a
ফাইল ছবি। ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রী বেনি গান্তজ
লেবাননের সঙ্গে যে কোনো যুদ্ধ শুরু হলে তা গাজার চেয়ে অন্তত ১০ গুণ ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছেন ইহুদিবাদী ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রী বেনি গান্তজ। তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধের সময়ের চেয়েও অনেক বেশি বিপজ্জনক পরিস্থিতি মুখোমুখি হতে হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে বেনি গান্তজ এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজকে এটাও বুঝতে হবে যে, আমাদের যদি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম না থাকত তাহলে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শত শত ইসরায়েলি নিহত হত।
উল্লেখ্য, দখলদার ইসরাইল বর্তমানে চরম রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। সরকার গঠন নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মাঝে দিন পার করছে। গত দুই বছরে চারটি সংসদ নির্বাচন হওয়ার পরও সংকটের সুরাহা হয়নি। এ অবস্থায় গাজা যুদ্ধ ইসরায়েলিদের মধ্যে বিভক্তি দিন দিন বাড়িয়ে তুলেছে। সূত্র: পার্সটুডে।
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর এখনো পূর্ণাঙ্গ হয়নি মন্ত্রীসভা। কারা থাকছে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভায় তা ঘোষণা হতে পারে আজই। এর পূর্বে চারজন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে তালেবানের পক্ষ থেকে। নিয়ন্ত্রণের তিন সপ্তাহ পর সরকার গঠনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানায় তালেবান কর্তৃপক্ষ। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এখন চলছে তালেবান সরকার গঠনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় সংগঠনটির সর্বোচ্চ নেতা হেবায়েতুল্লাহ আখুন্দজাদার হবেন দেশটির প্রধান নেতা। তার ডেপুটি থাকবেন তিনজন। তারা হলেন শীর্ষ নেতা মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার, প্রভাবশালী হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজিুদ্দিন হাক্কানি, এবং প্রয়াত নেতা মোল্লা ওমরের ছেলে মৌলবী ইয়াকুব।
এ ছাড়া আগেই ঘোষিত চার মন্ত্রী হলেন অর্থমন্ত্রী গুল আগা, ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সদর ইব্রাহিম, ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা আবদুল কাইয়ুম জাকির ও ভারপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। চুক্তি অনুযায়ী ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ৩১ আগস্ট কে আফগানিস্তানের স্বাধীন দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধের। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে আনুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয় তালেবানের।
ফাইল ছবি
নিজের দেশে তালেবান সৈন্যদের হাতে ইতোমধ্যে চলে গেছে। আফগানিস্তানের তারকা ক্রিকেটার নিজের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। এই কঠিন সময়ে দফায় দফায় রশিদের টুইটে স্পষ্ট তার দুর্ভাবনার কথা। আজ রবিবার (১৫ আগস্ট) এক টুইট বার্তায় রশিদ লিখেছেন, ‘শান্তি।’ সেই টুইটে তিনি যে ইমুজি ব্যবহার করেছেন, তা বোঝাচ্ছে আফগানিস্তানের শান্তির জন্য প্রার্থনার আহ্বান।
এর পূর্বে গত ১০ আগস্ট জোড়া টুইট করে বিশ্ব নেতাদেত দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন ক্রিকেটার রশিদ খান। আফগানিস্তানে চলমান পরিস্থিতিকে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এসে নিজের নামে গড়া রশিদ খান ফাউন্ডেশনে অনুদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিনই আরেক টুইটে তিনি বিশ্বনেতাদের আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর আহ্বান জানান। রশিদ লিখেন, ‘প্রিয় বিশ্ব নেতারা, আমার দেশে যুদ্ধ চলছে। নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার নিরীহ মানুষ প্রতিদিন শহীদ হচ্ছেন। বাড়িঘর সব ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। হাজারো পরিবার হয়ে পড়েছে গৃহহীন। আমাদের মারবেন না, ধ্বংস করবেন না। আমরা শান্তি চাই।’
রশিদ খানের এ টুইট বার্তায় অনেকেই দ্বিমত পোষণ করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতেছেন যখন আফগানিস্তান আমেরিকা সেনাদের দ্বারা বিপর্যস্ত হচ্ছিলো তখন তার ভিতর এই প্রেম কই ছিলো? এখন দেশে শতভাগ ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে তালেবানরা যা তার কাছে যুদ্ধ মনে হয়েছে!