a
ফাইল ছবি
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
রবিবার গভীর রাতে হেফাজতে ইসলামের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আহ্বায়ক কমিটিতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও আল্লামা নুরুল ইসলামকে মহাসচিব করা হয়। এছাড়া কমিটির প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে এবং মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী ও অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানকে সদস্য করা হয়।
ফেসবুকে বলা হয়, 'চলমান অস্থির ও নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে এবং পরবর্তী উপদেষ্টা কমিটির পরামর্শেক্রমে তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলো। এই তিন সদস্যের আহ্বায়কগণ অতি দ্রুত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করবেন।
এর আগে রবিবার রাত ১১টার দিকে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে এক ডিভিও বার্তার দ্বারা হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা দেন সংগঠনটির আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
গুরুতর চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার অনুমতি মিলছে না। অথচ দণ্ডিত আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের বিদেশে চলে গেলেন। এই বিদেশ যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আইন যদি সবার জন্য সমান হয়, তাহলে কোন আইনে সাজাপ্রাপ্ত হাজি সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলেন? এখানে খালেদা জিয়ার জন্য এক আইন, আর হাজি সেলিমের জন্য অন্য আইন কোন সংবিধানে, কোন গ্রন্থে আছে? আহারে আইনের শাসন!'
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বারবার বিদেশ যেতে চাইলেও সরকারের অনুমতি পাননি। তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে দুই বছর আগে মুক্ত হলেও দেশেই রয়েছেন। আইনি কারণে তাকে বিদেশযাত্রার অনুমতি দেওয়া সম্ভবপর হচ্ছে না বলে আইনমন্ত্রীর ভাষ্য।
অন্যদিকে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হাজি সেলিমকে হাইকোর্ট আত্মসমর্পণের আদেশ দিলেও তার মধ্যেই তিনি চিকিৎসার জন্য গত শনিবার থাইল্যান্ড রওনা হন।
এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, হাজি সেলিম আত্মসমর্পণ না করেই দেশ ছেড়েছেন। নির্বিঘ্নে তার বিদেশ পাড়ি দেওয়ার ঘটনায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে আদালত অসহায়। নিশিরাতের মাফিয়া সরকার দেশের আইন-আদালত-বিচার-প্রশাসন সব কিছু দলীয়করণের ঘনকালো আলখেল্লায় ঢেকে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম, আবদুস সালাম আজাদ, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের জাহিদুল কবির উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
বেশ কিছু চমকপ্রদ পরিবর্তন নিয়ে ক্রিকেটারদের সাথে কেন্দ্রীয় চুক্তি সম্পন্ন করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রথমে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যে কেন্দ্রীয় চুক্তি করেছিল সেটি ছিল টেস্ট ও সীমিত ওভারের ফরম্যাটের জন্য আলাদা। এবার তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা আলাদা চুক্তি করেছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে। বিশেষ কিছু জটিলতার জন্য আটকে ছিল এই প্রক্রিয়াটি।
অবশেষে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে নতুন চুক্তিতে কোন ফরম্যাটে কে থাকছেন। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এবার চুক্তিতে আছেন সর্বমোট ২৪ জন ক্রিকেটার। যেখানে ৩ ফরম্যাটে আছেন ৫ ক্রিকেটার। টেস্টের জন্য বিবেচিত হয়েছেন ১৪, ওয়ানডেতে আছেন ১২ জন এবং টি-টোয়েন্টিতে রাখা হয়েছে ১৫ জনকে।
চলতি বছরের মে থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে এই চুক্তির মেয়াদ। আগের কেদ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও নাঈম হাসান। তবে এবার নতুন চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন- নবাগত ক্রিকেটার শামীম পাটোয়ারী, নাসুম আহমেদ, কিপার নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী, মোহাম্মদ সাইফ হাসান ও শরিফুল ইসলাম। এছাড়াও চুক্তিতে ফিরেছেন তাসকিন ও টেস্ট দলের ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক। টেস্টে নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ পড়েছেন তামিম ইকবাল।
তিন ফরম্যাটের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সুযোগ পাওয়া পাঁচ ক্রিকেটার- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস ও শরিফুল।
টেস্ট দলের চুক্তিতে থাকা ১৪ ক্রিকেটার- মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, আবু জায়েদ রাহী, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান ও এবাদত হোসেন।
ওয়ানডে দলের চুক্তিতে থাকা ১২ ক্রিকেটার- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস, শরিফুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
টি২০ তে আছেঃ মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, শেখ মাহাদি হাসান, নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ এবং শামীম পাটোয়ারী।