসাইটে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় মমতাজ বেগমের দাবি করা প্রদেশে এই নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভারতের দ্যা ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন (ইউজিসি) অ্যাক্ট- ১৯৫৬ এর সেকশন ২২(১) অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, অথবা ইউজিসি অ্যাক্ট-১৯৫৬ এর ৩ এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়, অথবা সংসদীয় কোনো আইনের আওতায় প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানই শুধু ডিগ্রি প্রদান করতে পারবে।
ইউজিসি অ্যাক্ট-১৯৫৬ এর সেকশন ২৩ এ বলা হয়েছে, উপরিউক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া আর কেউ ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না। গ্লোবাল হিউম্যান পিস বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের ইউজিসি অ্যাক্ট-১৯৫৬ অনুযায়ী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই নয় এবং এটি কোনো ডিগ্রিও প্রদান করতে পারে না।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিশ্বের প্রায় সব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ থাকলেও গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি নামে কোনো পেজ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সূত্র:বিডিপ্রতিদিন