a
ছবি: সংগৃহীত
অন্যসব দেশের রাষ্ট্রনেতাদের তুলনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার পুলিশপ্রধান খন্দকার গোলাম ফারুক।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগের দিন শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঝুঁকি বিবেচনায় সম্মেলন ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জীবন সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকে, ইতিপূর্বে অনেকবার জীবননাশের চেষ্টা করা হয়েছে, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এ জন্য আমরা তার নিরাপত্তাটাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকি।
তিনি জানান, সম্মেলনস্থলে প্রবেশের প্রতিটি গেটে থাকছে আর্চওয়ে, বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে মঞ্চের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছি, যাতে আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল শেষ করতে পারে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বে যত বড় রাজনৈতিক নেতা আছেন, তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি রিস্কে। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বারবার তার জীবননাশের চেষ্টা করেছে। সূত্র: যুগান্তর
ছবি: ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু
রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে করা একটি মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি শেষে এই আদেশ প্রদান করেন। এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একইসঙ্গে তাদের জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করা হয়।
সোমবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত উক্ত আদেশ প্রদান করেন। এইদিন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে রিমান্ড নামঞ্জুর করে দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমোদন দেন। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। তারা ঘোষণা করেছে, বিশৃঙ্খলার সুযোগে যারা জনগণের সম্পদ লুট করার চেষ্টা করছিল তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
তালেবান নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আফগান কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বাসভবনে অনুপ্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে তালেবান সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, নিছক সাবেক আফগান সরকারের হয়ে কাজ করত বলে কাউকে হেনস্থা করা যাবে না।
এদিকে আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। কাতারের দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক দফতরের উপ প্রধান আব্দুস সালাম হানাফি সোমবার বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিদেশি কূটনীতিক ও সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সরকারি কাজে নিয়োজিত সব চাকরিজীবী কোনও ধরনের শঙ্কা ছাড়াই নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান।
তিনি নারী চাকরিজীবীদেরও কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। হানাফি বলেন, কারো প্রতি অবিচার করা হবে না এবং নারীরা তাদের হিজাব রক্ষা করে কর্মস্থলসহ সব কাজ পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যেতে পারবেন।
এদিকে আল-জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে, আফগান গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু কর্মকর্তা সোমবার আমেরিকার বিমানে চড়ে কাবুল ছেড়েছেন। তবে তারা কোথায় যাচ্ছেন তা জানা যায়নি।