a
ফাইল ছবি
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস পুকুরে পড়ে ঘটনাস্থলেই নারী ও শিশুসহ ৭জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৪জন।
রোববার সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার কমিশনার পাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা হয়।
নিহতরা হলেন- চকরিয়ার ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪০), কক্সবাজারের কোনাপাড়া এলাকার প্রদীপের স্ত্রী পূর্ণিমা (৩৫), তার চার বছরের ছেলে স্বার্থক, চকরিয়ার রাম মাস্টারের ছেলে রতন বিজয় (৫০), তার স্ত্রী মধুমিতা (৪৫) ও কক্সবাজারের কোনাপাড়ার মৃত সঙ্করের স্ত্রী রানি রুদ্র (৬৫)। এছাড়া আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী মৃত আরেক নারী রয়েছেন। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। নিহতদের লাশ সেখানে রাখা হয়েছে। তবে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা: ফয়সাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাসটি চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। সড়ক ১০টার দিকে চকরিয়ার পৌরসভার কমিশনার পাড়া এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত (রাত সাড়ে ১১টা) চার নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা মো. রায়হান রোববার (০৪ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. রায়হান বলেন, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ও নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়, নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, আজ রোববার সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যা নদী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় রাবিতা আল হাসান নামের একটি লঞ্চ। নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রুটে যাত্রী নিয়ে চলাচলকারী ওই লঞ্চটি প্রতিদিনের মতো নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জ টার্মিনালে যাওয়ার পথে শীতলক্ষ্যা নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লঞ্চটি ডুবে যায়।
মুক্তারপুর নৌ স্টেশনের ইনচার্জ কবির হোসেন এ বিষয়ে জানান, লঞ্চটিতে ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি যাত্রী ছিলেন। এদিকে নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাট ও এর আশপাশে ভিড় করেছে।
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনা তদন্তে বিআইডব্লিউটিএ এর পরিচালককে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফাইল ছবি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারো মাসে তের পার্বন। গতকাল ১২ জুলাই, ২০২১, ২৭ আষাঢ়, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ সোমবার রথযাত্রা উৎসব। এই উৎসব হিন্দুদের কাছে একটি পূণ্য তিথিও। এই পূণ্য তিথিতে শ্রীজগন্নাথ ধামপুরী ছাড়াও বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়।
হিন্দুদের বিশ্বাস রথের দড়ির স্পর্শ করলে (দড়ি টানলে) পূণ্য লাভ হয়। শাস্ত্রমতে রথযাত্রার পূণ্য তিথিতে যে কোনও কাজ শুরুর ক্ষেত্রে শুভ।
তবে করোনা মহামারীর কারণে এ ঐতিহ্যবাহী উৎসবে আমেজ প্রায় শূন্য। সারাদেশের মন্দির প্রাঙ্গণেই সীমিত পরিসরে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে রথটানা ও অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালা আয়োজিত হবে। করোনার কারণে গতবছরও অনুরূপভাবে সীমিত পরিসরে রথযাত্রা উৎসব উদযাপিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সীমিত পরিসরে রথযাত্রা আয়োজন বিষয়ে সারাদেশের পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতাদের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, কেবল মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে ও ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী মন্দিরের ভেতরে রথটান ও পুজোসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে মন্দিরের বাইরে কোন ধরনের শোভযাত্রা কিংবা ভক্ত সমাবেশ করা হবে না।
প্রতিবছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে এই রথযাত্রা শুরু হয়। এর নয়দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত হয় উল্টো রথযাত্রা। এবারের উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ জুলাই। রথযাত্রার মতো উল্টো রথযাত্রাও উদযাপিত হবে সীমিত পরিসরে।
জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ঢাকা’র সীমিত পরিসরের অনুষ্ঠানমালা আজ শুরু হচ্ছে। ইসকনের স্বামীবাগ আশ্রম মন্দিরের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে দুপুর ১২টায় মন্দিরের ভেতরেই রথটান অনুষ্ঠিত হবে। ২০ জুলাই উল্টো রথযাত্রাও একইভাবে আয়োজিত হবে।
ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী যশোমাধবের রথযাত্রাও সীমিত পরিসরে আয়োজিত হবে। এছাড়া পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের জগন্নাথ জিউ ঠাকুর মন্দির, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির এবং শাঁখারীবাজার একনাম কমিটিসহ রাজধানীর অন্যান্য মন্দির ও দেশের বিভিন্ন মন্দিরেও সীমিত পরিসরে রথটান অনুষ্ঠিত হবে।