a
ফাইল ছবি
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড করা হয়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে দেশটির তিন রাজ্যের প্রায় ৫০০ মাইল এলাকাজুড়ে এই বজ্রপাতটি হয়েছিল।
এ ব্যাপারে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, একটিমাত্র বজ্রপাত টেক্সাস, লুইজিয়ানা ও মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের ৪৭৭ দশমিক ২ মাইল এলাকায় হয়েছিল। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ বজ্রপাতের রেকর্ড এটি। আবার একই বছর উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার উত্তরাঞ্চলে ১৭ দশমিক ১ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল একটি বজ্রপাত।
অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির র্যান্ডাল সিরভানি জানান, সাধারণত বজ্রপাত ১০ মাইলের চেয়ে বেশি অঞ্চল ছড়িয়ে পড়ে না এবং এটি এক সেকেন্ডেরও কম সময় স্থায়ী হয়। এই দুটি বজ্রপাতের রেকর্ড একেবারেই ভিন্ন। উভয়টিই মেঘ থেকে মেঘ, মাটি থেকে কয়েক হাজার ফুট উপরে শেষ হয়েছিল, তাই কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। সূত্র: বিবিসি/বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের পর ঝড়ের গতিতে একের পর এক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে তালেবান। তালেবান আবারও আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ করবে এসব সম্ভাবনায় অপরাপর অনেক দেশই উদ্বিগ্ন। তবে সবচেয়ে বেশি উৎকন্ঠায় আছে ভারত। খবর বিবিসি বাংলা।
এ প্রসঙ্গে দিল্লির জওহারলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় ভরদোয়াজ বলেন, অনেক দেশই আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকন্ঠায়, কিন্তু অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে আফগানিস্তানে সবচেয়ে বেশি স্বার্থ এখন ভারতের। তালেবান আবার ক্ষমতা নিলে ভারতের ক্ষতি হবে সবচেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, ভারতের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য আফগানিস্তানের গুরুত্ব অপরিসীম। ফলে ভারত এখন জটিল এক সংকটে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারে ভারত গত দুই দশকে চার শতাধিক সামাজিক-অর্থনৈতিক এবং বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পে ৩০০ কোটি ডলারেও বেশি বিনিয়োগ করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ডজন ডজন প্রকল্প ছাড়াও, দিলারাম-জারাঞ্জ মহাসড়ক নামে ২১৮ কিমি দীর্ঘ গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক তৈরি করে দিয়েছে ভারত। কাবুলে নতুন আফগান পার্লামেন্ট ভবনটিও তৈরি করেছে তারা।
চলমান শত শত প্রকল্পের কাজও এখন মুখ থুবড়ে পড়বে। যে উদ্দেশ্যে এসব বিনিয়োগ, তার ভবিষ্যৎ কী? এগুলো কি পানিতে যাবে? ভারতের নীতি-নির্ধারকরা এখন সে চিন্তায় অস্থির।
তবে শুধু ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের বিষয় নয়, বরং আরও অনেক কারণে ভারতের জন্য আফগানিস্তানের গুরুত্ব রয়েছে। মধ্য এশিয়ার বাজারে ঢোকার জন্য ভারতের জন্য আফগানিস্তান খুবই জরুরি। তবে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ এসবের চেয়েও বেশি।
নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ভরদোয়াজ বলেন, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে এবং লাদাখ নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের বিপজ্জনক দ্বন্দ্ব চলছে। এখন আফগানিস্তান শত্রু রাষ্ট্রে পরিণত হলে ভারতের জন্য তা এক বড় রকম মাথাব্যথা তৈরি হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
সংগৃহীত ছবি
১ দিনেই আফগানিস্তানের ৩টি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করেছে নিয়েছে তালেবান। এ নিয়ে মোট ৫টি রাজধানী নিয়ন্ত্রণে নিলো। রবিবার (৮ আগস্ট) ঘটেছে এই ঘটনা। দখলকৃত শহরগুলো হচ্ছে কুন্দুজ প্রদেশের কুন্দুজ, সার-ই-পুল প্রদেশের সার-ই-পুল এবং তাখার প্রদেশের তালোকান। এর আগে, জোজ্জন প্রদেশের রাজধানী শেবারগান ও নিমরোজের জারাঞ্জ শহর তালেবান নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল।
বিবিসি'র মতে, রবিবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই তিনটি প্রাদেশিক রাজধানী তালেবানের দখলে চলে যায়। কুন্দুজের প্রাদেশিক পরিষদের এক আইনপ্রণেতা বলেন, নগরীর কেবলমাত্র একটি বিমানবন্দর এবং সেনাঘাঁটি ছাড়া আর সবই দখল করে নিয়েছে তালেবান। তবে খোয়া যাওয়া সব এলাকা পুনর্দখল করতে খুব শিগগিরই বড় ধরনের সেনা অভিযান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর এক মুখপাত্র।
সার-ই-পুলেও তালেবান যোদ্ধারা প্রাদেশিক কর্মকর্তাদেরকে মূল নগরী থেকে হটিয়ে দিয়েছে। এই কর্মকর্তারা এখন কোণঠাসা হয়ে আছেন কাছের একটি সামরিক ঘাঁটিতে। প্রাদেশিক পরিষদের এক সদস্য জানিয়েছেন এমন কথাই।
এদিকে, তাখার প্রদেশের পার্লামেন্টের এক প্রতিনিধি আশরাফ আয়ানি রোববার সন্ধ্যায় বলেন, তালেবানের হাতে প্রাদেশিক রাজধানী তালোকানের পতন হয়েছে। যোদ্ধারা সব সরকারি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং বন্দিদের মুক্ত করে দিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন পাশের জেলায়।