a যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ ডোনাল্ড রামসফেল্ডের অজানা তথ্য
ঢাকা শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ ডোনাল্ড রামসফেল্ডের অজানা তথ্য


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০১ জুলাই, ২০২১, ০৭:২৪
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ ডোনাল্ড রামসফেল্ডের অজানা তথ্য

ফাইল ছবি । যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড

ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড মারা গেছেন। ৩০ জুন, বুধবার নিউ মেক্সিকোর তাওস এলাকায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

রামসফেল্ড ইরাক যুদ্ধের হোতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় দেশটির সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন। 

২০০৩ সালে সাদ্দাম সরকারের বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র মজুতের অভিযোগ তুলে ইরাকে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে অন্যায়ভাবে উৎখাত করে তাকে ফাঁসিতে ঝোলায় যুক্তরাষ্ট্র। 

ইরাকে মার্কিন হামলার প্রতিবাদে যখন লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেন, রামসফেল্ড তখন ইরাকে হামলার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেন। তিনি ইরাকে হামলাকে প্রেসিডেন্ট বুশের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করে প্রচার করেন। 

গুয়ানতানামো বে ও আবু গারিব কারাগারে বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালানোর পক্ষেও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন রামসফেল্ড। আফগানিস্তানে তালেবানদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বিষয়েও রামসফেল্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ডোনাল্ড রামসফেল্ড ইরাকে আমেরিকার যুদ্ধ সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন। ২০০২ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‌'আমি বলতে পারব না যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক যুদ্ধ পাঁচদিন, পাঁচ সপ্তাহ কিংবা পাঁচ বছর স্থায়ী হবে। কিন্তু এর থেকে বেশি দিন স্থায়ী হবে না সেটা আমি বলতে পারি।' 

এখনও ইরাকে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছে। দেশটিতে এখন পাঁচ হাজার ২০০ মার্কিন সেনা রয়েছেন। এর মধ্যে চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দুই হাজার ২০০ সেনা প্রত্যাহার করা হবে জানানো হয়েছে।

রামসফেল্ড কারাবন্দিদের ২০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের নিয়ম তৈরি করেছিলেন। এই ২০ ঘণ্টার মধ্যে চারঘণ্টা কাপড় খুলে, ভয় দেখিয়ে ও কষ্টদায়ক অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদের নিয়ম ছিল। এই জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি নিয়ে পরবর্তীতে ব্যাপক সমালোচনা হলেও তা অব্যাহত ছিল।   

রামসফেল্ডের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ইরাক যুদ্ধের সময়কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ। তিনি বলেন, তিনি রসিক এবং বড় হৃদযের ভালো মানুষ ছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিলেন। রামসফেল্ড যুক্তরাষ্ট্রকে আরও নিরাপদ ও উন্নত করেছেন।

অপরপক্ষে, এক টুইট বার্তায় কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির নাইট ফাস্ট এমেন্ডমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান ও সাবেক আমেরিকান নাগরিক স্বাধীনতা ইউনিয়নের উপআইন  পরিচালক জামি জাফের বলেন, রামসফেল্ডের নির্দেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে শত শত হাজতি অপব্যবহার এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাই রামসফেল্ড নিয়ে প্রত্যেক শোক আলাপের পূর্বে এসব নির্যাতনের বিষয়গুলোও উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। 
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ইরানের সুয়েজ খালের বিকল্প রুটের প্রস্তাব


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১, ১২:৪০
ইরানের সুয়েজ খালের বিকল্প রুটের প্রস্তাব

প্রতিকী ছবি

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ মিসরের সুয়েজ খালের বদলে একটি বিকল্প রুট ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। দেশটির চবাহার বন্দরভিত্তিক রুটটির নাম ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ করিডোর বা আইএনএসটিসি।

তেহরান বলেছে, এশিয়া থেকে ইউরোপে পণ্য পরিবহণের জন্য সুয়েজ খালের তুলনায় এই রুটটির ব্যবহারে ঝুঁকি অনেক কম এবং অনেক বেশি লাভজনক।

সুয়েজ খালে বিশাল একটি জাহাজ আটকে পড়ায় গত কয়েক দিন ধরে এর উভয় প্রবেশমুখে জাহাজজট লেগেছে। এর ফলে প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে শত শত কোটি ডলার। এমন পরিস্থিতিতে সুয়েজ খালের বদলে ইরানের পক্ষ থেকে বিকল্প রুট ব্যবহারের প্রস্তাব এলো।

এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংক্ষিপ্ততম জলপথ সুয়েজ খাল। মিসরের মালিকানাধীন ১৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ জলপথটিতে তিনটি প্রাকৃতিক হ্রদ রয়েছে। গত সপ্তাহে (মঙ্গলবার) খালের মাঝখানে আড়াআড়িভাবে আটকে যায় জাপানি মালিকানার বিশাল মালবাহী জাহাজ এভারগিভেন। বহু চেষ্টা করেও এখন পর্যন্ত সরানো সম্ভব হয়নি জাহাজটি। দুই প্রান্তে তিনশ জাহাজের জট তৈরি হয়েছে।

আফ্রিকা ঘুরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছে অনেক জাহাজ। এর ফলে খালটির ওপর নির্ভরশীল বিশ্ব বাণিজ্য অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ ডলারের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মিসর।

এই সংকট মোকাবেলার সহজ সমাধান হিসাবে বিশ্বের সামনে বিকল্প রুটের প্রস্তাব আনল তেহরান। ইরানি কূটনীতিক কাজেম জালালি বলেছেন, সুয়েজ খালের বিকল্প হিসাবে ভারত, রাশিয়া ও ইরানের মধ্যকার সাত হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি নৌরুট সুয়েজ খালের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।

রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, এ ধরনের বিকল্প নৌরুটের প্রতি আগ্রহ রয়েছে তুরস্কের। দেশটির সঙ্গে ইতোমধ্যে বিকল্প কৌশলগত বাণিজ্যিক জোট গঠনে অনেকদূর এগিয়ে গেছে চীন, রাশিয়া, ইরান। এ পরিস্থিতিতে ইরান স্বাভাবিকভাবেই বিকল্প উৎস হিসাবে চবাহার বন্দরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে।

শনিবার ইরানের প্রেস টিভিকে এক সাক্ষাৎকারে কাজেম জালালি বলেন, আইএনএসটিসি ব্যবহার করা বরং কম ঝুঁকিপূর্ণ। সুয়েজ খালের চেয়ে বিকল্প লাভজনক হয়ে উঠতে পারে এ নতুন রুট।

এদিন এক টুইটার বার্তায় মস্কোয় নিযুক্ত এই ইরানি কূটনীতিক আরও বলেন, এনএসটিসির মধ্যদিয়ে ভারত থেকে ইউরোপে পণ্য পরিবহণে সময় লাগবে মাত্র ২০ দিন এবং খরচ কমবে শতকরা অন্তত ৩০ ভাগ। বর্তমানে সুয়েজ খাল দিয়ে পণ্য পরিবহণে ৪০ দিন সময় লাগে।

ফলে খরচও বেশি। ইরানের পাশাপাশি ভারত ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর বা এনএসটিসি রুটের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। ২০০০ সালে দীর্ঘ বহুমুখী এই রুটের প্রস্তাব করা হয়। 

পরবর্তীতে মধ্য এশিয়ার ১০টি দেশ এই পরিকল্পনায় যুক্ত হয়। ইরান সড়ক ও রেলপথ নির্মাণের মাধ্যমে ভারত ও রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ওঠার পরিকল্পনা বিবেচনা করছে এবং তা সম্ভব হলে ভারত থেকে ইউরোপে মালামাল পরিবহণে খরচ কমবে।

তুরস্ক রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে চীনের সহায়তায় যৌথ বাণিজ্যি করিডোরে আগ্রহী। তাহলে ইউরোপের দশগুলোর তুরস্কের ওপর নির্ভরশীলতা আরও বাড়বে।

যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের একচেটিয়া বাণিজ্যিক শক্তি খর্ব করার ক্ষেত্রে বিকল্প চবাহার বন্দর ব্যবহারকে এসব দেশ বড় এক উৎস হিসাবে বিবেচনা করছে। পাকিস্তানও চবাহার বন্দর যাতে ব্যবহার করে সেজন্য ইরানের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ইরান চলতি সপ্তাহেই চীনের সঙ্গে ২৫ বছরের একটি কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বছর পাঁচেক ধরে আলোচনার পর শনিবার তেহরানে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। চীন ও ইরানের মধ্যে এ ধরনের চুক্তিতে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বর্তমানে দুদেশের বাণিজ্য আগামী এক দশকে বৃদ্ধি করে বছরে তা ৬ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করা। তেল, গ্যাস, পেট্রকেমিক্যাল, রিনিউবল ও নিউক্লিয়ার জ্বালানি ছাড়াও অবকাঠামো খাতে ইরানে ব্যাপক বিনিয়োগ করবে চীন। এ চুক্তির ফলে দুটি দেশ বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনফ্রাকচার স্কিমে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত হবে।

ট্রিলিয়ন ডলারের এ স্কিমের লক্ষ্য হচ্ছে চীনের সঙ্গে ইউরোপ ও আফিকার সড়ক ও জলপথে যোগযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এর ফলে ডজনেরও বেশি দেশ বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে। সূত্র:যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিএফইউজে ও ডিইউজে’র নেতৃবৃন্ধ কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি


খোরশেদ আলম: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১, ১০:১৪
বিএফইউজে ও ডিইউজে’র নেতৃবৃন্ধ কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি

ফাইল ছবি

কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে। রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে ও ডিইউজে’র আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্ধ এ দাবি করেন।

গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিচার বিভাগকে মুক্তসাংবাদিকতার পক্ষে ভূমিকা নেয়া উচিত। তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালত আজ মুক্ত সাংবাদিকতার পক্ষে রায় দিচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সংবিধান বিরোধী আইন বন্ধে আদালতের ভূমিকা আমরা দেখতে পাইনি। 

সাংবাদিকরা গ্রেফতার হচ্ছেন এবং তারা বছরের পর জেল আছেন অথচ জামিন দেয়া হচ্ছে না।  দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন বলা হয়। কিন্তু কতটুকু স্বাধীন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশের বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারলে রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পেতেন।

সমাবেশে বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, এ সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ গণমাধ্যম। আর সত্য হচ্ছে প্রধান শত্রু । সত্য প্রকাশের জন্য অনেক সাংবাদিককে আটক করে রাখা হয়েছে। অনেক সাংবাদিক খুন হয়েছেন। মামলা-নির্যাতনে হয়রানি করা হচ্ছে।

রুহুল আমিন গাজীসহ সকল কারাবন্দি সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, মামলার মেরিট দেখে আর সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করে বিচার বিভাগ রায় দিলে এসব মামলা টিকতে পারে না। 

এ প্রসঙ্গে শওকত মাহমুদ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে প্রেস ফ্রিডম নেই। অথচ ওই দেশের বিচারপতিরা সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অনেক মামলার আসামিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সাংবাদিক আটককে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার মূল লক্ষ্য তাদের অপশাসনকে দীর্ঘায়িত করা। তিনি মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালা কানুন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, কোনো সভ্যদেশে এমন ভয়ংকর আইন কল্পনাও করা যায় না। 

আমেরিকার সংবিধানে প্রথম সংশোধনী আনা হয় মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষায়। এতে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে এমন কোনো আইন কখনো মার্কিন কংগ্রেসে পাস করবে না। এরাই হলো সভ্য। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের সংবিধানেও সংশোধনী এনে মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হোক।

বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন সরকারকে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ৭৫ পূর্বে সংবাদপত্র বন্ধ করে এবং নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে তৎকালীন সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেই রুহুল আমিন গাজীসহ কারাবন্দি সকল সাংবাদিকের মুক্তি সম্ভব।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, এ সরকার অবৈধ। এ সরকার কর্তৃত্ববাদী। টিকে থাকার জন্য এ সরকার সব কিছু করতে পারে।

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম অবিলম্বে কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি এবং শওকত মাহমুদসহ অন্যদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, রুহুল আমিন গাজী কিডনি সমস্যাসহ অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত। অথচ তার চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই।

ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালীন নোমানী, রফিকুল ইসলাম আজাদ সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, বিএফইউজের সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুল বাশার, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত ও রাশেদুল হক, বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব শহীদুল্লাহ মিয়াজী, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য একেএম মহসীন, ডিইউজে নেতা শাহজাহান সাজু, দেওয়ান মাসুদা, সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ আলম, দপ্তর সম্পাদক তোফায়েল হোসেন, নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ডিইউজের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ আলী আসফার, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য জেসমিন জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ও কোষাধ্যক্ষ গাজী আনোয়ারুল হক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক