a
ফাইল ছবি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) আরফানুল হক রিফাত।
বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
এ ছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। উৎসবমুখর পরিবেশেই স্থানীয় সরকারের এই ধাপের নির্বাচন হয়েছে। দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণা শুরু হয়। এই নির্বাচনে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ১০৫টি, ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।
ভোটগ্রহণ শেষে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, এ নির্বাচনে প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা তিনি পাননি। বেশকিছু ভোটকেন্দ্রে তার লোকজনকে হয়রানি করা হয়েছে এবং কোথাও মারধরও করা হয়েছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানান নৌকার প্রার্থী।
সাক্কু গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ খুবই সুন্দর হয়েছে। ইভিএমের কারণে ভোট কাস্টিং কম হয়েছে। অনেকে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। আমি তো মনে করেছিলাম, ইভিএম শুধু জাতীয় নির্বাচনের জন্য। কিন্তু সিটি নির্বাচনের মাত্র একশ কেন্দ্রেই যে জটিলতা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে তো হাজার হাজার কেন্দ্র থাকবে। এটা ইভিএমে যদি হয়, তাহলে কী হবে তা এখনই বুঝা যাচ্ছে।
নির্বাচনের পরিবেশের জন্য জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে আরেক মেয়র প্রার্থী নিজামউদ্দিন কায়সার বলেন, খুবই ভালো নির্বাচন হয়েছে। এখন যদি ইভিএমে কারচুপি না হয় তাহলে আমার পক্ষেই রায় আসবে। ঘোড়া প্রতীকে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে- ইভিএমে কোনো কারিগরি না করা হলে তা ফলাফলে প্রতিফলন ঘটবে।
এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে ব্রিফিংয়ে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, কুমিল্লা সিটিতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকেও তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। এ সিটিতে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। খুব বিরূপ মন্তব্যও আমরা পাইনি।’ সূত্র: যুগান্তর
সংগৃহীত ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনায় ডাকা হরতালে বাধা দিলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি ও খেলাফত মজলিশের শায়খুল হাদিস মামুনুল হক।
শনিবার দুপুর ১২টায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে হেফাজত আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
মামুনুল হক বলেন, মসজিদে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে হেলমেট বাহিনী। রাজপথে নেমে এলে হেলমেট বাহিনী পালানোর পথ পাবে না। হেলমেট বাহিনীকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে পুলিশ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর সহ-সভাপতি আহমেদ আলী কাশেমী, ফজলুল করিম কাশেমি, মুফতি মাহফুজুল হক, মুফতি জসিম উদ্দিন, মুহিবুল্লাহ মাওলানা হাসান প্রমুখ। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বিয়ে করেছেন, এমন গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই চারদিকে শোনা যাচ্ছে। গাজীপুরের রাকিব সরকার নামের একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের সঙ্গেই নাকি ঘর বেঁধেছেন তিনি। সেখানকার কিছু সূত্রে গণমাধ্যমে খবরটি উঠে আসে। যদিও রাকিবের সঙ্গে সম্পর্ককে স্রেফ বন্ধুত্ব বলেই দাবি করেছেন মাহি।
এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল মাহি ও রাকিব সরকারের একটি ছবি। যেখানে মাহিকে দেখা যাচ্ছে শাড়ি পরা অবস্থায় এবং রাকিব আছেন পাঞ্জাবীতে।
নেটিজেনদের মতে, এটা তাদের বিয়ের সময়ে তোলা ছবি। ঘরোয়া আয়োজনে তারা বিয়ে করেছিলেন। সে কারণে তেমন সাজসজ্জা নেই। মাহি কিংবা রাকিব নিশ্চিত না করলেও অন্য একটি ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে এই ছবির সমীকরণ মেলালে বিয়ের গুঞ্জনটা পোক্ত হয়। গত ১১ জুন ফেসবুকে মাহি একটি শাড়ি পরে ছবি দিয়েছিলেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘আমি তোমাকে গান, সিনেমা, সবখানে অনুভব করি। আলহামদুলিল্লাহ্’।
মজার ব্যাপার হলো, তিন মাসের আগের ওই ছবিতে মাহির পরনে যে শাড়ি ছিল, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ছবিতেও ঠিক একই শাড়ি। তাই নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিচ্ছেন। অধিকাংশই ধারণা করছেন, দুটি ছবিই বিয়ের সময়ের। তবে গোপন রেখেছেন নায়িকা।
কয়দিন আগেই তিনি বলেছেন, ১৩ সেপ্টেম্বর একটি সারপ্রাইজ দেবেন। অনেকেই মনে করছেন, এদিন বিয়ের কথাই প্রকাশ্যে আনবেন মাহি। উল্লেখ্য, ভালোবেসে সিলেটের ব্যবসায়ী মাহমুদ পারভেজ অপুকে ২০১৬ সালে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। চলতি বছরের ২৩ মে তিনি জানান, অপুর সঙ্গে আর থাকছেন না। তারা বিবাহ বিচ্ছেদ করছেন।