a
সংগৃহীত ছবি
ফিলিপাইনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় পোন্দাগুইতান ও এর আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
ফিলিপাইনের দাভাও ওরিয়েন্টাল প্রদেশের মাতি শহরে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪৬ মিনিটে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, পোন্দাগুইতান থেকে ৬৩ কিলোমিটার পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।
ভূমিকম্পের পরপরই ওই এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা। ফিলিপাইনের ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, আজকের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
তবে এই ভূমিকম্পের ফলে মার্কিন উপকূলে সুনামি আঘাত হানার আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস)।
ফাইল ছবি
মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তার গত ৮ মার্চের ঘোষণায় ধারাবাহিকতায় ১ মে থেকে পর্তুগালে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা সংবাদ সম্মেলনে জাতির উদ্দেশে বিস্তারিত জানান।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্পেনের সঙ্গে বন্ধ থাকা বর্ডার খুলে দেওয়া হবে। রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, বেকারিসমূহ খোলা থাকবে রাত ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত।
রেস্টুরেন্টে একই টেবিলে ৬ জন ও বাইরে সর্বোচ্চ ১০ জন বসতে পারবে, শপিংমল রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সুপারমার্কেট সাধারণ দিনে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি ছুটির দিনে খোলা থাকবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ১৫ দিন পর পর পর্যালোচনা করা হবে। পরিস্থিতি ভালো থাকলে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে, না হলে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। সেই সাথে পর্তুগালের চলমান জরুরি অবস্থা আজ ৩০ এপ্রিল রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে।
গত জানুয়ারিতে করোনা ভাইরাস মহামারির কঠিন পরিস্থিতির পর দেশটি শুধু ইউরোপ নয় বিশ্বের সবচেয়ে কম করোনা সংক্রমণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। পর্তুগালে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৯৭৪ জন।
ফাইল ছবি
ঢাকায় আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে ফিরতে না পারলে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন। অর্থাৎ আজ ফিরতে না পারলে সবাইকে বাড়িতেই থাকতে হবে।
আগামীকাল ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এই ইস্যুতে কোনো গুজবে না দেওয়ার আহ্বান জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
বুধবার রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ২৩ জুলাই থেকে বিধি-নিষেধ শুরু হবে। শেষ হবে ৫ আগস্ট। এটা পূর্ব নির্ধারিত প্রজ্ঞাপন। এই ইস্যুতে গুজবে কান দেবেন না। ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধি-নিষেধ দিয়েছে সরকার। বিধি-নিষেধের সময় সব অফিস বন্ধ থাকবে।
সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসহ সারা দেশে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। বিধি-নিষেধ শেষে যেন ঢাকায় চাকরিরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফিরে আসেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ১৪ দিন যদি আমরা বিধি-নিষেধ মানি তাহলে সংক্রমণের চেইনটা ভাঙতে পারব। সবাই যার যার অবস্থানে থেকে সহযোগিতা করবেন।