a
ফাইল ছবি
সৌদি আরব আকাশ পথ নিষিদ্ধ করেছে ইসরায়েলের জন্য। কি কারণে এ নিষিদ্ধ দেওয়া হয়েছে তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের জন্য সৌদির আকাশপথ বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর ওই বছরের নভেম্বরে সৌদি আরব আকাশ পথ ব্যবহারের অনুমতি দেয় ইসরায়েলকে।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি আরো জানায়, সৌদি আরবের আকাশপথ ব্যবহার করতে না দেওয়ায় তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর থেকে আমিরাতের উদ্দেশে উড্ডয়নের জন্য অপেক্ষমান ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
ফাইল ছবি : প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বারবার হোচট খেয়েই অপর অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমী পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা শক্তি ও ন্যাটোর নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
বয়সের ভাড়ে ন্যুজ বাইডেন গত বছর ১৯ মার্চ মাসে ক্ষমতার গ্রহণের পর পরই যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের জয়েন্ট বেজ অ্যান্ড্রুজ থেকে আটলান্টায় যাচ্ছিলেন। ভ্রমণ শুরুর আগে সিঁড়ি বেয়ে বিমানে ওঠার সময়ই বাধে চরম বিপত্তি!
ভিডিওতে দেখা যায়, লাল কার্পেটে মোড়া প্লেনের সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন বয়স্ক এ নেতা। কিন্তু অর্ধেক পথে গিয়েই প্রথম হোঁচট খান তিনি। এরপর কোনওমতে নিজেকে সামলে নিয়ে আরও দু’পা এগোন। সেখানে খান দ্বিতীয় হোঁচট। এরপর উঠে দাঁড়াতে গিয়ে রীতিমতো হাঁটুতে ভর করে পড়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বয়সে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
অবশ্য, বাইডেন সিঁড়িতে এভাবে পড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে প্রবল বাতাসকে দায়ী করেছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
তবে, এবার এভাবে সাইকেল থেকে পড়ে যাওয়াকে মার্কিন কর্মকর্তারা কি বলবেন পাঠকবৃন্দকে আরো অপেক্ষা করতে হবে!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাইকেল চালাতে গিয়ে গতকাল স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ডেলাওয়্যার রাজ্যে তার সমুদ্র সৈকতের বাড়ির কাছে এই ঘটনা ঘটে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউস পুল রিপোর্টের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে ৭৯ বছর বয়সী বাইডেন পড়ে যাওয়ার পরপরই ওঠে বলেন, আমি ঠিক আছি।
এদিকে, বাইডেনের এবার সাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ার ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। অনেকে ঠাট্টাচ্ছলে বলছেন বাইডেন বার বার চোট পাচ্ছে পুতিনের নাশকতার কারনেই!
ফাইল ছবি
সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা নেটওয়ার্কের অর্থনীতিবিদেরা এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করার পর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা সুদের হার আরেক দফা বাড়ানোর কথা ভাবছেন।
গতকাল রবিবার এ নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে নীতি-নির্ধারকরা অনির্ধারিত এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
অর্থনীতিবিদদের ধারণা, পতনের ঝুঁকি ত্বরান্বিত হতে পারে সুদের হার বাড়ালেই। কারণ, তার ফলে সরকারি বন্ড এবং মর্টগেজ-বন্দকীর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সম্পদের মূল্য কমে যাবে। এতে আমানতকারিদের পক্ষে স্বাভাবিক লেন-দেন চালিয়ে নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়তে পারে। এসব কারণেই সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক সংকটে পড়ে দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা নেটওয়ার্কের অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যাংকের সম্পদের দাম একেবারে তলানিতে যাওয়ার ফলেই বীমাহীন আমানতকারিরা গচ্ছিত অর্থ দ্রুত সরিয়ে ফেলেন এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ১৮৬টি ব্যাংকও অনুরূপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, যা ঠেকাতে সঠিক নীতিমালার কোন বিকল্প নেই। অর্থাৎ এসব ব্যাংকের পতন ঠেকাতে বেল আউটের মতো প্রক্রিয়া অবলম্বন তথা ফেডারেল সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।
অর্থনীতি নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা বলেছেন, ‘কোনো ব্যাংকের আমানতকারিরা যদি খুব দ্রুত তাদের জমানো অর্ধেক অর্থ উইথড্র করেন, তাহলেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পতনের ঝুঁকিতে পড়ে।’
রবিবার প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকিং জায়েন্ট ইউবিএস বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় টালমাটাল অবস্থার অবসানের অভিপ্রায়ে নীতি-নির্ধারকদের সমন্বয়ে একটি চুক্তির আওতায় প্রায় ৩.২৫ বিলিয়ন ডলারে কঠিন সংকটে পতিত ‘ক্রেডিট সুইস ব্যাংক’ কিনে নিচ্ছে। এটি ছিল ইউবিএসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী একটি ব্যাংক। ফেডারেল রিজার্ভ এবং আরো ৫টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোমবার থেকে শুরু হওয়া তাদের ডলারের ‘অদলবদল’ ব্যবস্থায় তারল্য বাড়ানোর জন্যে সমন্বিত পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়।
ফেডারেল ব্যাংক অব কানাডা, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ব্যাংক অব জাপান, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারপারসন জেরমি পাওয়েল বুধবার সুদের হার বৃদ্ধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। গত বছরের ৮ বার সুদের হার বৃদ্ধির মতো আরেক দফা পদক্ষেপ নেবেন কি না সে সিদ্ধান্ত দেবেন।
জেরমি পাওয়েল ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, প্রত্যাশিত ত্রৈমাসিক শতাংশের চেয়ে বেশি হার বাড়াতে পারেন। কারণ, মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা অনুযায়ী হ্রাস পাচ্ছে না। অপরদিকে শ্রমবাজার শক্তিশালী রয়ে গেছে। তিনি সে ধারণা পোষণ করেছিলেন সিলিকন ভ্যালি এবং সিগন্যাচার ব্যাংক পতনের আগে।
গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার ফার্স্ট রিপাবলিকান ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের ১১টি ব্যাংক থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের জরুরি ঋণ নিয়েছে, আর এটি করা হয়েছে বাইডেন প্রশাসনের মধ্যস্থতায়।
ফার্স্ট রিপাবলিকান ব্যাংক কর্তপক্ষ দাবি করেছে যে, ঘনঘন সুদের হার বৃদ্ধি করায় ব্যাংকের সম্পদের মূল্য কমেছে। এতে করে আমানতকারিরা ভয় পেয়ে যায় এবং একাউন্ট থেকে অর্থ সরিয়ে নেওয়ায় ব্যাংক পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে।
এদিকে, বাইডেনের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বারবার দাবি করছেন যে, ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই কিন্তু অর্থনীতিবিদেরা দাবি করেন বাস্তবতা ভিন্ন। এর ফলে ছোট ও মাঝারি ধরনের সকল ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা আমানত উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন