a
ফাইল ছবি
ইসরাইল নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর দায়ে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এক চিঠিতে তিন লাখ ১৫ হাজারেও বেশি মানুষ গণস্বাক্ষর করেছেন।
ব্রিটিশ সরকারকে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনে নারী ও শিশুদের ওপর বোমা হামলাসহ সাধারণ মানুষের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে ইসরাইলের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারের সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক। খবর আনাদোলুর
ইসরাইল আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির প্রতি কোন তোয়াক্কা না করে অবৈধ ইহুদি বসতি গড়তে দেশটি নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি দখল করছে এবং তাদের গুলি করে নির্বিচারে হত্যা করছে। গণস্বাক্ষর সংবলিত চিঠিটি পরে সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ব্রিটেনে ১০ হাজারের বেশি স্বাক্ষরসংবলিত চিঠির জবাব দেয় সরকার। আর স্বাক্ষরের সংখ্যা এক লাখের বেশি হলে ওই বিষয় নিয়ে পার্লামেন্ট অধিবেশনে বৈঠক হয়।
এ ক্ষেত্রে দেশটির পার্লামেন্টে আলোচনা করতে যে সংখ্যক গণস্বাক্ষর প্রয়োজন, তার তিনগুণ বেশি স্বাক্ষর পড়েছে ইসরাইল বিরোধী এ চিঠিতে। এ ধরনের আরেকটি চিঠিতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে ব্রিটিশ সরকারকে। ওই চিঠিতে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারেরও বেশি স্বাক্ষর পড়েছে। চেঞ্জ ডট অর্গ নামে একটি ওয়েবসাইটে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ওই গণস্বাক্ষরের পরিসংখানের তথ্য জানা যাবে।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজা ও পশ্চিমতীরের আবাসিক এলাকাগুলোতে নির্বিচারে বিমান হামলায় কমপক্ষে ৬১ শিশুসহ ২১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং দেড় হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন।
ছবি সংগৃহীত
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরদিনই ইরান সফরে গেছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। মঙ্গলবার ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এদিন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া।
সেখানে তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব প্রমাণ করেছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরাইল ‘অভূতপূর্ব কোণঠাসা’ অবস্থায় রয়েছে। ইসরাইল এখন রাজনৈতিক আশ্রয় এবং সুরক্ষা হারাচ্ছে। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে আমরা এমন চিত্র দেখতে পেয়েছি।
হানিয়া বলেন, গাজায় ব্যাপক গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো সত্ত্বেও ইহুদিবাদী ইসরাইল গত অক্টোবরে যুদ্ধের শুরুতে যেসব লক্ষ্য ঘোষণা করেছিল তার একটিও অর্জন করতে পারেনি। উপরন্তু ইসরাইল বৈশ্বিক সমর্থন হারাচ্ছে।
সাক্ষাৎকালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণ বিশেষ করে গত ছয় মাস ধরে ভয়াবহ ইসরাইলি আগ্রাসনের শিকার গাজাবাসীর প্রতি ইরানের সমর্থন ছিল, আছে এবং থাকবে।
আপাদমস্তক অস্ত্রে সজ্জিত ইসরাইলি বাহিনীর অপরাধযজ্ঞের সামনে গাজাবাসী ‘ঐতিহাসিক ধৈর্য ও অবিচলতা’ প্রদর্শন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের অটল অবস্থান ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের জন্য গৌরব ও সম্মান বয়ে এনেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস–ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটি হানিয়ার দ্বিতীয় ইরান সফর। প্রায় ছয় মাস ধরে চলমান ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে হামাসকে সমর্থন জানিয়ে আসছে ইরান। এ যুদ্ধে গাজায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। সোমবার (২৫ মার্চ) পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।
এই প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরাইলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। সূত্র: যুগান্তর
ছবি: দেনিস ভ্লাদিমিরভিচ পুশিলিন
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে রাশিয়ার অংশ বলে দাবি করলেন দেশটির স্বশাসিত অঞ্চল ডোনেটস্কের প্রেসিডেন্ট দেনিস ভ্লাদিমিরভিচ পুশিলিন।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ রাশিয়ার অংশ এবং এগুলোকে অবশ্যই মুক্ত করে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
দেনিস ভ্লাদিমিরভিচ পুশিলিন বুধবার নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, কিয়েভ, খারকিভ ও ওডেসার মতো ‘রুশ শহরগুলো’ মুক্ত করার সময় এসেছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’ এর প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।
রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রশ্নগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘদিনের নির্লিপ্ততার সমালোচনা করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার নির্দেশ দেন পুতিন। গত পাঁচ মাস ধরে চলা এ অভিযানে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের অনেক অঞ্চল দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।
ডোনেৎস্কের প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, “রাশিয়ার জনগণের হাতে নির্মিত শহরগুলোকে মুক্ত করে রাশিয়ায় ফেরত আনার সময় এসেছে; কিয়েভ, চেরনিহাভ, পুলতাওয়া, ডেনপ্রোপেত্রোফেস্ক, খারকিভ, ওডেসা, জাপোরিঝঝিয়া এবং লুটেস্ককে অবশ্যই মুক্ত করতে হবে। সূত্র: ফক্সনিউজ