a
ফাইল ফটো:বিক্ষোভকারীদের দমাতে গুলি, কাঁদানে গ্যাস
লাখো জনতার বিক্ষোভ দমাতে গুলি ছুড়ছে পুলিশ। সারা রাত নিরাপত্তা রক্ষীদের অভিযান সত্ত্বেও মিয়ানমারের রাজপথে লাখো জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। রোববার সকাল থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কিছু এলাকায় কঠোর হতে থাকে নিরাপত্তা রক্ষীরা এবং ফাঁকা গুলি ছুড়তে শুরু করে।
ঐতিহাসিক মন্দিরের শহর বাগানে আন্দোলনকারীদের দমাতে পুলিশকে ফাঁকা গুলি ছুড়তে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী। অবশ্য কয়েকটি শহরে এখনও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া গেছে।
সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে মান্দালয়ে ২ মিনিট নীরবতা পালন করে রাজপথে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
এরআগে রাতভর ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় নিরাপত্তা রক্ষীরা। এমন পরিস্থিতিতেও সকালের দিকে রাজপথে জড়ো হন বিক্ষুব্ধরা। এই এলাকায় সকালের দিকে গুলি ছুড়েছে পুলিশ। পরে অন্তত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বড় জয় পেলেও তার স্বীকৃতি না দিয়ে সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে।
পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে কারাগারে আবার কাউকে বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭শ’র বেশি মানুষকে।
অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন এবং একজন পুলিশ সদস্যও প্রাণ হারান বলে জানা গেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলেছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল হামলার ইসরায়েলি হুমকিতে তারা ভীত নয়। এসব হামলা প্রতিহত করতে তারা প্রস্তুত আছে।
গতকাল সোমবার হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু ওবাইদেহ এসব কথা বলেছেন।
টেলিভিশনে প্রচারিত বিবৃতিতে আবু ওবাইদেহ বলেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ব্যাপক হামলার পর হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড ২০০ জন ইসরায়েলিকে বন্দী করে। এ ছাড়া গাজার অন্যান্য প্রতিরোধ দলের হাতে প্রায় ৫০ জন ইসরায়েলি বন্দী আছে।
আবু ওবাইদেহ বলেন, ‘আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে স্থল হামলা শুরু করার বিষয়ে দখলদারেরা (ইসরায়েল) যে হুমকি দিয়েছে, তাতে আমরা ভীত নই। আমরা এর জন্য প্রস্তুত।’
গাজায় স্থল হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলা চালানোর জন্য তারা ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে হামাসের কাছ থেকে এই বক্তব্য এল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগেরি গতকাল বলেন, ইসরায়েলের ১৯৯ নাগরিককে হামাস জিম্মি করেছে বলে তারা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছেন।
হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র বলেছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তাঁরা বিদেশি বন্দীদের মুক্তি দেবেন।
আবু ওবাইদেহ জানান, গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন ইসরায়েলি বন্দী নিহত হয়েছেন।
হামাসের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২ হাজার ৭৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। একই সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালান হামাসের যোদ্ধারা। এ সময় তাঁরা বিদেশি নাগরিকসহ অনেক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান।
জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে তারা গাজায় টানা বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। অবরুদ্ধ গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশে গত ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৯ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকার মজুদ ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে পিরোজপুর-৩ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১৮ বছরের বেশি সব বাংলাদেশি নাগরিককে করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেজন্য বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি জানান, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই কোটি নয় লাখ ২২ হাজার ৭১৫ জনকে প্রথম ডোজ এবং তাদের মধ্যে এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে মোট তিন কোটি ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬১ ডোজ টিকা।
বর্তমানে সাধারণভাবে ২৫ বছর ও তার বেশি বয়সিদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা ১৮ বছর বয়স হলেই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা সংগ্রহের জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের গৃহীত এ সব কার্যক্রমের ফলে এ পর্যন্ত ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।