a
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস পুনরায় চালু করা হবে বলেছেন মধ্যপ্রাচ্যে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে মঙ্গলবার অধিকৃত পশ্চিমতীরের রামাল্লায় বৈঠককালে তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর আলজাজিরার। কবে নাগাদ দূতাবাসটি চালু করা হবে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং তাদের সহায়তা করার জন্য এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমে অবস্থিত দূতাবাসটিতে সরিয়ে নেন। কট্টর ইহুদিবাদী এবং মুসলিমবিদ্বেষী হিসেবে সমালোচিত ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কও ছিন্ন করেছিলেন। কিন্তু দূতাবাসটি দীর্ঘদিন ধরে একটি স্বায়ত্তশাসিত অফিস হিসেবে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিল।
অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে এবং এ বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করতে আমি ফিলিস্তিন এসেছি। পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর নির্মিত একটি সম্পর্ক এবং ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলিরা একইভাবে সুরক্ষা, স্বাধীনতা, সুযোগ ও সমান মর্যাদা প্রাপ্য।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই কূটনীতিক সফরের অংশ হিসেবে ইসরাইলেও গেছেন। সেখানে তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে।
তারপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন,আমি আশ্বস্ত করছি গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছাবে। তবে এতে হামাসের কোনো লাভ হবে না। গাজায় আমরা পুনর্বাসনের জন্য কাজ করে যাব।
ফাইল ছবি
মুসলিম দেশগুলোর সহিত সম্পর্ক বহুমুখীকরণ করতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
বুধবার রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় ল্যাভরভ এই আহ্বান জানান। রাশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের মধ্যে এটি হচ্ছে দ্বাদশ সম্মেলন। রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় কাজান শহরে সম্মেলনটি শুরু হয়েছে।
রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপকভিত্তিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলো অংশ নিচ্ছে।
সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় ল্যাভরভ বলেন, “মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, অংশীদারিত্ব এবং আন্তঃধর্মীয় ও আন্ত সভ্যতার সংলাপ, জাতিসংঘ সনদের লক্ষ্য ও আদর্শ সামনে রেখে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতির ভিত্তির ওপর রাশিয়ার এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত। এ কারণে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে এবং সফলতার সাথে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে নানামুখী যে সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছি তা ন্যায় সঙ্গত।”
এই সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় রাশিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক আলেকজান্ডার বিকান্তভ বলেন, তার দেশ এবং মুসলিম বিশ্বের ওপর পশ্চিমা দেশগুলো অব্যাহতভাবে গোয়েন্দা যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। পশ্চিমাদের এই শত্রুতা মোকাবেলার জন্য রাশিয়া এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ছবি সংগৃহীত: ইসরায়েলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ নিজ ঘর-বাড়িতে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা
আজ ১৯ জানুয়ারি, রোববার সকাল থেকে গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে নিশ্চিত করা হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে। ৪৬০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার প্রতিটি পরিবার। তবে ইসরাইলের মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি ও ‘জিম্মি’ মুক্তির চুক্তি অনুমোদন পাওয়ায় স্বস্তির আশায় প্রহর গুনছেন ফিলিস্তিনিরা। আজ রোববার সকাল থেকেই তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে এবং প্রাণ ভরে ভোগ করবে স্বাধীনতার স্বাদ।
গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যম এক্সের এক পোস্টে ঘোষণা করেছেন, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট (গ্রিনিচ সময় ৬টা ৩০ মিনিট) থেকে গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি শনিবার এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘পক্ষগুলোর মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে... গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি রোববার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে। আমরা আমাদের ভাইদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার এবং সরকারি সূত্র থেকে নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছি।’
আল-জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার সকালের দিকে ইসরাইলি সরকার ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর চুক্তিটি অনুমোদন করেছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
আল-জাজিরা আরো জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর ৪৬০ দিনেরও বেশি সময় পর এই চুক্তিটি অনুমোদিত হয়েছে। এ সময়ে ইসরাইলি বাহিনী ৪৬ হাজার ৭৮৮ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ১ লাখ ১০ হাজার ৪৫৩ জনকে আহত করেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে বন্দী ৩৩ ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়া হবে। বিনিময়ে ইসরাইল কর্তৃক বন্দী শত শত ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হবে।
জর্ডান থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক হামদাহ সালহুত বলেছেন, ‘সকলের নজর এই মুহূর্তে গাজার দিকে। এই শেষ মুহূর্তে ইসরাইলি সেনাবাহিনী কী করতে চলেছে তা দেখার জন্য। কারণ ঐতিহাসিকভাবে, যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আগে ইসরাইলি সেনাবাহিনী তার সমস্ত শক্তি দিয়ে গাজা উপত্যকায় আক্রমণ করে।’
তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে সেখানে ‘অনেক ভয় ও উদ্বেগ থাকবে।’
এদিকে, বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে গত বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পরও ইসরাইলি বাহিনী এলোপাতাড়ি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: আলজাজিরা