a
সংগৃহীত ছবি
ফিলিপাইনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় পোন্দাগুইতান ও এর আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
ফিলিপাইনের দাভাও ওরিয়েন্টাল প্রদেশের মাতি শহরে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪৬ মিনিটে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, পোন্দাগুইতান থেকে ৬৩ কিলোমিটার পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।
ভূমিকম্পের পরপরই ওই এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা। ফিলিপাইনের ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, আজকের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
তবে এই ভূমিকম্পের ফলে মার্কিন উপকূলে সুনামি আঘাত হানার আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস)।
ফাইল ছবি
মেক্সিকো উপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আইডা‘ যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ঘণ্টায় ১৫০ মাইল বেগে আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় রোববার উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে ‘আইডা‘। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচএস) বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেখানকার লোকজনকে ব্যাপক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে। মেক্সিকো উপত্যকা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ধেয়ে আসে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আইডা। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় আগেই উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এরই মধ্যে ওই অঞ্চলের হাজার হাজার বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে।
যারা এখনো সেখানে রয়ে গেছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন লুইজিয়ানা মেয়র। এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘূর্ণিঝড় আইডাকে খুবই বিপজ্জনক বলে আখ্যা দিয়েছেন। এরই মধ্যে লুইজিয়ানার প্রায় তিন লাখ মানুষ অন্ধকারে রয়েছে।
বাইডেন হুঁশিয়ার করেছেন যে, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সপ্তাহের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। এর আগে ২০০৫ সালে এই দিনে লুইজিয়ানাসহ আশপাশের এলাকায় আঘাত করেছিল ক্যাটরিনা। যা ছিল ঐতিহাসিকভাবে বিধ্বংসী এক ঘূর্ণিঝড়।
এতে মারা গিয়েছিল ১ হাজার ৮০০ মানুষ। ক্যাটরিনা ছিল ক্যাটাগরি তিন ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু এবার আঘাত হানতে যাওয়া ‘আইডা‘ চার ক্যাটাগরি ঘূর্ণিঝড়। আশঙ্কা করা হচ্ছে আইডায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ওই রকমই হবে।
এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য চার হাজারের বেশি ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বাসিন্দাদের সহায়তার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৯৫টি জলযান, ৭৩টি নৌকা ও ৩৪টি হেলিকপ্টার।
শুধু লুইজিয়ানা নয়, মিসিসিপিসহ আলাবামা-ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সীমান্ত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা যাওয়ার পূর্বাভাসে দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঝড়ের পাশাপাশি এসব অঞ্চলে হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাতও। মিসিসিপিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় আগেই।
ফাইল ছবি
পাঁচ মাসে গড়িয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। এসময়ের মধ্যে একাধিক ইউক্রেনীয় শহর দখল করেছে রুশ বাহিনী। সবশেষ সেভেরোদোনেটস্কের পতন ঘটলো। শহরের মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক দাবি করেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের এই শহরটি রুশ সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। খবর আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ সময় ধরে চলা যুদ্ধে রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের মারিউপোলের পর এবার আরেকটি শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় ভূমি সংঘাতের কারণে শনিবারও ইউক্রেনের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ অংশে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সেভেরোদোনেটস্কে এক সময় এক লাখের বেশি মানুষ বসবাস ছিল। সেটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত মাসে মারিউপোল বন্দর দখল করার পর থেকে এই শহর দখলে মস্কোর সবচেয়ে বড় বিজয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে সেভেরোদোনেটস্কের মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক বলেন, শহরটি এখন রাশিয়ার দখলে। তারা এখন সেখানে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেভেরোদোনেস্কে কর্তৃপক্ষও নিয়োগ দিয়েছে রাশিয়া।
লুহানস্ক ও দোনেস্ক এই দুই মিলে ডনবাস। লুহানস্কে অবস্থিত সেভেরোদোনেস্ক শহরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছিল। শহরটি দখলে নিতে সর্বশক্তি নিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া।
ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ মস্কোর জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের ফলে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে করিডর তৈরি করা সম্ভব হবে। সূত্র: ইত্তেফাক