a জাতীয় শিশু-কিশোর সংস্থা চাঁদের কণার উদ্যোগে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা উদযাপন
ঢাকা শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জাতীয় শিশু-কিশোর সংস্থা চাঁদের কণার উদ্যোগে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা উদযাপন


আরাফাত আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০২ মার্চ, ২০২৫, ০৭:৫৩
জাতীয় শিশু-কিশোর সংস্থা চাঁদের কণার উদ্যোগে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা উদযাপন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

জাতীয় শিশু কিশোর সংস্থা চাঁদের কণার উদ্যোগে সম্প্রতি ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট  সংগঠক এটিএম মমতাজুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট এগ্রো কেমিস্ট মোঃ আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ নাগরিক পরিষদের সভাপতি আবদুল আহাদ নুর, এসএম আমানুল্লাহ প্রমুখ।  

অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্টজনদের চাঁদের কণা এওয়ার্ড দেয়া হয়। সলভার এগ্রো ফার্মার ব্যাবস্হাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুস সাত্তার কে এগ্রো কেমিস্ট হিসেবে বিশেষ অবদানের জন্য এই পদক প্রদান করা হয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সময়ের সাতকাহন- জেবুন নাহার


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ০২ মার্চ, ২০২১, ১২:২৮
সময়ের সাতকাহন- জেবুন নাহার

ফাইল ফটো: জেবুন নাহার

সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে
ততবেশি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছো,
তোমার কাছে একটু সময় চেয়ে
যে মানুষটা বসে থাকে,
তাকে কেন তোমার ব্যস্ততা দেখিয়ে যাচ্ছ?
যার সাথে নানা কথার অজুহাতে 
কারনে অকারনে ফোনটা ওপাশ থেকে রেখে দাও,
কথা না বলে চুপ করে থাকো,
সে যে তোমাকে কতটা ভালোবাসে
তা কি কখনও বুঝতে পারো?
অবুঝ মন যখন অবুঝ আচরণে 
অবুঝ কোন সিদ্ধান্ত নেয়, 
তখন চারিদিকে শুধু হা-হা কার
ধ্বনি প্রকম্পিত হতে থাকে!
অভিমান করে ভুলে থাকার যে
অলিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছ,
তা আমাকে যত না বেশী দূরে রাখছে,
তার চেয়ে কাছে টানার আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে ঢের বেশী।
পলাশ, শিমুলের মোহনীয়তায় এবারের ফাগুনে বসন্তের আগমনী বার্তা পেয়েছে তার ভিন্ন রূপ। 
বসন্তের রঙিন আলোয় উর্বশী আমি, 
তুমি আলতো করে ছুঁয়ে দিয়েছ বলে।
তোমার মায়াবী চোখের মায়াজালে আমার আঁখিপল্লব হারিয়ে ফেলে তার চোখের ভাষা, 
উর্বশী আমি মেতে উঠি উন্মত্ত ভালবাসায়।
কথা ছিল আজ সকালে একসাথে সূর্যোদয় দেখব।
তুমি বলেছিলে গাছের আড়ালে সূর্যকে যত সুন্দর দেখায় ততো সৌন্দর্য যেন আর কিছুতে নেই,
রাতভর জেগে থেকে তোমার লোমশ বুকে মাথা রেখে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, 
তুমি ডেকেছিলে মাঝে কিন্তু পরে আর কোন শব্দ করো নি।
সূর্য দেখব বলে ঘুম ভেঙে চোখ খুলে দেখি - আমার কোলে তোমার মাথা, তুমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। 
তোমাকে আর জাগালাম না।
সূর্যোদয় আজ আর দেখা হল না, 
হয়ত কাল বা অন্য আর একদিন বেরিয়ে পড়বো সূর্যকে দেখার জন্য ।
সূর্যের মডেলিং এ অভিভূত হয়ে নিশ্চয়ই তুমি ব্যস্ত হয়ে পড়বে সূর্যকে নিয়ে,
তুমি কি তাহলে আমাকে আর ভালবাসবে না? 
এক হৃদয় ভালবাসা নিয়ে কাছে আসবে না?
স্মৃতির পাতায় হারিয়ে যাই আমি,
হাজারো স্মৃতির ভীড়ে খুঁজে পাওয়া হীরক খন্ডগুলো ।
হ্যাঁ হীরক খন্ডগুলোর কথাই বলছি;
তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই আমার কাছে এক একটি হীরকখচিত পান্ডুলিপি।
সেখানে ছিল রাতজাগা ভোর,
মায়াবী পাখির মিষ্টি ডাকাডাকি,
রয়েছে সেখানে লাজুক সূর্যের ঝিলিক দিয়ে উঁকি দেওয়া,
আরও রয়েছে হাতে হাত রেখে পাশাপাশি হাঁটা,
সেখানে রয়েছে তপ্ত রোদে ক্লান্ত দুজনের গাছের ছায়াতলে বিশ্রাম নেয়া, 
আরও কতকিছু।
আমার স্মৃতিতে কড়া নাড়ে জ্যোস্না বিলাসীর মহিমান্বিত ফল্গুধারা,
জ্যোস্নার মধুর আবেগ, 
এ এক নেশা জাগানো ভালোবাসা।
হৃদয়কে কামনাতুর করার যে প্রলোভন 
তা লক্ষ কাজের দামামায় তোমার কথাই মনে করিয়ে দেয় বারবার।

 

.......ফেসবুক হতে সংগৃহীত

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / এম কে আলম

প্ল্যাকার্ড হাতে একা দাঁড়িয়ে যৌন হয়রানির বিচার চাইলেন জবি শিক্ষার্থী


মাহাদী সিয়াম, জবি প্রতিনিধি
বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেরুয়ারী, ২০২২, ০৭:৩৯
প্ল্যাকার্ড হাতে একা দাঁড়িয়ে যৌন হয়রানির বিচার চাইলেন জবি শিক্ষার্থী

ছবি:মুক্ত সংবাদ প্রতিদিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের-(জবি) ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী নিজ বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন। ২০১৭-১৮ সেশনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা এই অভিযোগের বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাড়িয়ে বিচার দাবি করেন।

ফারজানা অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর শিক্ষক জনাব আবু শাহেদ ইমন নিকতনের ব্লক-এ এর দুই নাম্বার রোডের ৮২ নাম্বার বাসায় অবস্থিত ব্যক্তিগত অফিস কার্যালয়ে তাকে ডেকে ফ্রেন্ডশিপের প্রস্তাব দিয়ে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করেন।

ফারজানার ভাষায় শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন তার শরীরে হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বলেন, আমাকে দেখে তোমার কি কখনও কিছু অনুভব হয়নি? এ কথা বলতে বলতে তিনি নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে আমার চেয়ারের পেছনে এসে যৌন অঙ্গভঙ্গিতে আমার ঘাড়ে হাত দিয়ে মেসেজ করতে শুরু করেন। তিনি তার যৌন তাড়না প্রকাশ করে বলতে থাকেন ভয় পেয়ো না। এখানে কেউ দেখতে পাবে না, কেউ শুনতেও পাবে না। উনার আচরণে আমি ভয় পেয়ে যাই এবং তৎক্ষণাৎ আমার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতেই আবারও আমাকে জোরপূর্বক শক্ত করে জড়িয়ে ধরেন। আমাকে তার সাথে নোংরা কাজে লিপ্ত হওয়ার জোর করেন। আমাকে নিজেকে রক্ষা করতে চিৎকার করে বলতে থাকি স্যার আপনি যা চাচ্ছেন আমি তা চাচ্ছিনা। আমি পুলিশ ডাকার ভয় দেখালে তিনি আমাকে ছাড়তে বাধ্য হোন।

ফারজানা আরোও বলেন, “আমি তার পরের দিন এক সহপাঠীসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে এই ঘটনা জানাই। তিনি জানান উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া বিচার করা সম্ভব না। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া উপাচার্য বরাবর অভিযোগ করলে তা প্রমাণ করতে না পারলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে ছাত্রত্ব বাতিল হতে পারে।”

এই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন তার পরবর্তীতে ক্লাসে লাঞ্চনা, এসাইনমেন্ট ও উপস্থিতির বৈষম্যের শিকার এবং পরীক্ষার স্বল্প মার্কসের ঘটনা ঘটলে ফারজানা ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে উপাচার্যের কাছে এই বিষয়ে বিচারের জন্যেক লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগ অন্যান্য সহপাঠীদের প্রলোভন দেখিয়ে এবং কাউকে কাউকে ভয় দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এমনকি যৌন হয়রানির অভিযোগ সেলেও ঘটনার তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে। সুপরিচিত হিসেবে পরিচিত এই শিক্ষক প্রশাসনের আস্থাভাজন হওয়ায় বিভাগীয় চেয়ারম্যান এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদেরকেও সংবাদ না করার চাপ দেয়া হয়। সর্বশেষ বাধ্য হয়ে একাই এই শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করতে দাঁড়ান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানির প্রতিরোধ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে, তারা ব্যবস্থা নেবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানির প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লাইসা আহমদ লিসা বলেন, এটি নিয়ে আমাদের সামনের সপ্তাহে মিটিং আছে, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এর আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - ফটো গ্যালারি