a
ফাইল ছবি। ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রী বেনি গান্তজ
লেবাননের সঙ্গে যে কোনো যুদ্ধ শুরু হলে তা গাজার চেয়ে অন্তত ১০ গুণ ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছেন ইহুদিবাদী ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রী বেনি গান্তজ। তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধের সময়ের চেয়েও অনেক বেশি বিপজ্জনক পরিস্থিতি মুখোমুখি হতে হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে বেনি গান্তজ এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজকে এটাও বুঝতে হবে যে, আমাদের যদি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম না থাকত তাহলে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শত শত ইসরায়েলি নিহত হত।
উল্লেখ্য, দখলদার ইসরাইল বর্তমানে চরম রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। সরকার গঠন নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মাঝে দিন পার করছে। গত দুই বছরে চারটি সংসদ নির্বাচন হওয়ার পরও সংকটের সুরাহা হয়নি। এ অবস্থায় গাজা যুদ্ধ ইসরায়েলিদের মধ্যে বিভক্তি দিন দিন বাড়িয়ে তুলেছে। সূত্র: পার্সটুডে।
ফাইল ছবি
বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের যাত্রীরা। মাস্কাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করা ফ্লাইটটি শুক্রবার ১১টা ৪০ মিনিটে ভারতের নাগপুরে জরুরীভাবে অবতরণ করে।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, মাস্কাট থেকে উড্ডয়ন করা বিমানটির পাইলট ১১টার দিকে রায়পুরের কাছাকাছি হালকা অসুস্থতা বোধ করেন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
এসময় দ্রুতই পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করে সহকারী পাইলট কলকাতা এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এরপর ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ওই বিমান থেকে।
পরে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরিভিত্তিতে ওই বিমানটিকে অবতরণ করানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নাগপুরেই পাইলটের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল।
ফ্লাইটে কতজন যাত্রী ছিলেন তা এখনো জানা যায়নি, তবে সবাই অক্ষত ও নিরাপদ আছেন।
বিমান সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিমানের ফ্লাইটটি ওমান যায়। সেখান থেকে স্থানীয় সময় মধ্যরাত ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসার কথা থাকলেও ফ্লাইটটি ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে।
তবে ভারতের স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটটি ঢাকার দিকে না এসে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
মাস্কাট থেকে বিজি-২২ ফ্লাইটের একজন যাত্রী জানান, মাস্কাট থেকে আমাদের ফ্লাইটে তোলা হয়। আমাদের মাস্কাটে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে সাড়ে ৬টায় বিমানে তোলা হয়। তবে বিমানটি পুশ ব্যাক করার সময় ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে নাগপুরে এটি জরুরি অবতরণ করে।
বর্তমানে বিমানের যাত্রীরা নাগপুর বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। যাত্রীদের আনতে নতুন ফ্লাইট পাঠানো হবে কিনা, এই ফ্লাইটেই আনা হবে তা নিশ্চিত করেনি বিমান কর্তৃপক্ষ।
ফাইল ছবি
৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ প্রদর্শনের পর হলভর্তি দর্শকের করতালিতে অভিভূত হয়ে আনন্দ অশ্রুতে ভেসেছেন আজমেরী হক বাঁধন। ভাষাগত দূরত্ব ছাপিয়ে দর্শকদের মাঝে কেউ কেউ পর্দার রেহানার মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করেছেন।
সিনেমাটি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন অনেক ফরাসি নারী দর্শক। সিনেমাটি দেখে এক ফরাসি নারী দর্শক হলের ভেতরে বাঁধনকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেই মুহূর্তে জোর চেষ্টায়ও নিজের কান্না লুকাতে পারেননি বাঁধন। এ সময় তাকে অঝোরে কান্না করতে দেখা যায়।
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিটি কানের ডবসি থিয়েটারে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ১৫ মিনিট) প্রদর্শনী শুরু হয়। প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা ব্যাপ্তির এই সিনেমাটির শুরু থেকে শেষ অবধি হলভর্তি দর্শক দেখেছেন পিনপতন নীরবতায়। শেষ হওয়ার পর দর্শক দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন এবং হাততালিতে মুখরিত করেন ডবসি থিয়েটার।
চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের পর ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয়কারী আজমেরী হক বাঁধনকে নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেহানা মরিয়ম নূরকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।
হল থেকে বেরিয়েও কেউ কেউ চরিত্র হিসেবে রেহানার প্রতি ও বাঁধনের অভিনয়ের প্রতি মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন।
প্রদর্শনী শেষে বুধবার লাঞ্চের ফাঁকে এক বিদেশি পরিচালক বাঁধনের অভিনয়ের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘ইউ আর অ্যামাজিং’।
ডিনার থেকে ফেরার পথে এক ফরাসি নারী বাঁধনকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছেন, ‘তুমি তো রেহানা, তোমার ছবিটি দেখেছি। দুর্দান্ত। আমি কি তোমায় একটু ছুঁয়ে দেখতে পারি?’
বাঁধন বলছেন, এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়ে তিনি বোকা বনে গিয়েছিলেন। তাকে এভাবে কেউ চিনবে সেটি জীবনে কল্পনা করার সাহসই পাননি।
আগামী ১৮ জুলাই অভিনেত্রীসহ পুরো টিম দেশে ফিরবেন বাঁধন। অভিনেত্রীর এই ছবিটি শুরু থেকে বেশ আলোচনায়। এই ছবিটির জন্য বাঁধনকে বেশ চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে বলেও জানান।
তার ভাষ্য, এই ছবির জন্য দেড় বছর আমি অন্য কোনো কাজ করিনি। এই ছবির কাজের দেড় বছর আমার জন্য মূল্যবান সময় ছিল। এখানে কাজ করতে গিয়ে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি এই কাজটি করেছি। যে সময় সবার একটাই কথা ছিল আমি হারিয়ে যাচ্ছি। আমার ক্যারিয়ার শেষ। ঠিক সেই সময়ে আমি এই কাজ শুরু করি। অবশেষে আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর