a
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি করেছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি জিয়ার মাজারে ফুল দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, জিয়ার মাজারে ফুল দিতে এসেছিলাম আমরা। পুলিশের কাছে অনুমতি নেওয়া ছিল। কিন্তু জিয়ার মাজারে ঢুকতে সব পথ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশ আমাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তবে এ বিষয় এখনও পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ভিডিও লিংক: https://www.facebook.com/watch/live/?v=254406929835990&ref=external
সূত্র: যমুনা টিভি/যুগান্তর
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি ছিল হিউমার। তিনি আরও বলেছেন, বিএনপি ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ানোর কথাটিও হিউমার ছিল। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে একজন সাংবাদিক ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপিকে চা খাওয়ার দাওয়াতের কথা বলে আসলে সংলাপের দরজা খুলতে চাইছেন কি না। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন, এ তো পলিটিক্যাল হিউমার। যেমন বেগম খালেদা জিয়াকে টুপ করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার। তারা (বিএনপি) ঘেরাও করবে, আন্দোলন করবে—এটারই জবাবে হিউমারের দিক থেকে বলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলেরা ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ালে অসুবিধা কী?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ মে দলীয় এক সভায় পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অতীত মন্তব্যের সমালোচনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। সেতুতে যে স্প্যানগুলো বসাচ্ছে, এগুলো তার কাছে ছিল জোড়াতালি দেওয়া। বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরেরাও...তাদের এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত।’
গত শনিবার দলীয় আরেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়, তাতেও বাধা দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলামোটরে যে বাধা দেওয়া, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যত দূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব।’ সূত্র: প্রথম আলো
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধ করতে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে লকডাউন দিয়েছে সরকার। তবে আগামী বুধবার পর্যন্ত সব ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। এর পরদিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাত দিনের জন্য সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন কার্যকর করবে সরকার। আর বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের জন্য পুরোপুরি লকডাউন থাকবে দেশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে, ২৪ জুন কোভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’- এর সুপারিশ করা হয়।