a সার্ক কালচারাল সোসাইটি(ভারত) এর সেক্রেটারি অনিন্দ চক্রবর্তী অনারারী ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ
ঢাকা শনিবার, ২ কার্তিক ১৪৩২, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সার্ক কালচারাল সোসাইটি(ভারত) এর সেক্রেটারি অনিন্দ চক্রবর্তী অনারারী ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ


স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা প্রতিনিধি
শনিবার, ০৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০৮
সার্ক কালচারাল সোসাইটি(ভারত) এর সেক্রেটারি অনিন্দ চক্রবর্তী অনারারী ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ

ছবি: অনিন্দ চক্রবর্তী

 

স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বিশিষ্ট সমাজকর্মী, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ও সার্ক কালচারাল সোসাইটি(ভারত)-এর কার্যকরী কমিটির সাধারন সম্পাদক এ্যাড. অনিন্দ কুমার চক্রবর্তী সম্প্রতি দিল্লীতে ওয়ার্ল্ড পিস অব ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি থেকে অনারারী ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন। সামাজিক ও মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেওয়াহয়।

উল্লেখ্য যে, এ্যাড.অনিন্দ কুমারচক্রবর্তী ১৯৬৯ সালের ৬ অক্টোবর দক্ষিন ২৪ পরগনার সুন্দর বন অঞ্চলের এক নিভৃত পল্লীতে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম স্বর্গীয় ননী গোপাল চক্রবর্তী। তিনি স্থানীয় স্কুল- কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর উড়িষ্যার উৎকল ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসসি ও পরে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন।

এরপরে তিনি ইন্ডিয়া বার কাউন্সিল থেকে সনদ লাভ করে আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন। এর মাঝেই তিনি স্থানীয় কিছু সামাজিক সংস্থার সাথে জড়িত হয়ে নানা সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত হন। এরই অংশ হিসাবে পশ্চিম বঙ্গের সুন্দরবন এলাকায় অসহায় দরিদ্রদের মাঝে ত্রান কার্যক্রম, চক্ষুশিবির ও ফ্রি বস্ত্র দান ক্যাম্প পরিচালনা করেন। তিনি ২০০৯ সালে ও ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় কবলিত সুন্দরবন এলাকায় ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি ২০২১৪-১৫ সালে রোটারী ক্লাব অব পুরবøক, কলকাতা- এর সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালেসার্ক কালচারাল সোসাইটি (ভারত)’র কার্যকরী কমিটির সাধারন সম্পাদক, ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত কলকাতার নতুন পল্লী উন্নয়ন সমিতির সাধারন সম্পাদক, ২০২২-২৪ সালে অল ইন্ডিয়া আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আলীপূর ইউনিটের সেক্রেটারী নির্বাচিত হন।

এছাড়াও তিনি ভারতের মাতৃসেবা মিশন ও শেফালী পেস্ট কন্ট্রোল’র আইন উপদেষ্টা। সামাজিক কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ ও ভারতের নানা জায়গা থেকে অনেক পদক ও সম্মাননা লাভ করেছেন।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

আইএস আমাদেরসহ সব মুসলমানের শত্রু: তালেবান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১, ১০:৫৪
আইএস আমাদেরসহ সব মুসলমানের শত্রু: তালেবান

ফাইল ছবি

আফগানিস্তানের তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে তাদের শত্রু বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আইএস আমাদের যেমন শত্রু, অনুরূপ সব মুসলিম দেশ এই গোষ্ঠীর বিরোধী। খবর তাসনিম নিউজের।

তালেবানের সঙ্গে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো রকম সম্পর্ক নেই বলে জবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন।

পাকিস্তানের সঙ্গে তালেবানের সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাকিস্তান আমাদের দ্বিতীয় আবাস এবং লাখ লাখ আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আমরা এই দেশটির কাছে কৃতজ্ঞ।

পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করাকে তালেবান অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তানের নিরাপত্তা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপিকে তিনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, আমরা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপে বিশ্বাসী নই। আমরা আমাদের দেশ থেকে কাউকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করতে দেব না।

আফগানিস্তানের চলমান সংঘর্ষ সম্পর্কে তালেবান মুখপাত্র বলেন, আমরা আফগান জনগণের কোনো ক্ষতি করব না এবং তাদের জানমালের হেফাজত করা আমাদের কর্তব্য।

আফগান সরকারের সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণের জন্য তালেবান কাতারের রাজধানী দোহায় প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে বলেও জানান জবিউল্লাহ মুজাহিদ।

তিনি দোহা সংলাপের সফলতা কামনা করেন। তালেবান মুখপাত্র বলেন, আমরা সংলাপের মাধ্যমে আফগানিস্তানে ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চাই। আমাদের সামরিক শক্তি থাকা সত্ত্বেও আমরা বলপূর্বক কাবুল দখল করব না; বরং সংলাপকে প্রাধান্য দেব। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ ডোনাল্ড রামসফেল্ডের অজানা তথ্য


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০১ জুলাই, ২০২১, ০৭:২৪
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ ডোনাল্ড রামসফেল্ডের অজানা তথ্য

ফাইল ছবি । যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড

ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড মারা গেছেন। ৩০ জুন, বুধবার নিউ মেক্সিকোর তাওস এলাকায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

রামসফেল্ড ইরাক যুদ্ধের হোতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় দেশটির সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন। 

২০০৩ সালে সাদ্দাম সরকারের বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র মজুতের অভিযোগ তুলে ইরাকে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে অন্যায়ভাবে উৎখাত করে তাকে ফাঁসিতে ঝোলায় যুক্তরাষ্ট্র। 

ইরাকে মার্কিন হামলার প্রতিবাদে যখন লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেন, রামসফেল্ড তখন ইরাকে হামলার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেন। তিনি ইরাকে হামলাকে প্রেসিডেন্ট বুশের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করে প্রচার করেন। 

গুয়ানতানামো বে ও আবু গারিব কারাগারে বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালানোর পক্ষেও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন রামসফেল্ড। আফগানিস্তানে তালেবানদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বিষয়েও রামসফেল্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ডোনাল্ড রামসফেল্ড ইরাকে আমেরিকার যুদ্ধ সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন। ২০০২ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‌'আমি বলতে পারব না যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক যুদ্ধ পাঁচদিন, পাঁচ সপ্তাহ কিংবা পাঁচ বছর স্থায়ী হবে। কিন্তু এর থেকে বেশি দিন স্থায়ী হবে না সেটা আমি বলতে পারি।' 

এখনও ইরাকে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছে। দেশটিতে এখন পাঁচ হাজার ২০০ মার্কিন সেনা রয়েছেন। এর মধ্যে চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দুই হাজার ২০০ সেনা প্রত্যাহার করা হবে জানানো হয়েছে।

রামসফেল্ড কারাবন্দিদের ২০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের নিয়ম তৈরি করেছিলেন। এই ২০ ঘণ্টার মধ্যে চারঘণ্টা কাপড় খুলে, ভয় দেখিয়ে ও কষ্টদায়ক অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদের নিয়ম ছিল। এই জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি নিয়ে পরবর্তীতে ব্যাপক সমালোচনা হলেও তা অব্যাহত ছিল।   

রামসফেল্ডের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ইরাক যুদ্ধের সময়কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ। তিনি বলেন, তিনি রসিক এবং বড় হৃদযের ভালো মানুষ ছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিলেন। রামসফেল্ড যুক্তরাষ্ট্রকে আরও নিরাপদ ও উন্নত করেছেন।

অপরপক্ষে, এক টুইট বার্তায় কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির নাইট ফাস্ট এমেন্ডমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান ও সাবেক আমেরিকান নাগরিক স্বাধীনতা ইউনিয়নের উপআইন  পরিচালক জামি জাফের বলেন, রামসফেল্ডের নির্দেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে শত শত হাজতি অপব্যবহার এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাই রামসফেল্ড নিয়ে প্রত্যেক শোক আলাপের পূর্বে এসব নির্যাতনের বিষয়গুলোও উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। 
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক