a
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি করেছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি জিয়ার মাজারে ফুল দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, জিয়ার মাজারে ফুল দিতে এসেছিলাম আমরা। পুলিশের কাছে অনুমতি নেওয়া ছিল। কিন্তু জিয়ার মাজারে ঢুকতে সব পথ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশ আমাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তবে এ বিষয় এখনও পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ভিডিও লিংক: https://www.facebook.com/watch/live/?v=254406929835990&ref=external
সূত্র: যমুনা টিভি/যুগান্তর
ফাইল ফটো: শিশুবক্তা-রফিকুল ইসলাম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে রাজধানীতে যুব অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে আটক ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর তিনি গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। সেখানে তিনি একটি মাহফিলে অংশ নেবেন বলে জানানো হয়।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় দুপুর ১২টার পর তাকে রফিকুলকে আটক করা হয়। পরে বিকাল ৫টার দিকে অভিভাবকদের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পল্টন মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী আশরাফুল হক বলেন, আটক শিশুবক্তা রফিকুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিকাল ৫টার দিকে পল্টন থানা থেকে তার অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র অধিকার পরিষদ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। আধঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন এবং এসময় শিশুবক্তা রফিকুল ইসলামসহ আরও ১১ জনকে আটক করে পুলিশ।
ফাইল ছবি: শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান যে শিক্ষাক্রম সেটা খুব বাস্তবায়নযোগ্য নয়। বিশেষ করে মূল্যায়ন পদ্ধতির দিক থেকে। যতদূর পারি আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাব। তবে এমনভাবে এটি করা হবে, যাতে যেসব শিক্ষার্থী নতুন শিক্ষাক্রমে আছে, তাদের কোনো অস্বস্তি না হয়। এ জন্য পরিমার্জন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমনভাবে ফিরে যাব না যে বর্তমানটার সঙ্গে মিল থাকবে না। আগেরটায় ফিরে গেলে তারা যা পড়ে ফেলেছে তার সঙ্গে মিল রাখতে হবে, সেজন্য অতিদ্রুত কিছু কাজ করতে হবে।’
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এসময় ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এখানেই এতদিন ধরে আমাদের বড় ধরনের অবমূল্যায়ন হয়েছে। অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পদগুলো শূন্য। এটা পূরণ করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা চাইব বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অতিদ্রুত পূরণ করতে।’
‘ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন ভালো পরিবেশ থাকে। বিশৃঙ্খলা না করে শৃঙ্খলা থাকে। নিয়ম মাফিক যেন হয়, দখলদারিত্ব যেন না হয়। সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে সবার সহযোগিতা দরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমিটিগুলোতে দখলদারিত্ব না হয়। এক দল সরিয়ে অন্য দল আসবে, সেটা চাই না। কী করা যায়, সেটা চিন্তা করব।'
তিনি বলেন, ‘শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন দিয়ে নয়, অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যদি মানবসম্পদের উন্নয়ন না হয়, তাহলে কোনো দেশ উন্নত হয় না। সেক্ষেত্রে অর্থনীতি ও শিক্ষার মধ্যে যোগসূত্র আনার চেষ্টা করব।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন