a
ফাইল ছবি
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি অস্ত্র কারখানায় হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। রবিবার (২৬ জুন) আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সামরিক স্থাপনা হিসেবে 'আর্টিয়ম ফ্যাক্টরি' লক্ষ্যবস্তু ছিল।
এছাড়া দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের আবাসিক ভবনে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে ইউক্রেন যে দাবি করেছে তা মিথ্যা। রাশিয়া জানায়, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র আবাসিক ভবনের ক্ষতির কারণ। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
নরওয়েতে ন্যাটোর আর কোনো ঘাঁটি নির্মাণ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোয়েরে। তাই পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণে প্রধান ধাক্কা এলো ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ নরওয়ে থেকে।
পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে যখন রাশিয়ার সাথে এই সামরিক জোটের উত্তেজনা চলছে তখনি এ খবর এলো। এতে আমেরিকা ও ন্যাটোর জন্য এটি অশনিসংকেত! ভবিষ্যতে আরো কোন কোন দেশ নরওয়ের পথে হাটবে, তা এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছেনা। কারণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর উপর বর্তমানে যেভাবে যোগাযোগ রাখছে অতীতে সেরকম যোগাযোগ রাখেননি।
বর্তমানে বেশি আমেরিকার প্রীতি হওয়ার কারণে ইউক্রেণের পরিণতি যেন না হয় সে পথেই হাটার চেষ্টা করবে অন্য দেশগুলো। সেক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করাটাই তাদের বেশি নিরাপদ। তাছাড়া রাশিয়ার সাথে লাগোয়া দেশগুলো রাশিয়াকে চটাতে চাননা। বিশ্বের রাজনীতি পরিবর্তনে শুধু আমেরিকা নির্ভর না থেকে বর্তমানে অনেক দেশ নিজেদের কূট-কৌশলে সবার সাথে সহাবস্থানে থাকার কৌশল অবলম্বন করছে। ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণে মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য অনেক দেশে পূর্বাপর ধারাবাহিকতার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ব্রাসেলসে গতকাল বৃহস্পতিবার ন্যাটোর বৈঠকে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেদেশে ন্যাটোর সামরিক উপস্থিতি জোরদারের পক্ষে নন তার সরকার। এই নীতিতে পরিবর্তন আসবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ নরওয়ের সাথে রাশিয়ার সীমান্ত রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগেও দেশটিতে কখনোই রুশ সীমান্তের কাছে ন্যাটোকে সামরিক মহড়া চালানোর অনুমতি দেয়নি।
রাশিয়া প্রথম থেকেই পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিরোধিতা করে আসছে। কিন্তু ইউক্রেন সেসব বিষয়ে আমলে নেয়নি কখনো। তাই রাশিয়া এই ইস্যুতে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।
রাশিয়া প্রথম থেকেই বলছে, ন্যাটোর পক্ষ থেকে তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। কিন্তু ন্যাটো বা আমেরিকা কখনো এসব বিষয় তোয়াক্কা করেনি।
বর্তমানে ন্যাটোকে শক্তিশালী ও অটুট রাখতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেভাবে দৌড়াদৌড়ি করছেন, অতীতে তা লক্ষ্য করা যায়নি। তাই নিজেদের নিরাপদ রাখতেই নরওয়ের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপের অনেক দেশকে উৎসাহিত করবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
কলাম লেখক: খোরশেদ আলম
ফাইল ছবি
টোকিও অলিম্পিক গেমসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নিয়ে ৯ দশমিক ৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হন মার্সেল জেকবস। অলিম্পিকে এই প্রথম স্বর্ণ পদক জয়ের স্বাদ পেলেন ২৬ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান। হিটে (রাউন্ড-১) ৯ দশমিক ৯৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন জেকবস। কিন্তু মূল লড়াইয়ে করলেন বাজিমাত। ফ্রেড কার্লি ৯ দশমিক ৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা পেয়েছেন। কানাডার আন্দ্রে দে গ্রাস ৯ দশমিক ৮৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে পেয়েছেন ব্রোঞ্জ। বাঁশি বাজার আগেই গ্রেট ব্রিটেনের জার্নেল হিউজ দৌড় শুরু করে ডিসকোয়ালিফাইড হন।
২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ৯ দশমিক ৬৩ সেকেন্ড টাইমিং করে অলিম্পিকের রেকর্ড গড়েছিলেন বোল্ট। কিংবদন্তি এই স্প্রিন্টার ২০০৯ সালে জার্মানির বার্লিনে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ্সে ৯ দশমিক ৫৮ সেকেন্ড টাইমিং করে গড়েছিলেন বিশ্বরেকর্ড। টানা তিন অলিম্পিকসে ১০০ মিটার ও ২০০ মিটারে সোনা জয়ী একমাত্র অ্যাথলেট আজ অবসরে। কিন্তু ১০০ মিটারে তার টাইমিংয়ের রেকর্ড এখনো অটুট।
আগে ১০০ মিটার মানেই জ্যামাইকান আধিপত্য। এবার টোকিওতে সব ম্লান। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ছিলেন না কোনো বোল্টের স্বদেশী। তবে মেয়েদের ১০০ মিটার জিতে ঐতিহ্যটা ধরে রেখেছেন শেলি অ্যান ফ্রেজার।