a
ফাইল ছবিঃ রুহুল কবির রিজভী
সুচিকিৎসা খালেদা জিয়ার নাগরিক অধিকার মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এ সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। সুচিকিৎসা তার ( খালেদা জিয়া ) নাগরিক অধিকার, মৌলিক অধিকার।
আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কৃষকদল আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, যে ব্যক্তির সুস্থতা কামনায় আজ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে সেই মহান ব্যক্তিটি আমাদের ছাত্র জীবন থেকে প্রেরণা যুগিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করতে হয়, দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে কীভাবে দেশকে পরিচালনা করতে হয়, সে অদম্য দৃষ্টান্ত তিনি দেখিয়েছেন। তার নাম দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। অসুস্থ থাকার পরও দেশের মানুষের প্রতি যার প্রতিশ্রুতি অঙ্গীকার থেকে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে কৃষকদলের সহ-সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী, যুগ্ম-সম্পাদক টি এস আইয়ুব, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, দফতর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি সংগৃহীত: তারেক জিয়াসহ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ
নিউজ: জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলোর গুরুত্ব জাতির এই সংকটময় সময়ে অপরিসীম। ১৯৭৫ সালের পর থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্বদানে বিএনপি বাংলাদেশের একমাত্র প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
সার্বভৌম বাংলাদেশের গঠনে বিএনপির ভূমিকা ইতিহাসে উজ্জ্বল অক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। বিএনপি কখনো জনগণের বা দেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয়নি, যদিও কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল। ইতিহাস সর্বদা জিয়াউর রহমান ও বিএনপির ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্মরণ করবে।
বিএনপি জনগণের প্রতি অনুগত ও জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে সাফল্যের নজির স্থাপন করেছে। জনগণের বিশ্বাস, বিএনপি বর্তমান জাতীয় সংকট মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।
সম্প্রতি বিএনপির রিজভী আহমেদের একটি বিবৃতি সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং এটি সময়োপযোগী ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া হিসেবে গণ্য হয়েছে। এ বিবৃতি বিএনপির সত্যিকারের অবস্থানকে পরিষ্কার করেছে, বিশেষ করে ভারতের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছিল, তা দূর করতে সহায়ক হয়েছে।
এ বিবৃতি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারকে খণ্ডন করেছে এবং প্রমাণ করেছে যে বিএনপি দেশের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়তাবাদী শক্তি। জনগণ আন্তরিকভাবে আশা করে, বিএনপি অতীতের মতোই বিচক্ষণতার সঙ্গে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে।
বর্তমান সময়ে বিএনপির ভুল করার কোনো সুযোগ নেই। পুরো জাতি তাদের নেতৃত্বে সাদরে অপেক্ষা করছে। এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো দেশের প্রতিভাবান জাতীয়তাবাদী মানুষদের খুঁজে বের করা, যেমন জিয়াউর রহমান করেছিলেন।
১৯৭৫ সালের নভেম্বর বিপ্লবের সময় জিয়ার নেতৃত্বে যে কাজগুলো সম্ভব হয়েছিল, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু তার কাজের চেতনা বর্তমান বিএনপি নেতৃত্বকে দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লব বিভিন্ন কারণে ১৯৭৫ সালের নভেম্বর বিপ্লব থেকে ভিন্ন। সেই সময় ভারত ও আওয়ামী লীগ জিয়ার সরকারকে চ্যালেঞ্জ করার অবস্থানে ছিল না। জিয়া দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং চীনকে কৌশলগত অংশীদার করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছিলেন।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। ভারত ও আওয়ামী লীগ উভয়ই বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করতে সক্ষম। আওয়ামী লীগ তাদের বিপুল অর্থ ব্যবহার করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে ভারত, যাদের ট্রাম্প প্রশাসনের মিত্র হিসেবে শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে, বর্তমান সরকারের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পিছু হটবে না।
আমাদের সামনে যে পথ খোলা তা হলো বিএনপির নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী শক্তির ওপর নির্ভর করা। পাশাপাশি চীনের মতো একটি ভেটো ক্ষমতাধারী দেশের সঙ্গে দ্রুত ও শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং শত্রুর শত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করার কথা বিবেচনা করা। বাকিটা আল্লাহ তায়ালার ওপর নির্ভরশীল। ইনশাআল্লাহ, তিনি আমাদের সঠিক পথ দেখাবেন।
লেখক: সম্পাদক, সামরিক ইতিহাস জার্নাল এবং আইনের অধ্যাপক।
ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগেই আগামীকাল রবিবার ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া আগামীকাল সব বিভাগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী রবিবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম/দক্ষিণ দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটার থাকবে, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার হতে পারে।