a
সংগৃহীত ছবি
‘জিনের আছরে’ রাতের অন্ধকারে নারিকেল গাছের মাথায় উঠে বসে আছে তাহমিনা (২২) নামের এক নারী। এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গাছে উঠে কৌশলে নামিয়ে আনেন ঐ নারীকে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাত ৯টার দিকে এধরণের ঘটনা ঘটে। তাহমিনা ওই গ্রামের মো. হাসানের স্ত্রী।
মো. হাসান এ বিষয়ে বলেন, আমার স্ত্রীর জিনের সমস্যা আছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি বাজারে যাই। রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাহমিনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতে এসে আশেপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
হাসান বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে শুনি আমার স্ত্রী মেয়ের নাম ধরে ডাকছে। আর বলছে আমাকে নামাও, ওরা আমাকে নিয়ে গেল। তার এ কথা শুনে বাড়ির পাশে নারকেল গাছে টর্চলাইট মেরে দেখা যায়, সে গাছের মাথায় বসে আছে। তখন তাকে গাছ থেকে নামানোর চেষ্টা করেও পারা যায়নি। উপায় না পেয়ে মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে নামিয়ে দেয়।
মো. হাসান বলেন, স্ত্রীর এ সমস্যার জন্য অনেক কবিরাজ দেখিয়েছি কিন্তু তাতেও সুস্থ হচ্ছে না।
মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার রমেশ কুমার সাহা এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে একটা ফোন আসে এক নারী নারিকেল গাছের মাথায় উঠে আর নামতে পারছেন না। পরে সেখানে গিয়ে ৪০ মিনিটের চেষ্টায় তাকে গাছ থেকে নামিয়ে আনা হয়।
ঈদুল ফিতরে এবার প্রায় ৬৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। দেশের একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এবারের ঈদে প্রায় ৬৫ লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন।
ওই মোবাইল কোম্পানির অপারেটর তাদের তথ্যভান্ডার ও কল প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এ হিসাব গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। সংখ্যাটি ‘ইউনিক ইউজার’ ধরে। এর মানে হলো, এক ব্যক্তির একাধিক সিম থাকা সত্ত্বেও তাকে একজন গ্রাহক হিসেবেই গণ্য করা হয়েছে।
এর আগে (১২ মে) বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ৪ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত একটি হিসাব তুলে ধরে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন।
এতে তিনি লেখেন, করোনার সামনের দিনের সম্ভাব্য কিছু ভয়ংকরতার তথ্য তুলে ধরছি। গত ৪ থেকে ১১ মে পর্যন্ত ঢাকা থেকে ঢাকার বাইরে গেছে ৬০ লাখ ৭২ হাজার ১৭৮ জন মানুষ। এর মধ্যে গ্রামীণের সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৯ লাখ ২৪ হাজার ৯৯২ জন। রবি সিম ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৩ জন, বাংলালিংক সিম ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৩ এবং টেলিটক সিম ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮০৩ জন।
তবে মোবাইল ফোন বা ফোনের সিম ব্যবহার ধরে তৈরি করা এই হিসাবের আওতায় মুঠোফোন ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ ও শিশুদের হিসেব করা যায়নি। আবার এক ব্যক্তির একাধিক মোবাইল ফোন থাকতে পারে, সে ক্ষেত্রেও এই হিসাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য যে, এবার ঢাকা ছাড়ে যাওয়া মুঠোফোন গ্রাহকের সংখ্যাটি গত বছরের করোনা ঠেকাতে দেওয়া সাধারণ ছুটির সময়কার তুলনায় কম। করোনা সংক্রমণরোধে গত বছর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ মুঠোফোন ব্যবহারকারী মানুষ ঢাকা ছেড়ে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
সংগৃহীত ছবি
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০৫ জন রোগী। এটি চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড।
এ নিয়ে এখন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫২৭ জনে।
আজ রবিবার বিকালে এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের অধিকাংশই বর্তমানে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন। তবে এখনো রাজধানীতে ৪৬০ জন ও রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে বাকিদের ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।