a থানার ওসি চাইলেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হতে পারেন: আইজিপি
ঢাকা সোমবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

থানার ওসি চাইলেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হতে পারেন: আইজিপি


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:৩৬
থানার ওসি চাইলেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হতে পারেন: আইজিপি

ফাইল ছবি

পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, থানার ওসি চাইলেই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হতে পারেন। মানুষের জন্য কাজ করে তাদের হৃদয় ও মন জয় করতে পারেন। এটা টাকা দিয়ে কেনা যায় না।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রেঞ্জের আগস্ট মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, পুলিশ যত ভালো কাজ করুক না কেন একটি খারাপ কাজ সব অর্জনকে নষ্ট করে দেয়। সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতিরও পরিবর্তন হয়। সর্বদা সমাজের পরিবর্তনশীল চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে পুলিশিং কার্যক্রম চালু রাখতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

জুনিয়রদের যোগ্য করে গড়ে তোলা সিনিয়রদের দায়িত্ব উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, জুনিয়রদের জন্য ভালো উদাহরণ তৈরি করতে হবে। ভালো কাজে তাদেরকে মোটিভেট করতে হবে। তাদেরকে সুপারভাইজ করতে হবে। চাকরিতে ‘প্যাশন’ আনতে হবে। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের সম্মান ও মর্যাদাবোধ থাকতে হবে।

বিট পুলিশিং একটি কার্যকর পদ্ধতি জানিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিটি ইউনিয়নে থানা করার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন মূলত বিট পুলিশিং সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছিলেন; প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিয়নে অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিট পুলিশিং কার্যকর অবদান রাখতে পারে।

আইজিপি বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে সেটা বন্ধ করতে হবে। পুলিশে কোনো অপরাধীর জায়গা নেই। ঢাকা রেঞ্জের বিভিন্ন ইনোভেশন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি অন্যান্য ইউনিটেও এ ধরনের ইনোভেশনের চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ০৯ জুন, ২০২৪, ০৮:২২
ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে পুলিশের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত পুলিশ সদস্যের নাম মনিরুল ইসলাম। শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, নিহত কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসার আহমেদ ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে কর্তব্যরত ছিলেন। হঠাৎ তারা নিজেদের মধ্যে বাক-বিতন্ডায় ঝড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে কনস্টেবল কাউসার নিজের সঙ্গে থাকা রাইফেল দিয়ে গুলি করেন কনস্টেবল মনিরুলকে। গুলির বিকট শব্দে ডিপ্লোমেটিক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  ঘটনাস্থলেই মনিরুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া জাপান অ্যাম্বাসির ড্রাইভার সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন এবং তিনি বর্তমানে ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ফিলিস্তিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ঘটনার সময় আমরা দূতাবাসের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনে আমরা বাইরে আসি। বাইরে আসার পর কাউসারকে দেখি ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু দূরেই পড়ে ছিল মনিরুলের মরদেহ। তখন আমরা কাউসারকে জিজ্ঞেস করি, কী হয়েছে। তখন তিনি বলেন ‘শালা (মনিরুল) নাটক করতাছে এমনি মাটিতে পড়ে আছে।’ এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যায়‌। এরই মধ্যে সবাই বুঝে যায়, কাউসারই মনিরুলকে গুলি করেছে। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করেন এবং দায়িত্বরত পুলিশ বলছেন আক্রমণকারী কনস্টেবলকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সৌদিতে বাংলাদেশী কর্মী কর্তৃক বাংলাদেশী কর্মীদের অপহরণ ও খুনের ঘটনায় প্রবাসীদের ৭ দফা দাবি


সাইফুল আলম
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:১৫
সৌদিতে বাংলাদেশী কর্মী কর্তৃক বাংলাদেশী কর্মীদের অপহরণ ও খুনের ঘটনায় প্রবাসীদের ৭ দফা দাবি

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

সাইফুল আলম: দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সৌদি প্রবাসীদের। সৌদিতে বাংলাদেশী কর্মী কর্তৃক বাংলাদেশী কর্মীদের অপহরণ ও খুনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই নিয়ে প্রবাসী মহল এবং সকলের মাঝে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। প্রায় ৩৫ লক্ষ বাংলাদেশী কাজ করে সৌদি আরবে। উদ্বেগ এবং কান্না জড়িত কষ্ট নিয়ে সৌদি আরবের অবস্থানরত প্রবাসী এবং তাদের পরিবারবৃন্দের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানব বন্ধনের আয়োজন করেন।

সেখানে তারা অনেক কষ্ট এবং দুঃখের কথা বলেন। সেই সাথে প্রবাসী মহল বাংলাদেশ সরকারের কাছে সাত দফা দাবি দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো-
১. দূতাবাস ও কনস্যুলেটকে সক্রিয় করুন-প্রবাসীদের সুরক্ষা ও আইনি সহায়তায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে তাদের নির্দেশ দিন।
২. সৌদি প্রশাসনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করুন যাতে অপহরণচক্রকে দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
৩. ভুক্তভোগী প্রবাসীদের জন্য আইনজীবী ও সহায়তা সেবা নিশ্চিত করা হোক।
৪. সৌদি সরকার যাদের দেশে পাঠাবে, তাদের বিমানবন্দরেই গ্রেফতার করার ব্যবস্থা করা হোক।
৫. বিদেশে দেশের বদনামকারী অপরাধীদের পাসপোর্ট বাতিল করা হোক এবং দেশে ফিরে কঠোর আইনে বিচার নিশ্চিত করা হোক।
৬. মুক্তিপণের অর্থ দিয়ে যারা দেশে অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছে, সেই সম্পদ জব্দ করা হোক।
৭. অপহরণচক্রকে সহযোগিতা করা ব্যক্তিদের, এমনকি পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এইখানে অবস্থানরত আমরা, কেউ সাবেক সৌদি প্রবাসী, কেউ ছুটিতে আসা প্রবাসী, আবার অনেকে প্রবাসীদের পরিবারের সদস্য।
আমরা প্রবাসী প্রবাসেই থাকি, কয়েক মাসের জন্য দেশে আসলে পরিবারকে সময় দেই, প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সম্পাদন করে আবার প্রবাসেই ফিরে যাই। আপনারা জানেন বাংলাদেশের জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় শ্রম বাজার হচ্ছে সৌদি আরব, সেখানে আমাদের প্রায় ৩৫ লক্ষ বাংলাদেশী কাজ করেন।

আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই, সৌদি প্রবাসীরা ভালো নেই, তাদের দিন কাটে এখন ভয়ে আতঙ্কে, দেশে থাকা তাদের পরিবার ও ভালো নেই, প্রবাসে থাকা পরিবারের সেই মানুষটির জন্য তাদের বেড়েছে দুঃচিন্তা।

প্রিয় গণমাধ্যমকর্মী কর্মী ভাই ও বোনেরা !
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশী কর্মী কর্তৃক বাংলাদেশী কর্মীদের অপহরণ ও খুনের ঘটনা ঘটছে। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য খুবই দুঃখের ও লজ্জার, সেই সাথে হুমকি আছে শ্রমবাজার বন্ধের।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - অপরাধ