a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: ফারাক্কা চুক্তির পুনর্বিবেচনা ও নদী রক্ষায় জাতীয় ঐক্য জরুরি বলে মনে করেন সকল রাজনৈতিক যোদ্ধারা। ফারাক্কা বাঁধের ৪৯ বছর পার হলেও এখনো কোনো রাজনীতির সুরাহা হয়নি। ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রতিবাদ সমাবেশ ও গণমিছিল করে।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন বলেছেন, ফারাক্কা ব্যারেজের মাধ্যমে ভারতের পানি আগ্রাসন বাংলাদেশের জন্য নীরব বিপর্যয়। কৃষি,জীব বৈচিত্র্য বিধ্বংসী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আজ শুক্রবার (১৬ মে) বিকাল ৪ টায় ফারাক্কা লং মার্চ দিবস উপলক্ষে বাংলামটরে আয়োজিত আলোচনা সভা ও প্রতিবাদ মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাসচিব অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, মাওলানা ভাসানীর লং মার্চ ছিল সাহসের প্রতীক। ফারাক্কা চুক্তির পুনর্বিবেচনা ও নদী রক্ষায় জাতীয় ঐক্য জরুরি।
গণমিছিলটি বাংলামটর থেকে শুরু হয়ে কারওয়ান বাজার ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এসময় কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ফাইল ছবি
বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা (এমপি) আজ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে ২ বার বাধার মুখে পড়েন। পরে বেলা ৩.১০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই এলাকার বটতলীতে সমাবেশস্থলে যোগদান করেন।
বাধা দেওয়ার বিষয়ে আইনিভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির এই নেত্রী। তিনি সমাবেশস্থলের কয়েক শ গজ দূরে নেমে মঞ্চে যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সরকার পতনের ডাক দিয়ে এ সময় তিনি বলেন, ‘একটা একটা রক্তবিন্দুর হিসাব আমরা নেব। এর বিচার নেব। আমি দেখতে পাচ্ছি আপনারা সবাই জেগে উঠেছেন। যত দূর দেখি তত দূরই বিএনপি নেতাকর্মী। তারা পুলিশকে ভয় পায় না, তারা প্রশাসনকে ভয় পায় না।
গতকালকেও পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করেছে। কিন্তু তারা আমাদেরকে কোনোভাবেই দমাতে পারে নাই।
এ সময় রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আজকের এ সমাবেশ প্রমাণ করে পুলিশ দিয়ে পারবেন না। রাস্তায় রাস্তায় বাধা দিয়েও নেতাকর্মীদের আটকে রাখতে পারেননি।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের অনেক ভয়। দেশনেত্রী ও তারেক রহমানকে ভয়। যে কারণে দেশনেত্রীকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বেগম জিয়া পায়ে হেঁটে কারাগারে গেছেন। এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না। এর জবাব সরকারকে দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতায় আছেন। এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি দেখে যান। আমার কোটি কোটি ভাইয়ের সমর্থন দেখে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া তো সেই মাটি, যেখানে মোরগও লড়াই করে বেঁচে থাকে। এখানে ১৯৫২ সালে অলি আহাদ ভাষার জন্য ১৪৪ ধারা ভেঙিছিলেন। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে ১৪৪ ধারা কাজ করে না। ১৪৪ ধারা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে আটকিয়ে রাখতে পারবেন না।’
করোনার সংক্রমণ রোধ করতে ১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কিছু প্রতিষ্ঠান এবং সেই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিরা লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরো পড়ুন: সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
এ বিষয়ে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে |
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, লকডাউনের সময় সব ধরনের পরিবহন (সড়ক, নৌ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়াও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব জরুরি সেবা ছাড়া এ সময়ে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে।