a
ফাইল ছবি
মধ্যপ্রাচ্যের যোদ্ধাদের ইরান ড্রোন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইসরাইল। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ দাবি করছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা এসব তথ্য জানতে পেরেছেন।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ দাবি করেন, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদেরকে ড্রোন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইরান। ইস্পাহান শহরে অবস্থিত একটি বিমানঘাঁটিতে ইরান এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় ।
এর কয়েকদিন আগে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। অবিলম্বে তেহরানকে থামানো না গেলে মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেলবে।
রোববার তেল আবিবের নিকটবর্তী রেইচম্যান ইউনিভার্সিটিতে এক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় কিভাবে মনুষ্যবিহীন ড্রোন বানানো যাবে তেহরান সেটা স্থান্তরিত করার চেষ্টা করছে। ইরানের ইস্পাহান শহরের কাসানে ড্রোনের রানওয়ে আছে বলেও দাবি করেন।
তবে এ বিষয়ে ইরান কোনো মন্তব্য করেনি। পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জাতিসংঘের একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, তেহরান গোপনে পরমাণু চুল্লি বৃদ্ধি করেছে।
বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার দীর্ঘদিনের অঘোষিত ছায়াযুদ্ধ এখন একটি বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে।
সংগৃহীত ছবি
আফগানিস্তান থেকে তুরস্কের সামরিক বাহিনীও তাদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে তুর্কি বিশেষজ্ঞরা কাবুল বিমানবন্দরের পরিচালনায় তালেবানকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে থেকে যেতে পারেন। বুধবার (২৫ আগস্ট) এ কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্ধারিত সময়সীমার (৩১ আগস্ট) মধ্যে বিদেশি বাহিনী চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনা করতে তুরস্কের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছে তালেবান।
ন্যাটো জোটের অধীনে কাবুলে থাকা তুর্কি সামরিক বাহিনীকেও আগস্টের শেষ তারিখের মধ্যে পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অসংখ্য যোগাযোগ এবং বর্তমান পরিস্থিতি ও অবস্থার মূল্যায়ন করার পর, তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর উপাদানগুলো সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, সেনা প্রত্যাহারে ৩৬ ঘন্টা সময় লাগবে এবং প্রথম বিমানটি ইতিমধ্যে উড্ডয়ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দর পরিচালনায় তালেবান তুরস্কের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছিল। সেই আলোচনা সম্ভবত ইতিবাচক ফলাফলে পৌঁছাবে। সৈন্য প্রত্যাহারের পর, আমরা সেখানে বিমানবন্দর পরিচালনা করতে পারি।
অবশ্য মাসখানেক ধরে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন সরকার বলে আসছে যে, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলেও তারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য কিছু সৈন্য রেখে যাবে। এখন তালেবান কর্তৃক কাবুল দখল করার পর তাদেরকে বিমানবন্দরের প্রযুক্তিগত এবং নিরাপত্তা সহায়তা দিতে অনুরোধ করেছে তালেবান।
ফাইল ছবি
পাঁচ মাসে গড়িয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। এসময়ের মধ্যে একাধিক ইউক্রেনীয় শহর দখল করেছে রুশ বাহিনী। সবশেষ সেভেরোদোনেটস্কের পতন ঘটলো। শহরের মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক দাবি করেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের এই শহরটি রুশ সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। খবর আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ সময় ধরে চলা যুদ্ধে রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের মারিউপোলের পর এবার আরেকটি শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় ভূমি সংঘাতের কারণে শনিবারও ইউক্রেনের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ অংশে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সেভেরোদোনেটস্কে এক সময় এক লাখের বেশি মানুষ বসবাস ছিল। সেটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত মাসে মারিউপোল বন্দর দখল করার পর থেকে এই শহর দখলে মস্কোর সবচেয়ে বড় বিজয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে সেভেরোদোনেটস্কের মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক বলেন, শহরটি এখন রাশিয়ার দখলে। তারা এখন সেখানে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেভেরোদোনেস্কে কর্তৃপক্ষও নিয়োগ দিয়েছে রাশিয়া।
লুহানস্ক ও দোনেস্ক এই দুই মিলে ডনবাস। লুহানস্কে অবস্থিত সেভেরোদোনেস্ক শহরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছিল। শহরটি দখলে নিতে সর্বশক্তি নিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া।
ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ মস্কোর জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের ফলে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে করিডর তৈরি করা সম্ভব হবে। সূত্র: ইত্তেফাক