a সিইসির অসহায়ত্ব প্রকাশ, এমপি বাহারের কর্মকান্ডে
ঢাকা মঙ্গলবার, ৮ পৌষ ১৪৩২, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সিইসির অসহায়ত্ব প্রকাশ, এমপি বাহারের কর্মকান্ডে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ১২ জুন, ২০২২, ০৯:৩৪
সিইসির অসহায়ত্ব প্রকাশ, এমপি বাহারের কর্মকান্ডে

ফাইল ছবি: সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ও আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকা ছাড়ার অনুরোধ জানালেও ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা তাতে কান না দেওয়ায় দৃশ্যত অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

আইনবিধির কিছু সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে তিনি রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তরে বলেছেন, সংসদ সদস্যের জন্য ইসির অনুরোধই ‘যথেষ্ট’। এরপরও না মানলে এবং মামলার ফলাফল না পেলে করার কিছু থাকে না সাংবিধানিক সংস্থাটির।

রোববার নির্বাচন ভবনে সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা কুমিল্লায় বাহারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনসহ বেশ কিছু জায়গায় স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হবে ১৫ জুন। এটিই বর্তমান ইসির প্রথম নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে আচরণবিধি লঙ্ঘনে পৌরসভা, ইউপিতে বেশ কিছু অভিযোগের মধ্যে কঠোর অবস্থান নেয় কমিশন।

তবে কুমিল্লা সিটিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিষয়ে ‘অনুরোধ’ জানিয়ে চিঠি দেওয়ার বাইরে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রচারে অংশ নিতে পারেন না। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে শুধু ভোট দিতেই নির্ধারিত কেন্দ্রে যেতে পারেন।

কিন্তু কুমিল্লা ৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন, সেনানিবাস এলাকা) আসনের সংসদ সদস্য বাহার আইন ভেঙে দলীয় প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠলে তাকে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন। তাতে কাজ না হওয়ায় গত বুধবার তাকে এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। সূত্র: সমকাল

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-কৃষক লীগের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ


নিউজ ডেস্ক:
রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১, ০১:২৬
আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-কৃষক লীগের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ

সংগৃহীত ছবি

হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা।

রবিবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা বিভিন্ন স্লোগানে হরতালের প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছেন।

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘এ হরতাল সম্পূর্ণ অবৈধ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের যে ভূমিকা ছিল তা বাংলাদেশ চিরদিন স্মরণে রাখবে এবং রাখছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা স্বীকার করে না, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াত হেফাজতের ব্যানারকে ব্যবহার করে তারা হরতালের ইন্ধন জুগিয়েছে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহীম মোল্লা জানান, ‘অবৈধ হরতাল ও অনৈতিক দাবির বিপক্ষে আমরা রাজপথে আছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা রাজপথে অবস্থান করে যে কোনো প্রকার নাশকতা এবং তাণ্ডবকে প্রতিহত করে এসব অপশক্তিকে বিতাড়িত করব ইনশাল্লাহ। আজ সারাদিন রাজপথে আমাদের অবস্থান থাকবে।’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকীর মুখে ঠেলে দিয়েছে- আব্দুস সাত্তার


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:২৭
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকীর মুখে ঠেলে দিয়েছে- আব্দুস সাত্তার

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

সাইফুল আলম, ঢাকা:  দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তি বাতিল এবং পাহাড়ের বিশৃঙ্খলা বন্ধের দাবিতে ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয় জোট এবং এর নেতৃবৃন্দরা। গণঅধিকার পার্টি -পিআরপি

ও জাতীয় জোট এর চেয়ারম্যান সরদার মোঃ আব্দুস সাত্তার এর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় জোট এর মহাসচিব সিরাজুল ইসলাম আকাশের সঞ্চালনায় আজ ০৮/১০/২০২৫ইং সকালে রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

গণঅধিকার পার্টির চেয়ারম্যান সরদার মোঃ আব্দুস সাত্তার ছাড়াও এখানে আরো বক্তব্য রাখেন জোটের মহাসচিব বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টির সিরাজুল ইসলাম আকাশ, জোটের সিঃ কো-চেয়ারম্যান বাংলাদেশ পিপলস্ পার্টির মোঃ মোস্তফা কামাল বাদল এবং কো- চেয়ারম্যান বাংলাদেশ একুশে পার্টির রবিউল আউয়াল, ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন পার্টির মোসলেম আলী, বাংলাদেশ গ্রীন পার্টির ইঞ্জিনিয়ার মানসুর, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকেশন পার্টির মোঃ ইউসুফ পারভেজ, জাতীয় ওলামা কাউন্সিল এর মাওঃ আতাউর রহমান আতিকী, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির মোঃ আমজাদ হোসেন সজল, বাংলাদেশ মানবিক পার্টির আঃ রাজ্জাক, বাংলাদেশ ইনোভেশন পার্টির মোঃ ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ জনতা লীগ এর সাংবাদিক মোঃ মানসুর রহমান পাশা, বাংলাদেশ মুক্তি পার্টির সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ গরিব দুঃখী জনতা পার্টির নিউটন অধিকারী, ইসলামীক লিভারেল পার্টির মুফতি ফরিদ উদ্দিন কাসেমী, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট পার্টির এ্যাডভোকেট আলমগীর, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের খাজা মহিবুল্লাহ শান্তিপুরী, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টির মোঃ শাহ আলম তাহের, বাংলাদেশ গ্রামীন কল্যান পার্টির মোঃ মজিবুর রহমান, খেলাফতে দাওয়াত ইসলামী পার্টির মুফতি মিজবাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ সৎ সংগ্রামী ভোটার পার্টির মোবারক হোসেন বিজ্ঞানী এবং বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের প্রিন্সিপাল নূর মোহাম্মদ (মনির স্যার)।

সভাপতি তার মূল বক্তব্যে বলেন, যুগে যুগে এদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। যা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। আপনারা জানেন ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি নামে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল । যে শান্তি চুক্তি বর্তমানে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকীর মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই শান্তি চুক্তিকে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রকারিরা পাহাড়িদেরকে ব্যবহার করে ছোট ছোট গেরিলা সংগঠন তৈরী করেছে। প্রায়ই ঐ সংগঠনগুলি বাংলাদেশের প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী ও সেনাবাহিনীর উপর হামলা করে। এর মূল কারণ তারা আমাদেরকে পাহাড় ছেড়ে চলে যেতে বলে, তারা এটিকে একটি স্বাধীন দেশ অথবা ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। বাংলাদেশে আমাদের রাজনৈতিক দলের আলাদা আলাদা মতবাদ থাকতেই পারে আমরা সার্বভৌমত্ব রক্ষার খাতিরে ধর্ম, বর্ণ, দল মত নির্বিশেষে এক কাতারে দাঁড়াতে রাজী আছি । তাই সরকারকে আমরা অবহিত করতে চাই । এই মুহুর্তে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাতিল করেন এবং সেখানে শান্তি স্থাপনের জন্য সেনাক্যাম্প ও সেনা সদস্য বৃদ্ধি করে শুধু আমরা জাতীয় জোট নয় আমাদের সঙ্গে ১৮ কোটি বাঙালি আছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সরকার যে সহযোগিতা চাইবেন সেই সহযোগিতা করার জন্য আমরা একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়তে রাজি আছি।

প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ, আপনারা অবগত আছেন বাংলাদেশের সীমারেখার ভিতরে প্রায়ই ভারতের বিএসএফ গুলি করে আমাদের বাঙালিদের হত্যা করে এবং সীমানা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে এটা নিয়ে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড তাদের সাথে মাঝে মধ্যে পতাকা বৈঠক করেন কিন্তু কোন লাভ হয় না। তাদের এই হত্যাকান্ড সীমানা ঠেলে বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে পড়া চলমান রেখেছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও বিবৃতি দেখতে পাই না। আমরা বলতে চাই আমাদের সরকারের দূর্বলতা কোথায় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য টেকসই পদক্ষেপ গ্ৰহন করুন । আমরা আপনাদের ডাকে যে কোন সময় সাড়া দিতে প্রস্তুত ।
প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ, আপনারা আরও অবগত আছেন যে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় ভারতের নৌ-সেনা এবং ভারতের জেলেরা বাংলাদেশ সমুদ্র সীমায় ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যায় এবং জেলেদেরকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়। একই ভাবে আরাকান আর্মিরাও আমাদের সমুদ্র সীমানায় ঢুকে জেলেদেরকে অপহরন করে এবং মাছ ধরে নিয়ে যায়। এটা আর কোন ভাবেই বরদাশত করা যাবে না। তাদের এই অন্যায়কে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে। আমরা কোথায় দূৰ্বল আছি। আমরা ১৯৫২'র ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১'র মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণঅভুত্থানে আমরা প্রমান করেছি, আমরা শত্রুশক্তিকে পরাস্ত করতে পারি। সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সরকারকেও শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে হবে । আমি বাংলাদেশ সরকারকে আবারও বলতে চাই আমরা জাতীয় জোটের ২১টি রাজনৈতিক দল নয় আমাদের সাথে ১৮ কোটি বাঙালি আছে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সদা প্রস্তুত। আমরা দেশের এক ইঞ্চি মাটি ছাড় দিবোনা । তার জন্য যে পদক্ষেপ প্রয়োজন সেই পদক্ষেপ গ্রহন করুন। আমরা সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে সরকারের সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিবো এবং সরকারকে সহযোগিতা করতে সদা প্রস্তুত আছি। সরকার যখন যেভাবে আমাদেরকে ডাকবেন আমরা তখনই হাজির হব।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি