a
ফাইল ছবি
করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মুখে খাওয়ার পিল অনুমোদন করেছে যুক্তরাজ্য। ৪ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মের্ক অ্যান্ড রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্সের তৈরি করোনা পিল মলনুপিরাভিরের অনুমোদন করে দেশটি।
এর আগে যুক্তরাজ্যের ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এমএইচআরএ) করোনাভাইরাসের ‘গেম চেঞ্জার’ ওষুধ মলনুপিরাভিরের ব্যবহার শুরুর সুপারিশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট ও উপসর্গগুলো প্রকাশ হওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে যথাশীঘ্র এ ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। খবর এনডিটিভি ও বিবিসির।
করোনা থেকে বাঁচতে বিশ্বের প্রথম অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ হলো এ মলনুপিরাভির। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাও অনুমোদনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। মলনুপিরাভিরের অনুমোদন দেওয়া হবে কি না সে ব্যাপারে চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য উপদেষ্টাদের ভোটাভুটি হবে।
অনেকে বলছেন, এ ওষুধ ব্রিটেনে ল্যাগেভরিও নামে বাজারে আসতে পারে। করোনায় আক্রান্তের প্রথম দিকে এ ওষুধ সেবন করলে ঝুঁকির মুখে থাকা রোগীর মৃত্যু বা হাসপাতালে ভর্তি থাকার সম্ভাবনা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারে। মুখে খাওয়ার এ ওষুধ করোনাভাইরাসের বংশবিস্তার অকার্যকর করতে সক্ষম বলে দাবি করেছে মের্ক অ্যান্ড রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স। সূত্র: ভোরের কাগজ
মের্কের কর্মকর্তারা বলেছেন, মলনুপিরাভির মানবদেহে প্রবেশকারী করোনাভাইরাসের জেনেটিক কোডে সমস্যা সৃষ্টি করে ভাইরাসটির বংশবৃদ্ধি নষ্ট করে দেয়। আর এর মাধ্যমে করোনারোগীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এবং মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
ফাইল ছবি
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া একটি যৌথ ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা কর্মসূচি শুরু করছে। এর আওতায় অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন তৈরিতে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন তিন দেশের প্রধান। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্যোগের ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
এ প্রসঙ্গে মরিসন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে আগামী দেড় বছরের মধ্যে পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিন বহর তৈরি করার একটি যৌথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে তিন দেশ। এর বাস্তবায়ন করা হলে বিশ্বের পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন থাকা সপ্তম দেশে পরিণত হবো আমরা।
যৌথ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্যোগের ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী পারমাণবিক জ্বালানি পরিচালনায় আন্তর্জাতিক চুক্তির বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় পারমাণবিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করার জন্য আমাদের কী করতে হবে তার একটি গভীর পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে আমি স্পষ্ট বলতে চাই। অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন বা পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশ হতে চাইছে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমাদের এই অঞ্চলের বর্তমান কৌশলগত পরিবেশ ও এটি কীভাবে বিকশিত হতে পারে সে বিষয়টি সবাইকে বুঝতে হবে। কারণ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থায়ীত্ব এবং সমৃদ্ধির ওপর।’
এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী করিস জনসন বলেন, ভৌগোলিকভাবে আলাদা হওয়া সত্ত্বেও এই তিনটি দেশ অতীতেও ‘প্রাকৃতিক মিত্র’ ছিল।
আট দিনের জন্য আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয় যে, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমা ও তারাবির নামাজে জমায়েত বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করবে।
১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে। লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে সব ধরনের পরিবহন (সড়ক, নৌ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট)। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে শিল্প কলকারখানা।
আরো পড়ুন: হোটেল-রেস্তোরাঁ ১৩ ঘণ্টা, নিত্যপণ্যের দোকান ৬ ঘণ্টা খোলা
এর আগে, সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।জুমা ও ওয়াক্তের নামাজসহ আসন্ন রমজানে তারাবি নামাজ আদায়ে এ পরিস্থিতিতে বিশেষ সতর্কতা ও নির্দেশনা জারি করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব মসজিদে জুমা ও ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে ও পরে গণজমায়েতের ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
আরো পড়ুন: সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
নির্দেশনায় আরও বলা হয় যে, জুমা ও অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজ এবং প্রার্থনার আগে ও পরে মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোনো প্রকার সভা ও সমাবেশ করা যাবে না। মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তারাবিসহ অন্যান্য নামাজ আদায় করতে হবে এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থনা করতে হবে। পরবর্তীতে বুধবার (৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ২৯ মার্চ তারিখের প্রজ্ঞাপন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৪ এপ্রিলের নির্দেশনা মোতাবেক ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৫ এপ্রিল জারি করা সব নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেনে চলতে বলা হয়।