a
ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টির মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী ও ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু মারা গেছেন।
শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন।
তিনি জানান, ‘চিকিৎসকরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছেন। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছে না এখনও তার মরদেহ এখন হাসপাতালেই রাখা আছে। জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা কিছুক্ষণের মধ্যেই বৈঠকে বসবেন। এরপর তারা জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা বাবুল দুই দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
ফাইল ছবি
নাগরিকদের গণতান্ত্রিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পথে অন্তরায় যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে বিশিষ্ট নাগরিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি’।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় এক সভা থেকে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়।
আজ শুক্রবার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামিনা লুৎফা নিত্রার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির গঠনের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাহাড় ও সমতলের সব নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে নিবর্তনমূলক ও জনবিরোধী আইন বাতিল করতে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে, শ্রমিক ও কৃষকের অধিকার রক্ষা করতে এবং দখলদারত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করাসহ সব ধরনের গণতান্ত্রিক দাবিতে এই প্ল্যাটফর্ম কাজ করে যাবে।
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, প্রতিটি গণ–অভ্যুত্থানের পর পুনরায় ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হতে দেখা যায়। মানুষের প্রাণের বিনিময়ে অর্জন ব্যর্থ হয়েছে। এবারের গণ–অভ্যুত্থান ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব শক্তির একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম জরুরি। তাই এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, সীমা দত্ত, মাহা মীর্জা ও কল্লোল মোস্তফা।
সদস্য হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক আকমল হোসেন, অধ্যাপক মামুন আল রশিদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, মোশাহিদা সুলতানা রিতু, স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, আশরাফ কায়সার, বিধান রিবেরু, আনিস রায়হান, চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, এ এস এম কামাল উদ্দীন, আফজালুর বাসার, মযহারুল ইসলাম বাবলা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, লেখক ও শিল্পী মোস্তফা জামান, শিল্পী অরুপ রাহী, মফিজুর রহমান লাল্টু, বিথী ঘোষ, সুষ্মিতা রায় সুপ্তি, আজিমুন নুজহাত মণিষা, ওমর তারেক চৌধুরী, জামশেদ আনোয়ার তপন, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, কামার আহমাদ সাইমন, অধ্যাপক কাজী রফিকুল ইসলাম, বাকী বিল্লাহ, জয়দীপ ভট্টাচার্য, নাসিমুল খবির ডিইক, তসলিমা আক্তার লিমা, জলি তালুকদার, আমেনা খাতুন, সুনয়ন চাকমা, হারুন-অর-রশিদ ভূঁইয়া, মানস নন্দী, শামীম ইমাম, সত্যজিৎ বিশ্বাস, ইকবাল কবীর, আফজাল হোসেন, রাশেদ শাহরিয়ার, আইনজীবী মানজুর আল মতিন, রাগিব নাঈম, সালমান সিদ্দিকী, দিলীপ রায়, সৈকত আরিফ, সায়েদুল হক নিশান, অঙ্কন চাকমা, তাওফিকা প্রিয়া প্রমুখ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আলোর মুখ দেখতে পেল হলিউডের জনপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন মুভি ম্যাট্রিক্সের চতুর্থ কিস্তির ট্রেইলার। আগের তিনটি কিস্তিতে চ্যালেঞ্জিং ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর যে ধারা রয়েছে সেটি ধরে রাখা হয়েছে এবারের দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনসে। নিও এবং ট্রিনিটির ভূমিকায় অভিনয় করা কিয়ানু রিভস এবং ক্যারি-অ্যান মস আবারও একসঙ্গে হয়েছেন নিজেদের চরিত্রে।
তবে মরফিয়াস হিসেবে লরেন্স ফিশবার্নকে ফেরানো হয়নি এই কিস্তিতে। রিভস এবং মস-এর সঙ্গে নীল প্যাট্রিক হ্যারিস, ইয়াহিয়া আব্দুল-মতিনের পাশাপাশি বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনয় করেছেন দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনসে। আবদুল-মতিন নতুন ছবিতে একজন তরুণ মরফিয়াসের চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন বলে খবর রটেছে। বরাবরের মতো দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনস পরিচালনা করেছেন লানা ওয়াচোস্কি।
যুক্তরাষ্ট্র ও অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এইচবিও আগামী ২২ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনস। ওয়েবসাইটে ভক্তরা কোন ফুটেজ দেখবেন, তা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারবেন। সাইটে যাওয়ার পর ভিজিটররা একটি লাল বা নীল 'পিল' নির্বাচন করতে পারবেন। তাদের নির্বাচিত পিল অনুযায়ী বাজবে একটি টিজার।
'দ্য ম্যাট্রিক্স' মুভিতে দেখানো হয়, লাল পিলটি কিয়ানু রিভস অভিনীত 'নিও' চরিত্রকে মুক্ত করেছিল। অন্যদিকে, নীল পিল তাকে তার মিথ্যা বাস্তবতায় আটকে রেখেছিল। আরেক টিজারে বলা হয়, 'আপনি কি মনে করতে পারেন এখানে কীভাবে এসেছেন? আপনি কল্পনা থেকে বাস্তবতাকে আলাদা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন, যা কিছু বাস্তব, তা রয়েছে এখানেই।
এ ছাড়া আর যা কিছু আছে, তা আপনার ওপর নিজেরই মনের চালানো কৌশল। কল্পনা আমাদের বিপদে ফেললে ব্যাপারটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমরা চাই না কেউ আহত হোক, তাই না?' দুই দশক আগে ১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল বিজ্ঞান কল্পকাহিনীভিত্তিক চলচ্চিত্র দ্য ম্যাট্রিক্স।
এ ছবি দিয়েই কানাডার অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী কিয়ানু রিভস জনপ্রিয়তা পান। এরপর ২০০৩ সালের শুরুতে ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রিলোডেড’ এবং ওই বছরের শেষ দিকে ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রেজল্যুশন’ দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। দেড় দশকেরও বেশি সময় পর সম্প্রতি ম্যাট্রিক্স ফোর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন পরিচালক লানা ওয়াচোস্কি। তিনি নিজেই চতুর্থ সিরিজটির চিত্রনাট্য লিখেছেন।