a
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার করোনার টিকা সংগ্রহে স্বেচ্ছাচারিতা ও নতুন অনিশ্চয়তায় গোটা জাতিকে হতাশ করেছে। রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবহার করে সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ ও শেয়ারবাজার লুটপাটে অভিযুক্ত এক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে টিকা সরবরাহের একচেটিয়া সুবিধা দিতে গিয়ে আজ সমগ্র জাতিকে ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।’
শনিবার ( ২৪ এপ্রিল) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন। ‘মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের পশ্চিম বাংলায় এই সংক্রমণটা সবচেয়ে বেশি হয়েছে। সেজন্য আমরা মনে করি, ভারতের সাথে স্থল পথের যে সীমান্ত আছে, এই সীমান্তগুলো একেবারেই বন্ধ করা দরকার।’
তার মতে, ‘একই উৎস থেকে টিকা সংগ্রহ করতে গিয়ে আজকে এই মহা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম থেকেই ভারতের বিকল্প সূত্র থেকে টিকা কেনার কথা আমরা বার বার করে বলেছি, বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের কথা বলেছি। কিন্তু কোনটাই করা হয়নি। ফলে আজকে একটা ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এখন আমরা দেখতে পারছি যে, শেষ সময় এসে সরকার রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহের চিন্তা করছে। আমাদের মনে হয় সেটা দেরি হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। আগে করতে পারলে আরও ভালো হতো।
প্রতিবেশী দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি বিমানপথে আসা যাত্রীদের ‘তিনদিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা’র সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, ‘বাইরে থেকে যারা বিমানপথে আসবেন তাদেরকে মাত্র তিনদিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। যেটা বিশ্বের কোথাও শুনিনি। এই সমস্ত সিদ্ধান্তগুলো আমাদের পরিস্থিতিকে ভয়ংকরভাবে নাজুক করে ফেলছে। লকডাউনের সময় যারা ঢাকার বাইরে চলে গিয়েছিলো এখন দোকান-মার্কেট খোলায় তারা আবার ঢাকায় ঢুকছে। ঈদের আগে তারা আবার গ্রামের ফিরে যাবেন। ফলে কী হবে? সারা দেশেই করোনাভাইরাসের সংক্রামণ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে।’
বিএনপি মহাসচিবের মতে, আমরা সরকারকে বলতে চাই যে, এই বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার এবং একটা পরিকল্পিত, সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা প্রয়োজন। এতো লেজে গোবরে করে ফেলেছে যেন এখন কোনটাই সামাল দিতে পারছে না।’
ফাইল ছবি
‘নির্বাচন কমিশন কতিপয় জটিল অসুখে আক্রান্ত, তাকে বাঁচাতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে হবে’-নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের এমন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘অবাক লাগে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের কমিশনার মাহবুব তালুকদার একটি দলের হয়ে যেভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন; তাতে মনে হয় ইসি নয়- তিনি নিজেই জটিল ও কঠিন মানসিক রোগে আক্রান্ত। বর্তমান ইসির মূল সমস্যা হচ্ছেন তিনি নিজেই।’
সোমবার রাজধানীর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে মোহাম্মদপুর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের পাঁচটি ইউনিটের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই আন্দোলনের ডাক দেন মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, অথচ বিএনপি আমাদের চেয়ে ছয়ঘণ্টা পিছিয়ে আছে। কারণ আমাদের নেত্রী ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠেন। আর দুপুর ১২টার আগে বিএনপির কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা সন্ধ্যায় নয়, গভীর রাতে বিবৃতি দেয়। এরা অন্ধকারের পার্টি; অন্ধকারে কাজ করতে তাদের ভালো লাগে।
ফাইল ছবি
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল প্রস্তুতি হয়ে যাবে অ্যাসাইনমেন্টে। এই দুই পরীক্ষার মধ্যে এসএসসির প্রশ্নপত্র ইতোমধ্যে ছাপানো হয়ে গেছে। সেখান থেকেই শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে অ্যাসাইনমেন্ট। অন্যদিকে এইচএসসির প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরিশোধন কাজ শেষ হয়েছে। শুধু মুদ্রণ বাকি আছে। এই স্তরেও অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এবং প্রণীত প্রশ্নপত্র অগ্রাধিকার পাবে। মূলত কাঙ্খিত ‘শিখনফল’ অর্জনের লক্ষ্যে সরকার এই প্রথা চালু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, আজ রোববার সারা দেশে প্রায় ২২ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া শুরু হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে অ্যাসাইনমেন্ট আপলোড করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেখান থেকে ডাউনলোড করে তা শিক্ষার্থীদের দেবে।
বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, কৃষি শিক্ষা, সাধারণ বিজ্ঞান, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার মতো আবশ্যিক এবং চতুর্থ বিষয়ে কোনো অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে না। এসব বিষয়ে পরীক্ষাও দিতে হবে না। বিভাগভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক করে মোট ৯ বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। ১২ সপ্তাহ চলবে এই কার্যক্রম।
প্রতিটি বিষয়ে আটটি করে ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। মধ্য অক্টোবরে এই কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর এক মাস থাকবে পরীক্ষার প্রস্তুতির সময়। এর মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হলে মধ্য নভেম্বরে নেওয়া হবে এসএসসি পরীক্ষা। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬০ এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ৮৪ কর্মদিবস ক্লাস করিয়ে এই দুই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, অ্যাসাইনমেন্ট ঠিকঠাকভাবে করলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভালো হবে। অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শেষে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে সব বিষয়ের ফল দেওয়া হবে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’-এর মাধ্যমে। আর পরীক্ষা নেওয়া গেলে নৈর্বাচনিক বাদে বাকি সব বিষয়ে গ্রেড দেওয়া হবে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে।
উল্লেখ্য, ফল তৈরিতে এইচএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি ২৫ ও এসএসসির ৭৫ শতাংশ এবং এসএসসির জন্য জেএসসির ওপর শতভাগ গুরুত্ব।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কাস্টমাইজড’ (সংক্ষিপ্ত) সিলেবাসের আলোকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হয়ে গেছে। সেখান থেকেই শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। প্রশ্নপত্র ছাপানো হওয়ায় বিকল্প সংখ্যা আগের মতোই থাকছে। এর ফলে আগের চেয়ে এখন ৫০ শতাংশ প্রশ্নের কম উত্তর লিখতে হবে। সব মিলে শিক্ষার্থীদের জন্য যতটা সহজ করা যায়, সেই দিকটি চিন্তায় রাখা হয়েছে। কিন্তু তাদের লেখাপড়া করতে হবে। সূত্র: যুগান্তর