a চট্টগ্রামে সীতাকুন্ড বিস্ফোরণ যেন এক বিধ্বস্ত জনপদ
ঢাকা শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

চট্টগ্রামে সীতাকুন্ড বিস্ফোরণ যেন এক বিধ্বস্ত জনপদ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ০৫ মার্চ, ২০২৩, ১১:০৯
চট্টগ্রামে সীতাকুন্ড বিস্ফোরণ যেন এক বিধ্বস্ত জনপদ

ফাইল ছবি

বিস্ফোরণের পর চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে টিন ও লোহার টুকরা। আশপাশের অনেক ভবনের দেয়াল ফেটে গেছে। উড়ে গেছে টিনের চালা। ভেঙে গেছে অনেক ঘরের কাচ। এলাকাবাসীরা বলছেন, বিস্ফোরণের পরের অবস্থা দেখে তাঁদের মনে হয়, এ যেন এক বিধ্বস্ত জনপদ।

গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকার সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদনের এ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ৬ জন মারা যান এবং গুরুতর আহত হন ৩০ জন।

কারখানাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। বিস্ফোরণে কারখানার আশপাশের অন্তত এক বর্গকিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। এমনকি বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূর পর্যন্ত উড়ে যায় লোহার পাত। আশে পাশের বিভ্ন্নি ভবনের দেয়াল ও ছাদ বিদ্ধস্ত হয়ে যায়। পাশাপাশি ভেতরে আরও নিহত ও আহত ব্যক্তি থাকতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন।

এলাকাবাসী বলছেন, বিকট শব্দ ও কম্পনে তাঁরা ভয় পেয়ে যান। কারও মনে হয়েছে, হয় তো বড় ভূমিকম্পন হয়েছে। কেউ ভেবেছেন, বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা দাবি করছেন বার বার সীতাকুন্ডে এধরণের অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরন না হয় তার স্থায়ী সমাধান আশা করছেন।

কদমরসুলের সীমা অক্সিজেন কারখানা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে জাহানপুর এলাকা। এলাকাটির বাসিন্দারা গতকাল বিকেলে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনে ভয় পেয়ে যান।

বিস্ফোরণে লোহার পাত আধা কিলোমিটার দূর পর্যন্ত উড়ে যায়। এই লোহার পাতের আঘাতে দুজন মারা যান। এখনো নিহত ও আহতের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালগুলোতে ভীড় করে আছেন।

সীমা অক্সিজেন কারখানা থেকে অন্তত ৩০০ মিটার দূরে আল ছাফা রিরোলিং মিল। বিকট শব্দে মিলটি কেঁপে ওঠে এবং ভেঙে যায় মিলের কাচ। আশে-পাশে অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: ৩৫ মরদেহ উদ্ধার


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:১৩
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: ৩৫ মরদেহ উদ্ধার

সংগৃহীত ছবি

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় ভাসমান অবস্থায় আরও ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট মরদেহ উদ্ধার করা হয় ৩৫ জনের।

মঙ্গলবার সকালে কয়লাঘাট এলাকা থেকে সর্বশেষ ৫ জনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে সোমবার পর্যন্ত ২৯ মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। তবে ১ জন অজ্ঞাতনামা মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) মর্গে রাখা হয়েছে।

লঞ্চডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরী ববিকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া বিআইডব্লিউটি-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে সাবিত আল হাসান নামে যাত্রীবাহী লঞ্চটি ডুবে গেলে সোমবার দুপুর ১২টায় লঞ্চটি উদ্ধারের পর সোয়া ১টায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন বিআইডব্লিটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

চীন ৩টি উপায়ে রাশিয়ার অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ, ২০২৩, ০৯:৪১
চীন ৩টি উপায়ে রাশিয়ার অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে

ফাইল ছবি

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পরপরই পশ্চিমা দেশগুলোর নজীরবিহীন অবরোধের মুখে পড়ে রাশিয়া। ফলে বন্ধ হয়ে যায় দেশটির বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।

তবে রাশিয়ার এই দুঃসময়ে এগিয়ে আসে চীন। রাশিয়ার দক্ষিণের এই প্রতিবশী আগেই ঘোষণা করেছিল যে দুই দেশের বন্ধুত্বের মধ্যে ‘কোনো সীমা নেই’। ফলে পশ্চিমা আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বের করে দেওয়ার যে মারাত্মক প্রভাব রাশিয়ার ওপর পড়ার আশঙ্কা ছিল, তা অনেকটাই ফিকে হয়ে আসে।

সিএনএন মতে, দুই দেশের মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, তা আরও একবার সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতেই গত সপ্তাহে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় সাক্ষাৎ করেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে বলেছে যে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসের শুরুর দিকে মস্কোতে একটি শীর্ষ বৈঠকে বসতে পারেন।

চীন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পণ্যক্রেতা। অর্থ এবং প্রযুক্তির একটি শক্তিকেন্দ্রও এই দেশ। ফলে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত রাশিয়ার দিকে চীনের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মানেই হলো দেশটির অর্থনীতি ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া। তিনটি উপায়ে চীন এই কাজ করছে।

রাশিয়ার জ্বালানি কিনে নেওয়া:
মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের অবরোধের একটি বড় অস্ত্র ছিল রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং এরপর তেলের দাম বেঁধে দেওয়া। এর বাইরে ছিল বৈশ্বিক লেনদেনব্যবস্থা সুইফট থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার এবং দেশের বাইরে থাকা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করা।

এসব পদক্ষেপের লক্ষ্য ছিল যুদ্ধের অর্থায়নে রাশিয়ার সক্ষমতা দুর্বল করে ফেলা।
এর প্রভাব কিন্তু ঠিকই পড়েছে। রাশিয়ার অর্থনীতি ২০২২ সালে মন্দার কবলে পড়ে। বিশ্বব্যাংকের সবশেষ হিসাব বলছে, দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ওই বছরে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমে যায়।

কিন্তু এই সময়ে উল্টো মস্কোর রাজস্ব বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার সরকার। আর এর কারণ হলো, জ্বালানির উচ্চ মূল্য এবং চীন ও ভারতের মতো ক্রেতা, যারা রাশিয়ার তেল কিনতে আগ্রহী, তাদের কাছে তেল বিক্রির ফলে পাওয়া পয়সা।

ইউরাশিয়া গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক নিল টমাস বলেন, ‘আমরা বলতে পারি, রাশিয়ার যুদ্ধকে আর্থিকভাবে সমর্থন করেছে চীন। তারা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য জোরদার করার ফলে মস্কোর সামরিক শক্তি কমানোর পশ্চিমা চেষ্টা শেষ পর্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে।’
নিল টমাস আরও বলেন, ‘সি চিন পিং আরও বেশি একঘরে হয়ে পড়া রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে চান।’ তাঁর মতে, মস্কোর এই অবস্থার কারণে চীনের পক্ষে সস্তায় রাশিয়ান তেল কেনা, আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি সংগ্রহ করা এবং নিজেদের আন্তর্জাতিক স্বার্থের পক্ষে কূটনৈতিক সমর্থন জোগাড় করা সহজ হয়েছে।

চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ২০২২ সালে বাণিজ্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছে। এই বছরে দুই দেশের মধ্যে ১৯ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জ্বালানি তেলের ব্যবসা। গত বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে চীন রাশিয়ার কাছ থেকে ৫ হাজার ৬০ কোটি ডলারের অপরিশোধিত তেল কেনে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি। এই সময়ে চীন এক হাজার কোটি ডলারের রুশ কয়লা আমদানি করে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ছিল ৫৪ শতাংশ।

তবে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি ঘটেছে পাইপলাইনের মাধ্যমে পাওয়া গ্যাস এবং তরলীকৃত গ্যাসের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। এই সময়ে চীন রাশিয়ার কাছ থেকে ৯৬০ কোটি ডলার দিয়ে এই দুটো পণ্য কেনে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫৫ শতাংশ বেশি।

দুই দেশই এসব কেনাকাটা থেকে লাভবান হয়েছে। রাশিয়ার প্রয়োজন ছিল জীবাশ্ম জ্বালানির জন্য নতুন গ্রাহক। আর চীনের দরকার ছিল সস্তায় জ্বালানি, বিশেষ করে যখন তার অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়ছিল।

চীন ও রাশিয়া এখন তাদের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণ করতে পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার গ্রাজপ্রম এবং চীনের ন্যাশনাল প্রেট্রোলিয়াম করপোরেশনের মধ্যে একটি চুক্তি, যার আওতায় রাশিয়া আগামী ২৫ বছর চীনের কাছে আরও বেশি গ্যাস সরবরাহ করবে।

পশ্চিমা আমদানির বিকল্প:
চীনের কাছে তেল বিক্রি যেমন চলছে, তেমনই রাশিয়াও চীনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস, বিভিন্ন ধরনের ধাতু, যানবাহন, জাহাজ এবং উড়োজাহাজ কিনছে। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের করা এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ইউরাশিয়া গ্রুপের নিল টমাস বলেন, চীন যদিও যুদ্ধে রাশিয়াকে সরাসরি সমর্থন জানায়নি, তারপরও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েই চলবে। কারণ, বেইজিং আসলে সুযোগসন্ধানী।

অন্যদিকে, রাশিয়ারও গাড়ি কিংবা ইলেকট্রনিকসের মতো পণ্যের জন্য বিকল্প উৎস দরকার হয়ে পড়েছিল। তারা আর পশ্চিমা বিশ্ব থেকে এগুলো কিনতে পারছিল না।
আর এ ক্ষেত্রে চীনকে টেক্কা দেওয়ার সামর্থ্য খুব কম দেশেরই রয়েছে, কারণ চীনের রয়েছে বিশাল উৎপাদনব্যবস্থা’, বলেন মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের সহযোগী অধ্যাপক আনা কিরিভা।

রাশিয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠান অটোস্ট্যাটের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, পশ্চিমা বিভিন্ন গাড়ির বিক্রি বন্ধ হওয়ার পর দেশটিতে চীনের ব্যান্ড হ্যাভেল, চেরি এবং গিলির বিক্রি এক বছরে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই হার আগামী সময়ে আরও বাড়বে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০২১ সালে রাশিয়ার স্মার্টফোনের বাজারের ৪০ শতাংশ ছিল চীনা ব্র্যান্ডের হাতে। এক বছর পর রাশিয়ার স্মার্টফোনের বাজার এখন বলা যায় পুরোটাই চীনের দখলে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট বলছে, রাশিয়ার বাজারের ৯৫ শতাংশ স্মার্টফোনই চীনের তৈরি।

মার্কিন ডলারের বিকল্প:
সুইফট থেকে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে বের করে দেওয়ার পর ডলার বাদ দিয়ে চীনা মুদ্রা ইউয়ান ব্যবহার করা শুরু করে মস্কো।

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার কোম্পানিগুলো আরও বেশি করে ইউয়ান ব্যবহার করছে। আনা কিরিভা বলছেন, অবরোধ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে রাশিয়ার ব্যাংকগুলো আরও বেশি লেনদেন এখন ইউয়ানে করছে।

মস্কো এক্সচেঞ্জকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার গণমাধ্যম জানাচ্ছে যে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে যেখানে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ইউয়ানের লেনদেন ছিল এক শতাংশের কম, সেখানে নভেম্বরে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ শতাংশে।

সুইফটের তথ্য বলছে, গত জুলাই মাসে যে তিনটি দেশে ইউয়ানের কেনাবেচা সবচেয়ে বেশি হয়েছিল, রাশিয়া ছিল তাদের একটি। বাকি দুটো ছিল হংকং এবং যুক্তরাজ্য। সেই থেকে এখনো রাশিয়া প্রথম ছয়টি দেশের মধ্যে রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়া শীর্ষ ১৫ দেশের মধ্যেও ছিল না।

রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় ইউয়ানের রিজার্ভ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে। বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, ২০২৩ সালে রাশিয়া শুধু ইউয়ান কিনবে। আনা কিরিভা বলছেন, আগামীতে রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্য আরও বেশি ডলারবিহীন হবে।

তবে চীন–রাশিয়ার এই অর্থনৈতিক সম্পর্কে যে একেবারে কোনো ঠোকাঠুকি নেই, তা বলা যাবে না।

খবর পাওয়া গেছে যে চীনের লেনদেনব্যবস্থা ইউনিয়নপে রাশিয়ার ব্যাংকগুলো থেকে ইস্যু করা কার্ড গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে। রাশিয়ার সংবাদপত্র কোমারসান্ত বলছে, এটা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অবরোধে পড়ার ভয় থেকে। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - সারাদেশ