a
ফাইল ছবি: ডা. মুরাদ হাসান এমপি
মাথায় সিলিং ফ্যান ভেঙ্গে পড়ে আহত হয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি। এতে তার কপালে তিনটি সেলাই করতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তার আঘাত আশঙ্কাজনক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. দেবাশীষ রাজবংশী জানান, রাত ৮টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি তার বাড়িতে যাই। ফ্যান পড়ে তার কপালের ডান দিকে কেটে গেছে। এতে তার কপালে তিনটি সেলাই করা হয়েছে। তবে তার আঘাত আশঙ্কাজনক নয়। তার চিকিৎসা বাড়িতেই চিকিৎসাধীন করা হচ্ছে।
ফাইল ছবি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিএসটিআই অনুমোদন না নিয়ে ভুয়া লেবেল লাগিয়ে সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে ঘোল তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত মাধাইনগর গ্রামে ‘আমার দই ও সাইফুল ফুড’ নামে দুটি ফুড কোম্পানি দেখিয়ে লিটন ও রাব্বি নামে দুই যুবক নাম সর্বস্ব প্রতিদিন হাজারো লিটার ঘোল তেরি করছেন।
এদিকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদা আকতার গণমাধ্যমকে বলেন, যে কোনো খাদ্য সামগ্রী প্যাকেট ও বোতলজাত করতে হলে বিএসটিআই অনুমোদন অবশ্যই বাধ্যতামূলক। নয়তো এরকম অবৈধ পণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে।
সরেজমিনে সোমবার দুপুরে দেখা গেছে, লিটনের বাড়িতে ঘোল তৈরির জন্য তিন কড়াইতে দুধ জ্বাল করা হচ্ছে। পাশেই একটি ঘরে গাদাগাদি বসে হাতের স্পর্শে তার পরিবারের সদস্যরা বোতলে ঘোল ভরছেন। এ কাজে তারা ব্যবহার করছেন না হ্যান্ড গ্লোভস। রাব্বির বাড়িতে দেখা গেছে, ৪টি খোলা ছসমেনে রাখা হয়েছে ঘোল। ঘোলের মধ্যে মাছি ও ময়লা পড়ে আছে। ছসমেনের সেই ঘোল তার মা ও বোন ময়লাযুক্ত কাপর দিয়ে ছেঁকে বোতলে ভরছেন।
লিটন ও রাব্বি’র দাবি, তারা স্বাস্থ্যকর পরিবেশেই ঘোল তৈরি করে তা বিক্রি বাজারে করছেন। কিন্তু দুজনেই স্বীকার করেন, বিএসটিআই অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় কাজপত্রের তাদের কোনটাই নেই।
ফাইল ছবি
সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা নেটওয়ার্কের অর্থনীতিবিদেরা এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করার পর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা সুদের হার আরেক দফা বাড়ানোর কথা ভাবছেন।
গতকাল রবিবার এ নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে নীতি-নির্ধারকরা অনির্ধারিত এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
অর্থনীতিবিদদের ধারণা, পতনের ঝুঁকি ত্বরান্বিত হতে পারে সুদের হার বাড়ালেই। কারণ, তার ফলে সরকারি বন্ড এবং মর্টগেজ-বন্দকীর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সম্পদের মূল্য কমে যাবে। এতে আমানতকারিদের পক্ষে স্বাভাবিক লেন-দেন চালিয়ে নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়তে পারে। এসব কারণেই সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক সংকটে পড়ে দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা নেটওয়ার্কের অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যাংকের সম্পদের দাম একেবারে তলানিতে যাওয়ার ফলেই বীমাহীন আমানতকারিরা গচ্ছিত অর্থ দ্রুত সরিয়ে ফেলেন এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ১৮৬টি ব্যাংকও অনুরূপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, যা ঠেকাতে সঠিক নীতিমালার কোন বিকল্প নেই। অর্থাৎ এসব ব্যাংকের পতন ঠেকাতে বেল আউটের মতো প্রক্রিয়া অবলম্বন তথা ফেডারেল সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।
অর্থনীতি নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা বলেছেন, ‘কোনো ব্যাংকের আমানতকারিরা যদি খুব দ্রুত তাদের জমানো অর্ধেক অর্থ উইথড্র করেন, তাহলেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পতনের ঝুঁকিতে পড়ে।’
রবিবার প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকিং জায়েন্ট ইউবিএস বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় টালমাটাল অবস্থার অবসানের অভিপ্রায়ে নীতি-নির্ধারকদের সমন্বয়ে একটি চুক্তির আওতায় প্রায় ৩.২৫ বিলিয়ন ডলারে কঠিন সংকটে পতিত ‘ক্রেডিট সুইস ব্যাংক’ কিনে নিচ্ছে। এটি ছিল ইউবিএসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী একটি ব্যাংক। ফেডারেল রিজার্ভ এবং আরো ৫টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোমবার থেকে শুরু হওয়া তাদের ডলারের ‘অদলবদল’ ব্যবস্থায় তারল্য বাড়ানোর জন্যে সমন্বিত পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়।
ফেডারেল ব্যাংক অব কানাডা, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ব্যাংক অব জাপান, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারপারসন জেরমি পাওয়েল বুধবার সুদের হার বৃদ্ধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। গত বছরের ৮ বার সুদের হার বৃদ্ধির মতো আরেক দফা পদক্ষেপ নেবেন কি না সে সিদ্ধান্ত দেবেন।
জেরমি পাওয়েল ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, প্রত্যাশিত ত্রৈমাসিক শতাংশের চেয়ে বেশি হার বাড়াতে পারেন। কারণ, মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা অনুযায়ী হ্রাস পাচ্ছে না। অপরদিকে শ্রমবাজার শক্তিশালী রয়ে গেছে। তিনি সে ধারণা পোষণ করেছিলেন সিলিকন ভ্যালি এবং সিগন্যাচার ব্যাংক পতনের আগে।
গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার ফার্স্ট রিপাবলিকান ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের ১১টি ব্যাংক থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের জরুরি ঋণ নিয়েছে, আর এটি করা হয়েছে বাইডেন প্রশাসনের মধ্যস্থতায়।
ফার্স্ট রিপাবলিকান ব্যাংক কর্তপক্ষ দাবি করেছে যে, ঘনঘন সুদের হার বৃদ্ধি করায় ব্যাংকের সম্পদের মূল্য কমেছে। এতে করে আমানতকারিরা ভয় পেয়ে যায় এবং একাউন্ট থেকে অর্থ সরিয়ে নেওয়ায় ব্যাংক পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে।
এদিকে, বাইডেনের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বারবার দাবি করছেন যে, ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই কিন্তু অর্থনীতিবিদেরা দাবি করেন বাস্তবতা ভিন্ন। এর ফলে ছোট ও মাঝারি ধরনের সকল ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা আমানত উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন