a
ফাইল ছবি
কোভিড-১৯ মহামারিতে গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো যেখানে করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। আর বাংলাদেশ সরকার করোনা নিয়ে মিথ্যাচার করে দেশের মানুষকে ভয়াবহ পরিস্থির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার গণফোরামের জ্যেষ্ঠ তিন নেতা এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে সাক্ষরকারী নেতারা হলেন-দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ চৌধুরী এবং গণফোরাম এর মুখপাত্র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
করোনায় সরকার ঘোষিত ১০ কোটি টাকা প্রণোদনার সমালোচনা করে বিবৃতিতে তারা বলেন, লকডাউনের নামে নিম্নবিত্তদের জীবন দুর্বিষহ করে ফেলেছে সরকার। বাংলাদেশে ১০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া এক তামাশা ছাড়া কিছু নয়। কারণ এই দেশের বহু সংখ্যক লোক দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে। তাদের ঘোষিত এ্ই ১০ কোটি টাকার প্রণোদনা কিভাবে এসব মানুষের মাঝে বিতরণ করবে?
গত বছরে সরকারের দেওয়া প্রণোদনার ১০ হাজার কোটি টাকার সিংহ ভাগ চলে গিয়েছিল বর্তমান সরকারের নেতা কর্মীদের পকেটে। সাধারণ মানুষের কাছে সে সাহায্য পৌঁছে নাই।
তারা আরও বলেন, এভাবে দেশের নিম্নবিত্ত মানুষদের কষ্ট না দিয়ে, তাদের জন্য ত্রাণের যথাযথ ব্যবস্থা করে লকডাউন কার্যকর না করলে এসব মানুষকে কখনোই ঘরে আটকে রাখা যাবে না।
ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ চারজনের জামিন আবেদনের শুনানি হবে আজ।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলার জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
অন্য দুজন হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
গত ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে পুলিশ রাজধানীর বাসা থেকে আটক করে। পরদিন আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।
গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। ওইদিন নয়াপল্টন কার্যালয় দলটির সিনিয়র কয়েকজ নেতাসহ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিন ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়।
পরদিন ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে উত্তরার বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং শাহজাহানপুরের বাসা থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটক করে পুলিশ। ডিবি গত শুক্রবার দুপুরে তাদের গ্রেফতার দেখায়। সূত্র: ইত্তেফাক
সংগৃহীত ছবি
অধিকৃত গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ বলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন তা বাতিল করতে পারেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন কর্মকর্তা আমেরিকার নিউজ ওয়েবসাইট ‘ওয়াশিংটন ফ্রি বিকন’-কে এ তথ্য জানিয়েছে।
তিনি তার ভাষায় বলেন, “গোলান মালভূমি কারো নয়, এই ভূখণ্ডের মালিকানা ইসরায়েলের হাতে থাকলে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।”
গত ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন প্রথম বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোলান ইস্যুতে কথা বলেছিলেন। তবে সে সময় তিনি শুধুমাত্র বলেছিলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা প্রশ্নে গোলাম মালভূমি সত্যিকার অর্থেই গুরুত্ব বহন করে তবে এর স্বাভাবিক মর্যাদা কি হবে তা তিনি সে সময় কিছু বলেননি।
১৯৬৭ সালের ছয় দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় তেল আবিব সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমির একটি অংশ দখল করে নেয়। ওই যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদস শহর এবং গাজা উপত্যকায় দখল করে নেয়।
১৯৮১ সালে ইসরায়েল গোলান মালভূমিকে একতরফাভাবে নিজের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা দেয় কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনও তা মেনে নেয়। সিরিয়া বারবার বলে আসছে, গোলান মালভূমির মালিকানা তাদের এবং তারা তা ভবিষ্যতে আদায় করে নেবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৯ সালের মার্চ মাসে গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের স্বার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করেন।
বাইডেন প্রশাসন এখন গোলানের ওই স্বীকৃতি বাতিল করতে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে নিরাপত্তা অচলাবস্থার মধ্যে ফেলে দিতে পারে।